ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

ঋণ প্রবাহ বাড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন উদ্যোগ

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:১৪, ১৯ জানুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ঋণ প্রবাহ বাড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন উদ্যোগ

পুঁজিবাজার ও বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ বাড়াতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর অংশ হিসেবে ব্যাপক মুদ্রা সরবরাহ (ব্রড মানি) বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ২০২০ জুন শেষে ব্যাপক মুদ্রা সরবরাহ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ১২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে উন্নিত করা হয়েছে ১৩ শতাংশে।

এছাড়াও ব্যাংকিং খাত থেকে সরকারের ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা পরিবর্তন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মুদ্রানীতি (২০২০ জুলাই-জুন) ঘোষিত ব্যাংক থেকে সরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি ২৩ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে ৩৭ দশমিক ৭ শতাংশে উন্নিত করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মনিটারি পলিসি কমিটি (এমপিসি)-এর ৪৫তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের মনিটারি পলিসি ডিপার্টমেন্ট প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ব্যাংকিং খাতে নিট বৈদেশিক সম্পদ বৃদ্ধির পাশাপাশি ব্যাংক বহির্ভূত খাত (প্রধানতঃ সঞ্চয়পত্র) থেকে সরকারের ঋণ সংগ্রহের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। তবে বেসরকারি খাতে গৃহীত ঋণের লক্ষ্যমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে।

এতে বলা হয়, সার্বিক অর্থ ও ঋণ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে নীতি সুদ হারে কোনো পরিবর্তন না এনে সার্বিক সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি ও দেশের পুঁজি বাজারসহ বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবাহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ব্যাপক মুদ্রা সরবরাহ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ অর্থনীতির গতি-প্রকৃতির ওপর বিস্তারিত আলোচনার পর চলতি অর্থবছরের মুদ্রা ও ঋণ কর্মসূচিতে কিছুটা পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বাণিজ্য ঘাটতি বাড়লেও রেমিট্যান্সের অন্তর্মুখী প্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় সার্বিকভাবে জিডিপি প্রবৃদ্ধি মুদ্রানীতিতে প্রক্ষেপিত ৮ দশমিক ২ শতাংশের কাছাকাছিই থাকবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হচ্ছে।

এছাড়া, আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলসহ অন্যান্য পণ্যের মূল্যেও কিছুটা বেড়েছে। এর ফলে সাধারণ মূল্যস্ফীতি ৫.৫ শতাংশের মধ্যে সীমিত রাখা কিছুটা চ্যালেঞ্জিং।  তারপরেও অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতে পণ্যসামগ্রীর সরবরাহ পরিস্থিতির কাঙ্ক্ষিত উন্নতির ফলে অর্থবছর শেষে তা লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছিই থাকবে বলে ধারণা করা হয়।

এদিকে, সরকারের গৃহীত অবকাঠামোগত বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের সূত্রে বৈদেশিক ঋণের অন্তঃপ্রবাহ ও সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধির সূত্রে আর্থিক হিসাবে উদ্বৃত্ত থাকায় চলতি অর্থবছর শেষে সার্বিক লেনদেন ভারসাম্যে প্রায় ৪১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার উদ্বৃত্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে, মুদ্রা ও ঋণ কর্মসূচিতে ব্যাংকিং খাতে নিট বৈদেশিক সম্পদের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি করা সমীচীন হবে বলে সভায় মত প্রকাশ করা হয়েছে।


ঢাকা/হাসান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়