ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

‘কালো টাকা সাদা করলে নির্বাচনী ইশতেহারের ব্যত্যয় ঘটবে’

আরিফ সাওন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৩৫, ১১ জুন ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘কালো টাকা সাদা করলে নির্বাচনী ইশতেহারের ব্যত্যয় ঘটবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক : কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিলে তা আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারের ব্যত্যয় ঘটবে বলে মনে করেন সিপিডির বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

তিনি বলেন, ‘সরকার নাকি কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেবেন। আমি মনে করি কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া উচিত হবে না।’

মঙ্গলবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। ‘জাতীয় অর্থনীতির পর্যালোচনা ও আসন্ন বাজেট প্রসঙ্গ’ শীর্ষক সম্মেলনের আয়োজন করে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে বলা হয়েছে- ঘুষ, অনুপার্জিত আয়, কালো টাকা, পেশিশক্তির মাধ্যমে উপার্জন করা, সেগুলোকে সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করা হবে। তাই কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হলে তা আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার ব্যত্যয় ঘটবে।

কার্ডধারী সকল কৃষককে ৫ হাজার টাকা করে প্রণোদনা দেওয়ার দাবি জানান তিনি। বলেন, ‘সম্প্রতি কৃষকদের প্রতি অন্যায় আচরণ করা হয়েছে। শিল্প ও কৃষির মধ্যে যে বাণিজ্য স্বত্ব থাকে, তা কৃষকের বিপরীতে গেছে। এটা যদি অব্যাহত থাকে আগামীতে বাংলাদেশে কৃষকদের টিকে থাকা খুবই কঠিন হবে। তাই কৃষকের বিষয়টি খুবই গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে।’

তিনি বলেন, আমরা সিপিডির পক্ষে খুব পরিষ্কারভাবে বলেছি কৃষকরা অবশ্যই সরকারের কাছে আর্থিক ভর্তুকি দাবি করতে পারেন। কার্ডধারী প্রত্যেক কৃষককে ব্যাংকের মাধ্যমে ৫ হাজার টাকা করে পাঠিয়ে দেওয়া উচিত। এতে ৯ হাজার কোটি টাকার মতো লাগবে।

তাদের ১০টি সুপারিশের মধ্যে কৃষকদের বিষয়টি রেখেছেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সিপিডির ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিনিয়র রিসার্স ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান। সম্মেলনে সিপিডির পক্ষ থেকে ১০টি সুপারিশ তুলে ধরা হয়।

সেগুলো হলো: রাজস্ব আহরণের সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা; সরকারি ব্যয় সুশৃঙ্খলভাবে করা, যাতে অবচয় না হয়; কর ছাড়ের হিসাব সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে; সঞ্চয়পত্রের সুদের হার সমন্বয় করা এবং সঞ্চয়পত্র বিক্রির পরিমাণ কমিয়ে আনতে হবে; প্রত্যেক কৃষককে ৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দিতে হবে; ব্যাংক কমিশন গঠন ও সুদের হার বাজার ব্যবস্থাপনার ওপর ছেড়ে দিতে হবে; পুঁজিবাজারের সংস্কারের ক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দিতে হবে; সরকারি প্রতিষ্ঠান অডিট করে সংস্কারের উদ্যোগ নিতে হবে; সামাজিক খাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে এবং টাকার অবমূল্যায়ন করতে হবে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১১ জুন ২০১৯/সাওন/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়