ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

রাজনৈতিক সমঝোতার আহ্বান যুব অর্থনীতিবিদ ফোরামের

নিয়াজ মাহমুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:১৬, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৩   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
রাজনৈতিক সমঝোতার আহ্বান যুব অর্থনীতিবিদ ফোরামের

যুব অর্থনীতিবিদ ফোরাম

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক
ঢাকা, ১৩ ডিসেম্বর: রাজনৈতিক সংকটের আবর্তে ঘুরপাক খাচ্ছে দেশের অর্থনীতি। দুই দলের হানা হানিতে আজ বিপন্ন দেশের মানুষ। শিল্প ও কর্মক্ষেত্রে একধরনের স্থবিরতা নেমে এসেছে। এ অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য দুই দলকে সমঝোতায় এসে সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন যুব অর্থনীতিবিদ ফোরামের নেতারা।

শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত ‘বিধ্বস্ত অর্থনীতি, সংকটে জাতি, দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে সকল রাজনৈতিক পক্ষকে সমঝোতায় পৌঁছার আহ্বান’ শীর্ষক মানববন্ধনে এ আহ্বান জানান ফোরামের নেতারা।

সভাপতির বক্তব্যে যুব অর্থনীতিবিদ ফোরামের সভাপতি মির্জা ওয়ালিদ হোসেন বলেন, রাজনৈতিক হানানহানির কারণে দেশ এখন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। দেশের মানুষের জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই। জীবিকার পথ আজ বন্ধের উপক্রম। এ অবস্থা চলতে থাকলে সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার যে লক্ষ্যে নিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছিলো তা কোনদিনও পূরণ হবে না।

তিনি বলেন, রাজনীতিবিদদের এমন রাজনীতি করা উচিৎ নয় যাতে মানুষের জীবন বিপন্ন হয়, অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যায়। অর্থনীতি ধবংস হলে পুরো দেশই অচল হয়ে যাবে। তাই দেশ ও দেশের জনগণের স্বার্থে সব দলকে আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় পৌঁছার আহ্বান জানান সংগঠনের সভাপতি।

সংগঠনের সভাপতি মির্জা ওয়ালিদ হোসানের সভাপতিত্বে মানবন্ধনে বক্তৃতা করেন যুব অর্থনীতিবিদ ফোরামের উপদেষ্টা মেজর (অবঃ) এম এম মেহবুব রহমান, উপদেষ্টা অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন, সৈয়দ মোজাম্মেল হোসেন শাহীন, আইনজীবী অ্যাডভোকেট নুরুজ্জামান তপন, বাংলাদেশ পুজা উদযাপন কমিটির সহ-সভাপতি রানা দাশ গুপ্ত, ব্যবসায়ী নিখিল চন্দ্র কর্মকার ও সমাজ সেবক বশির আহমেদ, রেজওয়ানুল করিম, ওয়াসিম সিদ্দিকী, শহীদুর রহমান শহীদ, পলাশ প্রমুখ।

ফোরামের উপদেষ্টা মেজর (অবঃ) এম এম মেহবুব রহমান বলেন, দুই দল গণতন্ত্র রক্ষার নামে গোটা দেশকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। দেশের প্রতিটি সেক্টর মুখ থুবড়ে পড়েছে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ভারতের প্রেসক্রিপশন বাস্তবায়ন করতে যেয়ে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। প্রতিটি পেশার মানুষকে রাস্তায় বসিয়ে দিচ্ছে।

সমঝোতামূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়ে মেজর (অব) মেহবুব বলেন, গণতন্ত্ররূপী যে স্বৈরতন্ত্র কায়েম হয়েছে, তা দেশকে হাজার বছর পিছিয়ে দিয়েছে। দেশের এই নাজুক অবস্থা থেবে পরিত্রাণের জন্য সমঝোতার কোনো বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

দুই দলের মধ্যে সমঝোতার আহ্বান ফোরামের উপদেষ্টা অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন বলেন, দুই দলের হানাহানির কারণে দেশের সবচেয়ে শ্রমঘন পোশাক শিল্প খাত আজ ধ্বংসের দারপ্রান্তে। এ অবস্থা চলতে থাকলে মালিকদের পক্ষে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ কঠিন হয়ে পড়বে। নতুন কর্মসংস্থানের পথও রূদ্ধ হয়ে যাবে। তখন সমাজে এক ধরনের অরাজকতা দেখা দিবে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রানের জন্য সবাইকে সমঝোতায় পৌঁছানোর আহ্বান জানান তিনি।

অ্যাডভোকেট নুরুজ্জামান তপন বলেন, সরকারের একদলীয় শাসন কায়েমের ফলে দেশ চরম সংকটে পড়েছে। পূজা উদযাপন কমিটির সহ-সভাপতি রানা দাশ গুপ্ত বলেন, দুই দলের হানা হানির কারণে বিভিন্ন পেশার মানুষের জীবন বিপন্ন হতে চলেছে।

তিনি বলেন, দেশবাসী দুই দলের কাছে দেশের মানুষ জিম্মি হয়ে পড়েছে। এ অবস্থা থেকে দেশবাসী পরিত্রাণ চায়। ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক নিখিল চন্দ্র কর্মকার বলেন, দেশে এমন ধ্বংসাত্মক ও সাম্প্রদায়িক কর্মকাণ্ড চলতে থাকলে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন কোনদিনও পূরণ হবে না। মানুষ হত্যা ও ধ্বংসাত্মক রাজনীতির ধারা পরিহার করে রাজনীতিবিদদের দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।


রাইজিংবিডি / নিয়াজ / সনি

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়