ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

ওয়ালটনের রিভারাইন গোল্ডেন নতুন ইনভার্টার এসি বাজারে

মিলটন আহমেদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:৩৭, ১ ডিসেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ওয়ালটনের রিভারাইন গোল্ডেন নতুন ইনভার্টার এসি বাজারে

সাধ্যের মধ‌্যে সাশ্রয়ী দামে আমাদের দেশের আবহাওয়া ও অবকাঠামো বিবেচনায় নিয়ে ওয়ালটন বেশ কয়েক বছর ধরে  ভালো মানের স্প্লিট এয়ার কন্ডিশনার তৈরি এবং বাজারজাত করে আসছে।

বর্তমানে ওয়ালটনের বিভিন্ন মডেলের এসি দেশব্যাপী মানুষের কাছে বহুল ব্যবহৃত এবং বেশ জনপ্রিয়ও বটে।

ওয়ালটন সম্প্রতি বাজারে নিয়ে এসেছে একদম নতুন মডেলের একটি এয়ার কন্ডিশনার WSI-RIVERINE (Golden) -18C (Smart)। এটি ওয়ালটনের রিভারাইন সিরিজের নতুন সংযোজন। রিভারাইন সিরিজে এর আগে ওয়ালটন বেশ কয়েকটি নন ইনভার্টার এসি নিয়ে এসেছে। WSI-RIVERINE (Golden) -18C (Smart) এটি ১৮০০০ বিটিইউ তথা ১.৫ টনের ইনভার্টার এসি, যার বর্তমান বাজার মূল্য ৬৭ হাজার টাকা।

●          মডেল : WSI-RIVERINE (Golden) -18C [Smart]

●          ক্যাপাসিটি : দেড় টন

●          ওয়াট : ৫২৭৫

●          দাম : ৬৭,০০০

রিভারাইন (স্মার্ট) হলো একটি আইওটি (ইন্টারনেট অব থিংস) প্রযুক্তি সুবিধাসম্পন্ন এসি। যার ফলে এটা ওয়াইফাইয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন স্মার্ট ডিভাইস, যেমন স্মার্টফোন দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। এই এসিকে ‘গুগল হোম’ এর মতো স্মার্ট হোম কন্ট্রোলার ডিভাইসের সঙ্গে যুক্ত করেও নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। এ ছাড়া মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমেও এই এসি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

যেহেতু এই এসি ওয়াইফাইয়ের সঙ্গে যুক্ত থাকতে সক্ষম, তাই এসির কাছে না থাকলেও অন‌্য যেকোনো জায়গা থেকে অ্যাপসের মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

এসির রিমোর্ট সবসময় হয়ত হাতের কাছে থাকে না, তবে মুঠোফোন সবসময়ই আমাদের সঙ্গে থাকে, এ কারণে এসি নিয়ন্ত্রণ হবে আরো স্মার্ট। একের অধিক এসি, এই একটি সিঙ্গেল অ্যাপস বা অ্যাপলিকেশন ব্যবহার করে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।  এর পাশাপাশি অ্যাপস থেকে এসির দৈনিক পাওয়ার কন্সামপশন রিপোর্ট, স্ট্যাটিস্টিক রিপোর্ট, পারফর্মেন্স ডাটা ইত্যাদি তথ্য পাওয়া যাবে।

রিভারাইন (স্মার্ট) একটি ইনভার্টার প্রযুক্তির এসি। নন-ইনভার্টার এসি ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে  অন-অফ হওয়ার মাধ্যমে। এখানে এসি পূর্ণ শক্তিতে চালু হওয়ার পর ঘরের তাপমাত্রা আরামদায়ক অবস্থায় এলে এসির কমপ্রেসর বন্ধ হয়ে যায়। আবার ঘরের তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে গেলে, তখন চালু হয়। এভাবে বারবার এসি চালু ও বন্ধ হওয়ার কারণে, এসি বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করে, যার ফলে বিদ্যুৎ খরচ বেড়ে যায়।

অন্যদিকে ইনভার্টার প্রযুক্তির এসি প্রথমে পূর্ণ শক্তিতে চালু হয়। পরে রুমের পরিবেশের আরামদায়ক তাপমাত্রা ঠিক রেখে এসিটি শক্তি খরচ কমিয়ে নিয়ে আসে। এভাবে কম শক্তিতে চলার কারণে কম বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয় এবং বিদ্যুৎ খরচ কমে আসে। ইনভার্টার প্রযুক্তির এসিটিতে ব্রাসলেস ডিসি মোটর ব্যবহার করা হয়েছে, যার ফলে এটি খুবই স্মুথ এবং নিঃশব্দের সঙ্গে কাজ করতে সক্ষম। এতে করে রাতে ঘুমানোর সময় এই এসি থেকে অনাকাঙ্ক্ষিত এমন কোনো যান্ত্রিক শব্দ আসবে না, যা আপনার ঘুমকে বিঘ্নিত করতে পারে। তাই এই এসিটি তার নিজের কাজ খুব ভালোভাবে করে যাবে একদম নিঃশব্দে পূর্ণ দক্ষতার সঙ্গে।

