ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

‘দেশের অর্থনীতি দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে’

বিশেষ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:২৫, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘দেশের অর্থনীতি দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে’

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। আর সেই সঙ্গে নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে।

২০৩০ সালের মধ্যে এ দেশের জনগণ শতভাগ কর্মসংস্থানের আওতায় আসবে। আর ২০৪১ সালের মধ্যে অর্থনৈতিকভাবে উন্নত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান হবে ২০তম দেশের মধ্যে বলে অর্থমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।

শনিবার জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৩তম জন্মদিন উপলক্ষে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন। শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মো. রকিবুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সংসদ সদস্য মাহমুদ-উস-সামাদ চৌধুরী, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান জামালউদ্দিন আহমেদ।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী প্রায় আমাকে বলেন, এ দেশের বেদে, কামার-কুমার, তাঁতী, কৃষক শ্রমিক প্রত্যেক পরিবারে যেন অন্তত একজনের চাকরির ব্যবস্থা হয়, সে ব্যবস্থা করে দাও। আমি বিশ্বাস করি, ২০৩০ সালের মধ্যে শতভাগ জনগণ কর্মসংস্থানের আওতায় আসবে।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের দারিদ্র্য সীমার হার ২১ শতাংশ। ২০৩০ সালের মধ্যে এটাকে আমরা শূন্য বা ৩ শতাংশে নামিয়ে আনতে চাই। ২০৩০ সালে এদেশে কোনো মানুষ আর দরিদ্র থাকবে না।’

মুস্তফা কামাল বলেন, ‘গত ১০ বছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধিতে আমরা বিশ্বের সবার উপরে, এটা বিশ্বব্যাংক, আইএমএফের তথ্য। ২০২৭ সালের মধ্যে বিশ্বের ২৬তম দেশ হবে বাংলাদেশ। ২০৩০ সালের মধ্যে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডের ওপর থাকবে বাংলাদেশ।’

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহনকারী শিশু-কিশোরদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমাকে অনুসরণ করো কিছুটা হলেও উপকৃত হবে। আমি স্কুলে বেতন দিতে পারিনি তাই এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার আগে তিনবার খাতা থেকে নাম কাটা গেছে। তারপর গ্রামের মানুষ বেতন দিলে পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি পেয়েছি। একইভাবে এইচএসসি পরীক্ষাতেও বেতন দিতে পারিনি। গ্রামের মানুষের সাহায্য নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছি।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমি লজিং থেকে টিউশনি করে পড়ালেখা করেছি। তারপর আজকে অর্থমন্ত্রী হয়েছি। আমি মনে করি, তোমরাও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে আগামীতে অর্থমন্ত্রী হতে পারবে। বাবা-মা এবং গুরুজনকে শ্রদ্ধা করতে হবে। একদিন তোমরাই দেশ পরিচালনা করবে। সেভাবেই নিজেদের গড়ে তোলো।’

অনুষ্ঠানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘প্রতিবছর আইসিটি মন্ত্রণালয় থেকে ২০০ মেধাবী শিক্ষার্থীকে একটি করে ল্যাপটপ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। যাতে করে তারা আইটি খাতে নিজেদের মেধার স্বাক্ষর রাখতে পারে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার মাধ্যমে একদিন বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম সমৃদ্ধিশালী দেশে পরিণত হবে। সে দিন আর বেশি দূরে নয়।’

 

ঢাকা/হাসনাত/ইভা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়