ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ওয়ালটন ফ্রিজ বিক্রির সাফল্যে পুরস্কার পেল ৫০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান

এম মাহফুজুর রহমান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৩৪, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ওয়ালটন ফ্রিজ বিক্রির সাফল্যে পুরস্কার পেল ৫০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান

এম মাহফুজুর রহমান : রেফ্রিজারেটর বিক্রিতে রেকর্ড সৃষ্টি করে চলেছে দেশের ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত দেশের বাজারে প্রায় ১৭ লাখ ইউনিট ফ্রিজ এবং ফ্রিজার বিক্রি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এই আট মাসে গত বছরের এই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ৫১ শতাংশ। দেশব্যাপী চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন ফোর- এর আওতায় দেয়া বিভিন্ন সুবিধা এই সাফল্যের পেছনে বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে।

ক্যাম্পেইনে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে বিক্রয় বৃদ্ধিতে বিশেষ অবদান রাখায় ওয়ালটন ও মার্সেলের ২০টি বিক্রয় প্রতিষ্ঠান এবং ৩০ জন কর্মকর্তাকে পুরস্কৃত করেছে কর্তৃপক্ষ।

ফ্রিজ বিক্রির এই সাফল্য উদযাপনে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় (৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯) রাজধানীর ওয়ালটন করপোরেট অফিসে ‘ডিজিটাল ক্যাম্পেইন ব্র্যান্ডিং অ্যাওয়ার্ড ও বেস্ট এরিয়া ম্যানেজার ইভাল্যুয়েশন অ্যাওয়ার্ড জুলাই-২০১৯’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‘অর্জনের পথে সকলের সাথে ১৯ এ ২০’ স্লোগানে ওই অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম আশরাফুল আলম।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী পরিচালক ইভা রিজওয়ানা, এমদাদুল হক সরকার, নজরুল ইসলাম সরকার, এস এম জাহিদ হাসান, হুমায়ূন কবীর, সিরাজুল ইসলাম, মো. রায়হান, আরিফুল আম্বিয়া, ড. সাখাওয়াৎ হোসেন ও আমিন খান, ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মো. ফিরোজ আলম, শাহজাদা সেলিম ও মো. শাহ আলম, অপারেটিভ ডিরেক্টর রবিউল আলম ভুঁইয়া, মিডিয়া উপদেষ্টা এনায়েত ফেরদৌস।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, শুধু ফ্রিজই নয়, এ বছর সব ধরনের পণ্য বিক্রিতে সফল ওয়ালটন। এর পেছনে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন বড় ভূমিকা রেখেছে। গত ১০ বছরে অন্যান্য সব প্রতিষ্ঠানের তুলনায় বাংলাদেশের সবচেয়ে দ্রুত অগ্রগতির (ফাস্টেস্ট গ্রোইং) প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ঈদুল আজহা উপলক্ষে ফ্রিজ ক্রেতাদের মিলিয়নিয়ার হওয়ার সুযোগ দিয়েছিল ওয়ালটন। গত জুলাই মাসের ১ তারিখ থেকে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-৪ এর আওতায় ‘কে হবেন আজকের মিলিয়নিয়ার’ ক্যাম্পেইনে ক্রেতাদের জন্য ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার বা ১০ লাখ টাকা পাওয়ার সুযোগ থাকছে সেপ্টেম্বরের ৩০ তারিখ পর্যন্ত।

উল্লেখ্য, অনলাইনে দ্রুত বিক্রয়োত্তর সেবা নিশ্চিত করতে সারা দেশে এই ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে ওয়ালটন। রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে ক্রেতার নাম, ফোন নম্বর এবং ক্রয়কৃত পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য ওয়ালটনের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এর ফলে ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে গেলেও দেশের যেকোনো ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত কাঙ্ক্ষিত সেবা মিলবে।

ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে সারা দেশ থেকে ইতিমধ্যেই ২০ জনেরও বেশি ক্রেতা মিলিয়নিয়ার হয়েছেন। অসংখ্য ক্রেতা ১ লাখ টাকা করে পেয়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন অঙ্কের নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচারসহ ফ্রিজ, টিভি ও নানান ধরনের ইলেকট্রনিক্স পণ্য ফ্রি পেয়েছেন হাজার হাজার ক্রেতা। 

ওয়ালটন ফ্রিজের ব্র্যান্ডিং অ্যাওয়ার্ড পেলেন যারা

মাইশা এন্টারপ্রাইজ (ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া), এম আর ইলেকট্রনিক্স, মেসার্স আল নূর ইলেকট্রনিক্স (হোমনা, কুমিল্লা), মোহনা এন্টারপ্রাইজ (মিরপুর, ঢাকা), আনাস ইলেকট্রনিক্স (টঙ্গী, গাজীপুর), মুহি ইলেকট্রনিক্স (সিরাজগঞ্জ), মেসার্স সনি কর্নার (বাগেরহাট), মেসার্স আরিফ ইলেকট্রনিক্স (সিরাজগঞ্জ), ইলেকট্রনিক্স ভিলেজ (চাঁদগাঁও, চট্টগ্রাম), ওয়ালটন প্লাজা (রাজগঞ্জ, কুমিল্লা), বিসমিল্লাহ ইলেকট্রনিক্স (চট্টগ্রাম), মেসার্স সাজু এন্টারপ্রাইজ (মেহেরপুর), মেসার্স উজ্জ্বল ইলেকট্রনিক্স (টাঙ্গাইল), ন্যাশনাল ইলেকট্রনিক্স (কেরাণীগঞ্জ), ওয়ালটন প্লাজা (দিনাজপুর), মেসার্স কবীর ট্রেডার্স (বগুড়া), জুনায়েদ ইলেকট্রনিক্স ও মোটরস (কুমিল্লা)।

মার্সেল ফ্রিজ ব্র্যান্ডিং অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো

ভিশন ইলেকট্রনিক্স (চট্টগ্রাম), মোমো ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স (লক্ষ্মীপুর), বাঁধন এন্টারপ্রাইজ (সিলেট)।

ওয়ালটন ফ্রিজের ব্র্যান্ডিং অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত এরিয়া ম্যানেজার

আসাদুজ্জামান, মাসুদ সোহেল, শওকত হোসেন, মাসুদ সোহেল, মওদুদ পারভেজ মামুন, বিকাশ চন্দ্র সরকার, নেছার উদ্দীন তারেক, বিকাশ চন্দ্র সরকার, তারেকুল হক, মোর্শারফ হোসেন, জহিরুল ইসলাম।

মার্সেল ফ্রিজের ব্র্যান্ডিং অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত এরিয়া ম্যানেজার

আমির হোসেন, শাখাওয়াত হোসেন ও আসাদুল ইসলাম।

বেস্ট এরিয়া ম্যানেজার ইভাল্যুয়েশন অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত এরিয়া ম্যানেজার

হাসানুজ্জামান, ফজলে রাব্বি সিদ্দিক, আসাদ্জ্জুামান, সুব্রত দাস, নাজমুল হায়দার, মোজাম্মল হক, আমামুল কবির, হারুন অর রশিদ, মো. ইসমাঈল ও মামুন আহমেদ।

পুরস্কার পাওয়ার পর অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে চট্টগ্রামের আনোয়ারার ওয়ালটনের পরিবেশক শোরুম ‘বিসমিল্লাহ ইলেকট্রনিক্স’- এর স্বত্তাধিকারী রেজাউল করিম বলেন, ‘২০০৮ সাল থেকে ওয়ালটনের সঙ্গে কাজ করছি। আমি ওয়ালটনের প্রতি কৃতজ্ঞ। ওয়ালটনের সঙ্গে আজীবন থাকব। ওয়ালটন ছাড়াও আরো অনেক কোম্পানির সঙ্গে কাজ করেছি। কিন্তু ওয়ালটন যে সম্মান দিয়েছে তা আর কোথাও পাইনি।’

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯/মাহফুজ/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়