ঘর কতোটা এবং কত দ্রুত ঠাণ্ডা হবে তা নির্ভর করে এসির ভিতর থাকা ফ্যানের ওপর। এই ফ্যান যত বেশি বড় হবে, এই এসিকে এর ফলে তত বেশি কার্যকর বলা যাবে। এই এসিতে থাকছে তুলনামূলক বড় ক্রস ব্লো ফ্যান। আর এর ফলে বাজারের অন্য সব এসির চাইতে এই এসির কুলিং স্পিড হবে বেশি তাড়াতাড়ি। আর এই ক্রস ব্লো ফ্যানটি অতো বেশি নয়েসি নয়, খুবই সাইলেন্টলি এর কাজ করে যায়।

এই এসি মাল্টি ডাইরেকশনে বাতাস প্রবাহ করতে সক্ষম। অনেক এসি শুধু এক দিকেই বাতাস প্রবাহ করে, যার ফলে যারা কেবল এসির সামনে থাকে তারাই বাতাস পায়, ঘরের কোনায় বা অন্য কোনো স্থানে থাকা কেউ বাতাস পায় না। তবে রিভারাইন এসির মাল্টি ডাইরেকশনে বাতাস প্রবাহ করার ফলে সব দিকেই প্রায় সমান শীতল বাতাস প্রবাহিত করা যাবে।

রিভারাইন (স্মার্ট) এসিতে ১৬ থেকে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা বাছাই করার রেঞ্জ রয়েছে। অনেক এসিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পাওয়া যায় ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, তবে এতে সর্বনিম্ন ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পাওয়া যাবে।

আবাসিক এবং বাণিজ্যিক এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহারের জন্য আর৪১০ এ হলো একটি মানসম্মত রেফ্রিজারেন্ট গ্যাস। আগে আর২২ ব্যবহার করা হতো যা ছিল ওজোন স্তর জন্য খুবই মারাত্মক। অন্যদিকে আর৪১০ এ রেফ্রিজারেন্ট ওজোন স্তর এবং পরিবেশের সেই ক্ষতি করে না।

শুধু এসি কিনলেই কি হবে? সেই এসিটি কতোটা বিদ্যুৎ খরচ করবে? আর আদৌ সেটি কতোটা বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হবে এই বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে। বিদেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ইলেক্ট্রিসিটির মাত্রা ঠিক নয়, আর সেই এসিগুলো তাদের দেশের জন্য উপযোগী করে বানানো। ফলে সেই সব এসি আমাদের জন্য ভালো হচ্ছে কি না তা কেনার আগে বোঝার উপায় থাকে না। আর এই কারণে পরে ফাঁকিতে পড়তে হয়।

এসির মত উচ্চ ওয়াট এর যন্ত্রের ক্ষেত্রে কোইফিসিয়েন্ট অব পারফর্মেন্স খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একটি এসির কোইফিসিয়েন্ট অব পারফর্মেন্স পয়েন্ট যতো ভালো হবে, এসিটি ঠিক ততো কর্মদক্ষতা সম্পন্ন এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হবে। আর এই দিক থেকেও রিভারাইন (স্মার্ট) এসিটি সঠিক অবস্থানে আছে।

রিভারাইন (স্মার্ট) এসিটি দেখতে এবং অন্যসব এসির সঙ্গে তুলনা করতে ক্রেতারা এখনই যেতে পারেন তাদের কাছের ওয়ালটন প্লাজায়। ওয়ালটন এসিতে রয়েছে ছয় মাসের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি।

ওয়ালটন এসির কম্প্রেসরে পাওয়া যাচ্ছে সর্বোচ্চ ১০ বছরের ওয়ারেন্টি। আরো তিন বছর পর্যন্ত ফ্রি বিক্রয়োত্তর সুবিধা। সারা দেশে আইএসও সনদপ্রাপ্ত ওয়ালটন সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম কর্তৃক পরিচালিত ৭২টি সার্ভিস সেন্টার রয়েছে। যেখানে যেকোনো সমস্যায় খুব সহজেই সেবা পাওয়া যাবে।

 

ঢাকা/ইভা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়