উন্নয়নের পূর্বশর্ত উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা: পরিকল্পনামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : একটি দেশের অর্থনৈতিকভাবে অগ্রসর হওয়ার পূর্বশর্ত উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

রোববার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে ‘বাংলাদেশে মানসম্মত সড়ক অবকাঠামো বিনির্মাণ: সমস্যা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক এক সেমিনারে এ মন্তব্য করেন তিনি।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বিটুমিনের সড়ক টিকবে না। পানি বিটুমিনের শত্রু। পানির সাথেই আমাদের সব সময় বসবাস। আমাদের ২০ বছর মেয়াদী কংক্রিট সড়ক নির্মাণ করতে হবে। প্রথম ১০ বছর কংক্রিট সড়কে হাতই দিতে হবে না। খরচের বিয়য়ে আসলে প্রথমে দিকে কংক্রিটের রাস্তায় খরচ বেশি পড়তে পারে কিন্তু টেকসই হিসাবে সেই খরচ বিটুমিনের চেয়ে অনেক কম হবে। মানুষের জীবনে শান্তি ফিরে আসবে। সেসব জায়গায় ওভারপাস বা আন্ডারপাস দরকার যেসব জায়গাতে এগুলো তৈরি করতে হবে।

পরিকল্পনান্ত্রী বলেন, সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। এর ভেতর দিয়েই কাজ করতে হবে। সীমাবদ্ধতাকে উপেক্ষা করে দেশকে নিয়ে যেতে হবে কাঙ্খিত লক্ষ্যে। আলোচনায় উঠে এসেছে আমাদের জনবলের অভাব রয়েছে অর্থাৎ দক্ষ জনবলের অভাব। অন্যান্য দেশের মত আমাদের অবকাঠামোও নেই, ভৌত এবং অভৌত দুটি অবকাঠামোতেই আমাদের দূর্বলতা রয়েছ, এগুলোও আরো উন্নয়ন করতে হবে। জনগণকে প্রকল্পের সাথে সংযুক্ত করতে হবে। যাদের জন্য প্রকল্প তাদেরকে অধিকহারে সংযুক্ত করতে না পারলে আসল উদ্দেশ্য বোঝা যাবে না। এখনই হয়ত আমরা সব সমস্যা সমাধান করতে পারব না, তবে কঠিন এলাকাগুলো সময়সাপেক্ষ সমাধান করা যাবে।

মন্ত্রী বলেন, গতানুগতিক ধারা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। সমস্যা সমাধানে প্রথমে করতে হবে একটি সঠিক নকশা-একটি টেকসই নকশা, যেটির বাস্তবায়নে আমাদের রাস্তার সমস্যা সমাধান হবে। প্রয়োজনে একটি সুদূরপ্রসারি নকশা তৈরি করতে হবে যেটি এখন থেকে ধীরে ধীরে বাস্তবায়ন শুরু হবে। যেটি বাস্তবায়নে পরবর্তীতে কোনো বাধার সম্মুখীন হতে হবে না। ২০ বছর মেয়াদী রাস্তা নির্মাণ করতে পারে এমন ঠিকাদার নিয়োগ দিতে হবে। এর ফলে মানুষের দুর্ভোগ কমবে।

দেশের উন্নয়ন তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন বিখ্যাত গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষণায় উঠে এসছে আগামী ৫ বছরের পর সিঙ্গাপুর ও দুবাইকে পেছনে ফেলবে বাংলাদেশ। তবে তার আগে সড়ক ঠিক করতে হবে।

পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব জিয়াউল ইসলামের সভিপতিত্বে সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন আইএমইডি সচিব মফিজুল ইসলাম, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম, সওজ এর প্রধান প্রকৌশলী ইবনে আলম হাসান, গবেষক কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, অধ্যাপক শামসুল হক এবং নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮/হাসান/সাইফ