ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

শুল্ক ও ভ্যাট প্রত্যাহারসহ সাত দফা দাবি এমটবের

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:২৪, ২১ এপ্রিল ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শুল্ক ও ভ্যাট প্রত্যাহারসহ সাত দফা দাবি এমটবের

নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী বাজেটে মোবাইল ফোনের সিম ও রিমের ওপর আরোপিত সম্পূরক শুল্ক ও মূল্য সংযোজন কর প্রত্যাহারসহ সাত দফা দাবি জানিয়েছে মোবাইলে অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস বাংলাদেশ (এমটব)।

বর্তমানে সিম ও রিম সরবরাহ করতে ৩৬.৬৫ টাকা মূল্য সংযোজন কর এবং ৬৩.৩৫ টাকা সম্পূরক শুল্ক দিতে হয়।

রোববার এনবিআর কনফারেন্স কক্ষে প্রাক-বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে এমটবের প্রতিনিধি ও রবি আজিয়াটা লিমিটেডের সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ প্রস্তাবনাগুলো তুলে ধরেন।

এনবিআরের চেয়ারম্যানের মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে এ সময় বাংলাদেশ সিগারেট ম্যানুফ্যাকচার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ বেভারেজ ম্যানুফ্যাকচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব উইমেন এন্টারপ্রিনিয়ার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা এতে অংশগ্রহণ করেন।

সংগঠনের প্রস্তাবনাগুলো হচ্ছে-ট্যাক্স আপিলের জন্য অমিমাংসিত করের হার কমানো, ইন্টারনেট ব্যবহারের সারচার্জ অব্যাহতি এবং সর্বনিম্ন কর প্রত্যাহার দাবি জানানো হয়।

প্রস্তাবনার পরিপ্রেক্ষিতে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান মামলা মোকাদ্দমা করে কর দিতে দেরি করে। এক্ষেত্রে ২ থেকে ৩ বছরও লেগে যায়। সরকার যেন তার রেভিনিউ পায় এজন্য এটি করা হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে সব প্রতিষ্ঠানকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, মামলা মোকাদ্দমা না করে সরাসরি আসুন বসুন, আমরা সমাধানে চেষ্টা করবো।

তিনি বলেন, আমরা সবার প্রস্তাবগুলো গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। আলাপ আলোচনার মাধ্যমে আগামী বাজেটে সেগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হবে। রেভিনিউ আদায় এনবিআরের কাছে মুখ্য নয়। আমরা চাই দেশে ইনভেস্টমেন্ট আসুক। শুধু গার্মেন্ট নয় অন্যান্য কোম্পানিগুলো এক্সপোর্ট করুক। এক্ষেত্রে প্রচলিত ও অপ্রচলিত সব পণ্যই এক্সপোর্ট হোক।

বাংলাদেশ বেভারেজ ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. হারুনুর রশিদ স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত সব কোমল পানীয়র উপর থেকে সম্পূরক শুল্ক হার কমানোর দাবি জানান। তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোতে কোমল পানীয়ের স্থানীয় কর হার অনেক কম। ভারতে ৩৫ দশমিক ৩ শতাংশ, শ্রীলঙ্কায় ২৯ দশমিক ২ শতাংশ, নেপালে ২৪ দশমিক ২ শতাংশ, ভুটানে ৩০ শতাংশ, আর বাংলাদেশে তা ৪৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। অর্থ্যাৎ বাংলাদেশে এটি সর্বোচ্চ। ফলে বিনিয়োগকারীরা এখানে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন বলে তিনি মনে করেন।

তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এনবিআরের চেয়ারম্যান বলেন, আপনারা এনার্জি ড্রিংকস তৈরির জন্য বিএসটিআইয়ে আবেদন করুন। আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে সঙ্গে কথা বলে তার ব্যবস্থা করবো।

এমটবের প্রতিনিধি মাহতাবউদ্দিন টেলিযোগাযোগ শিল্পের বিকাশ নিশ্চিত করতে সরকারের সিম বিক্রয়ের ওপর আরোপিত সম্পূরক ও মূল্য সংযোজিত কর প্রত্যাহারের দাবি জানান।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ এপ্রিল ২০১৯/এম এ রহমান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়