ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

‘বাজেটে পরিবারের ১ জনের চাকরির ব্যবস্থা থাকবে’

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০২:৫৯, ১১ মার্চ ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘বাজেটে পরিবারের ১ জনের চাকরির ব্যবস্থা থাকবে’

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, রপ্তানি, শিল্প ও প্রবৃদ্ধিকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। বাজেটে প্রত্যেক ঘরে অন্তত একজনকে চাকরি দেওয়ার কর্মসূচি বাস্তবায়নের উদ্যোগ থাকবে।

এ ছাড়া সরকারের আয় বাড়াতে আগামী ১ জুলাই থেকেই নতুন ভ্যাট আইন কার্যকর করার কথা বলেন তিনি।

রোববার রাতে রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় অর্থনীতিবিদ ও থিংট্যাক গ্রুপের সঙ্গে প্রাক-বাজেট বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘আমরা বিভিন্নভাবে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী নিয়ে কাজ করছি। প্রত্যেক ঘরে একজন করে চাকরি দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হবে আসন্ন বাজেটে। আর বাজেট হবে সহজ ও সরল। যাতে সাধারণ মানুষ তা সহজে বুঝতে পারে।’

তিনি জানান, আগামী অর্থবছরের জন্য প্রাথমিকভাবে বাজেটের আকার ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ ২৪ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা। যা চলতি অর্থবছরের বাজেটের চেয়ে প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা বা সাড়ে ১৩ শতাংশ বেশি।

অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, ‘বাজেট হচ্ছে মানুষের জন্য। সাধারণ মানুষ যাতে বোঝে সেভাবে এবার বাজেট করা হবে। বাজেট বক্তব্য হবে ছোট। তবে বাজেটে টাকার অঙ্ক কমবে না। রাজস্ব আহরণ আগের তুলনায় বাড়বে। শুধু বাজেট বক্তব্যে কথা-বার্তা কম হবে।’

আগামী বাজেটে নতুনত্ব কী থাকবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা হবে বাজেটকে সহজ করে উপস্থাপন করা।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি যেভাবে চলছে এটি অর্থনীতির জন্য সঠিক পথ নয়। এবার কাঠামোগতভাবে প্রত্যেক পরিবারের আয়ের পথ তৈরি করা হবে। এ জন্য প্রত্যেক পরিবার থেকে একটি মানুষের চাকরির ব্যবস্থা করতে পারি। এতে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ওপর চাপ কমে আসবে।’

ভ্যাট আইন কার্যকর প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পয়লা জুলাই থেকে তা কার্যকর করা হবে। তবে এটি পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে। শতভাগ সারা দেশে একসঙ্গে কার্যকর করতে পারব না। তবে পুরোপুরি বাস্তবায়নের জন্য আমাদের সময় দিতে হবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান পয়লা জুলাই থেকে কার্যকরের আশাব্যক্ত করছেন।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘দু’টি বিষয়কে বেশি ফোকাস দেয়া হবে। এক হচ্ছে গ্রামকে শহর বানাবো এবং যুব সমাজকে প্রকৃত অর্থনীতিতে অন্তর্ভুক্ত করে আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নের কাজ আগাবে।’

আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের বজেট প্রণয়নের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। জাতীয় বাজেট চূড়ান্ত করার আগে অর্থমন্ত্রী বাজেট প্রণয়নের নীতিগত বিষয়সমূহের ওপর খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে মতবিনিময় করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। তার এ অভিপ্রায় অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

এ সভায় দেশের থিংকট্যাংক প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস), ইকোনমিক রিসার্চ গ্রুপের (ইআরজি), বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির (বিইএফ), পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) স্বনামধন্য অর্থনীতিবিদরা ছাড়াও বাংলাদেশ জুট গুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।





রাইজিংবিডি/ঢাকা/১১ মার্চ ২০১৯/এম এ রহমান/ইভা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়