ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

চলতি বছরই ডিমে স্বয়ংসম্পূর্ণ হচ্ছে দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৫০, ১১ অক্টোবর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
চলতি বছরই ডিমে স্বয়ংসম্পূর্ণ হচ্ছে দেশ

চলতি বছরই বাংলাদেশ ডিমে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করবে বলে জানিয়েছেন প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু।

শুক্রবার বিশ্ব ডিম দিবস  উপলক্ষে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) মতে সুস্থ থাকার জন্য প্রত্যেকের বছরে নূন্যতম ১০৪টি ডিম খাওয়া দরকার। সরকারের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী ২০১৮-১৯ অর্থবছরেই সে লক্ষ্যপূরণের খুবই কাছাকাছি ছিল দেশ। ডিমের মাথাপিছু কনজাম্পশন ছিল ১০৩টি। এ বছর সে লক্ষ্য অবধারিতভাবেই পূর্ণ হতে চলেছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে মাথাপিছু ডিম খাওয়ার পরিমান ১০৫টিতে উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘এ অর্জনের মধ্য দিয়ে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভূটানসহ বিভিন্ন দেশকে পেছনে ফেলে এগিয়ে থাকবে বাংলাদেশ। এটি প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বড় একটি সাফল্য।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ সাফল্যের অন্যতম অংশীদার এদেশের ডিম খামারিরা। তবে পণ্যের দাম না পাওয়ার কারণে অনেক সময়ই ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন তৃণমূলের খামারিরা। তাই তাদের ঝরে পড়া রোধ করতে পোল্ট্রি বীমা চালুর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে । শিশুদের পুষ্টি ও সুস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে স্কুলের টিফিনে সিদ্ধ ডিম দেয়ার বিষয়টিও গুরুত্বের সাথে ভাবছে সরকার।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে ওয়ার্ল্ড’স পোল্ট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন-বাংলাদেশ শাখার সভাপতি ফজলে রহিম খান শাহরিয়ার জানান, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দেশে ডিমের উৎপাদন ছিল ১৫৫১ দশমিক ৬৬ কোটি, এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১৭১০ দশমিক ৯৭ কোটি। ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রায় এক হাজার ৭৮১ কোটি ডিম উৎপাদিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ডিমের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে সঠিক ধারণা দিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ্যসূজিতে ডিমকে অন্তর্ভূক্ত করার প্রস্তাব রাখেন বিপিআইসিসি’র সভাপতি মসিউর রহমান।

প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন বলেন, পোল্ট্রি পণ্য রপ্তানিতে সব ধরনের নীতিগত সহায়তা দেবে সরকার। প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে প্রায় সাড়ে তিনশ’ কোটি টাকার একটি অনুমোদন করেছে সরকার।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. হীরেশ রঞ্জন ভৌমিক বলেন, ডিম নিয়ে যে সব অপপ্রচার আছে তা দূর করতে পারলে ডিম খাওয়ার পরিমান আরও বাড়বে। আগামীদিনগুলোতে ডিমের উৎপাদন আরও বাড়বে এবং সেই সাথে অপুষ্টির হার কমবে।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. খালেদা ইসলাম এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব পোল্ট্রি সায়েন্সে’র অধ্যাপক ড. ইলিয়াস হোসেন বলেন, ডিমকে বলা হয় পরিপূর্ণ খাদ্য। ভিটামিন ও মিনারেলে সমৃদ্ধ এমন একটি প্রাকৃতিক আদর্শ খাবার পৃথিবীতে খুব কমই আছে।



ঢাকা/হাসিবুল/শাহেদ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়