ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

গ্রীসের আন্তর্জাতিক মেলায় বাংলাদেশের পাট

হাসান মাহামুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৪৯, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
গ্রীসের আন্তর্জাতিক মেলায় বাংলাদেশের পাট

কূটনৈতিক প্রতিবেদক: গ্রীসে অনুষ্ঠিত ৮৪তম থেসালোনিকি আন্তর্জাতিক মেলায় অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ। পাটের আন্তর্জাতিক বাজার তৈরির লক্ষ্যে মেলায় বাংলাদেশ অন্যান্য পণ্যের সাথে উপস্থাপন করছে সোনালী আঁশ খ্যাত পাট ও পাটপণ্য। মেলায় বাংলাদেশের স্লোগান হচ্ছে ‘বাংলাদেশ, স্বপ্ন বাণিজ্য ও বিনিয়োগের গন্তব্য’।

সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

গত ৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় গ্রীক প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিতসোটাকিস মেলার উদ্বোধন করেন। এই বছর ভারত ‘অনার কান্ট্রি’ হিসেবে নিজেদের পণ্য এবং পরিষেবা মেলায় প্রদর্শনের সুযোগ পাচ্ছে।

থেসালোনিকি আন্তর্জাতিক মেলা গ্রীস এবং পুরো বালকান অঞ্চলে সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। ভৌগোলিক ও বাণিজ্যিক কারণে এই মেলা বিনিয়োগকারী, ব্যবসায়ী ও এই অঞ্চলের খুচরা বিক্রেতাদের কাছে একটি আকর্ষণীয় উপলক্ষতে পরিণত হয়েছে। এমনকি বিশ্বের নামিদামি উত্পাদনকারীরাও এই মেলায় অংশ নেয়। গত বছর এই মেলায় বিস্ময়করভাবে ২ লাখ ৮৪ হাজার দর্শনার্থী অংশ নেয়। এবার মেলায় ৩ লাখের বেশি অংশ নেবে বলে আশা করছে আয়োজকরা।

অর্থনৈতিক কূটনীতির অংশ হিসেবে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ গত তিন বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে এই মেলায় অংশ নিচ্ছে। বাংলাদেশের পক্ষে অ্যাথেন্স অ্যাম্বাসী গ্রিসের থেসালোনিকি উত্তর বন্দর নগরীতে অনুষ্ঠিত এই মেলায় অংশ নিচ্ছে। গ্রিস এবং তার প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সর্ম্পক বাড়ানোর লক্ষ্যে মেলায় এবার বাংলাদেশী স্টলটি একটি প্রচারমূলক এবং তথ্য বুথ হিসাবে কাজ করছে।

এই বছর পাট খাতের প্রতিনিধিত্বকারী বাংলাদেশী ব্যবসায়ী সম্প্রদায় প্রথমবারের মতো এই মেলায় পাট এবং পাটের পণ্য প্রদর্শন করছে। গ্রীস ও বলকান অঞ্চলে পাটের বাজার তৈরির লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে।

বাংলাদেশের পাট খাতের তিনটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলও মেলায় অংশ নিচ্ছে। মেলায় বাংলাদেশ সরকারের এবং ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের ব্যবসায়ীদের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকেরও সুযোগ পাবেন।

গ্রীস এবং ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের বিভিন্ন দেশ প্রতিবছর বাংলাদেশ এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলো থেকে বিপুল পরিমাণ পাটজাত পণ্য আমদানি করে। তাই এই মেলা বাংলাদেশের পাটজাত পণ্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ জোন হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।


রাইজিংবিডি/ঢাকা/৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯/হাসান/সাজেদ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়