ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

সবজিতে সয়লাব বাজার, কিন্তু দাম কমেনি

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:০৮, ২৪ জানুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সবজিতে সয়লাব বাজার, কিন্তু দাম কমেনি

শীতের সবজিতে সয়লাব বাজার। কিন্তু কোনো সবজির দামই ৩০ টাকার কমে নেই। পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমলেও এখনো নাগালের বাইরে। দুই টাকা থেকে ৭ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে চালের দাম। মাছ-মাংসেও চড়া মূল্য। ফলে নিত্যপণ্যের দাম ক্রেতাদের নাগালের বাইরে বলে অভিযোগ রয়েছে।

শুক্রবার সকালে রাজধানীর বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। বাজার করতে আসা ক্রেতারা অভিযোগ করছেন, সব পণ্যেরই মূল্য বেশি। আর বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে বেশি দাম থাকায় বাজার অস্থির।

শুক্রবার রাজধানীর রায়ের বাজার, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, ফুলকপি ও বাঁধাকপি প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৩৫ ও ৩০ টাকা আর দেশি লাউ পিস প্রতি দাম ৮০ টাকা।  টমেটো কেজি ৩৫ টাকা,  নতুন লাল আলু ৩০ টাকা, সাধারণ নতুন আলু ২৫ টাকা,  গাজর প্রতিকেজি  ৩০ টাকা,  চিচিঙ্গা কেজি ৭০ টাকা, বেগুনের কেজি ৪০ টাকা, করলা কেজি ৬০ টাকা, শিম কেজি ৪০ টাকা, শিমের বিচির কেজি ১২০ টাকা,  পেঁপের কেজি ৪০ টাকা,  শালগম কেজি ৩০ টাকা,  মটরশুটি কেজি ৮০ টাকা, মরিচ কেজি ৬০ টাকা, খিরা ৪০ টাকা এবং মুলা ৪০ টাকা। এছাড়া লেবুর হালি ২০ টাকা।

রায়ের বাজারের বিক্রেতা মেহাম্মদ সেন্টু বলেন, ‘শীতের সবজিতে ক্রেতারা আরো কম দাম চান। কিন্তু পাইকারি বাজার থেকে বেশি দামে কেনা ও পরিবহন খরচ বাদে একটু বেশি দামেই বিক্রি করতে হয়।’

এদিকে কৃষি মার্কেটে দেখা গেছে, গরুর মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকায়, ব্রয়লার মুরগি কেজি প্রতি ১২৫ টাকা, লাল কক ২২০ টাকা। ব্রয়লার মুরগির ডিম ডজন প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকায়, হাঁসের ডিমের ডজন ১৫০ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ডজন ১৮০ টাকা, এবং কোয়েল পাখির ডিম ১০০ পিস বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়।

মশলার বাজার ঘুরে দেখা গেছে দারুচিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৬০ টাকা, লবঙ্গ কেজি ১০০০ টাকা, এলাচ কেজি ৪২০০ টাকা, কাঠবাদাম কেজি ৯০০ টাকা, জিরা কেজি ৩৬০, মেথির কেজি ১২০ টাকা।

মাছের বাজারে ছোট রুই বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা থেকে ২৮০ টাকা পর্যন্ত, বড় রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকা কেজি, তেলাপিয়া মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা থেকে ১৮০ টাকা, পোয়া মাছ ৪৫০ টাকা কেজি, পাবদা মাছ ৫০০ টাকা কেজি, কাতল মাছ ৩৫০ টাকা কেজি, চিংড়ি মাছ ৬০৯ থেকে ৮০০ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে।

চালের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মোটা মিনিকেট চাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়, চিকন মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৩৮ টাকা থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত, নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা থেকে শুরু করে ৭০ টাকা পর্যন্ত। দেশি মশুর ডাল কেজি ১০০ টাকা ইন্ডিয়ান মশুর ডাল ৭০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

চাল বিক্রেতা সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘গত সপ্তাহ থেকে এ সপ্তাহে চালের দাম বেড়েছে। কেজিতে দুই টাকা থেকে শুরু করে ৭ টাকা পর্যন্ত চালের দাম বেড়েছে।’

দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা ও তুরস্ক থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা করে।

পেঁয়াজ বিক্রেতা আব্দুর রহমান বলেন, ‘পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে।’

রায়ের বাজারে আসা ফরহাদুজ্জামান বলেন, ