ঢাকা     বুধবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৪ ১৪৩১

ওষুধপ্রতিরোধী যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ বড় চ্যালেঞ্জ

আরিফ সাওন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:২৪, ২২ মার্চ ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ওষুধপ্রতিরোধী যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ বড় চ্যালেঞ্জ

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে যক্ষ্মা চিকিৎসার ক্ষেত্রে সরকারের সাফল্য আশাব্যঞ্জক হলেও ডায়াগনোসিস সংক্রান্ত জটিলতার কারণে ওষুধপ্রতিরোধী যক্ষ্মা বা এমডিআর নিয়ন্ত্রণ এখনো বড় চ্যালেঞ্জ। এ রোগীদের ৮০ শতাংশই শনাক্তের বাইরে।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি ও ব্র্যাক আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সব ধরনের যক্ষ্মায় চিকিৎসার আওতাবহির্ভূত থাকছে ৩৩ শতাংশ রোগী। তবে শনাক্ত করার ক্ষেত্রে সমস্যা থাকলেও জীবানুযুক্ত ফুসফুসে যক্ষ্মার চিকিৎসার ক্ষেত্রে সাফল্যের হার ৯৫ (শতাংশ) সন্তোষজনক।

অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধে ব্র্যাকের যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির সিনিয়র সেক্টর স্পেশালিস্ট ডা. মো. আবুল খায়ের বাশার বলেন, এমডিআর রোগী শনাক্ত করার ক্ষেত্রে বড় সমস্যা হচ্ছে- যত সংখ্যক জিন এক্সপার্ট মেশিন থাকার কথা তা নেই। তাছাড়া সচেতনতার অভাব ও চিকিৎসাব্যয় বেশি বলে অনেকের পক্ষে নিয়মিত ওষুধ খাওয়া সম্ভব নয়। ফলে এর সফলতা তুলনামূলক কম।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির (এনটিপি) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালে এনটিপির মাধ্যমে দেশে ২ লাখ ৪৪ হাজার ২০১ জন যক্ষ্মা রোগীকে শনাক্ত ও চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ১৫ বছরের কম বয়সী যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হয়েছে ১০ হাজার ১৮৯ জন। দেশে এখন এক্সটেনসিভলি ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট রোগীর সংখ্যা ১২ জন।

অনুষ্ঠানে আরো বলা হয়, দেশে প্রতি বছর প্রতি লাখে যক্ষ্মায় আক্রান্ত হচ্ছে ২২১ জন, মৃত্যু হয় ৪০ জনের। তাই যক্ষ্মা চিকিৎসায় সচেতনতার পাশাপাশি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপন জরুরি।

অধ্যাপক ডা. সামিউল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে ১৯৯৩ সাল থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে যক্ষ্মা রোগ নির্ণয় ও নিরাময়ের ক্ষেত্রে যে সাফল্য অর্জন করেছে, তা জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচিরই সাফল্য। এই কর্মসূচির মাধ্যমে রোগ নির্ণয়ের হার প্রতি লাখে ৭৭ জন এবং আরোগ্যের হার ৯৫ শতাংশ।

তিনি আরো বলেন, এতে সাফল্য সত্বেও বিশ্বে যক্ষ্মার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ৩০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। এ ঝুঁকি মোকাবিলা ও যক্ষ্মামুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডা. এডউইন সালভাদর, নাটাবের প্রেসিডেন্ট মোজাফফর হোসেন পল্টু, আইসিডিডিআরবির বিজ্ঞানী ডা. সায়রা বানু, ব্র্যাকের প্ররিচালক ড. মো. আকরামুল ইসলাম প্রমুখ।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২২ মার্চ ২০১৮/সাওন/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়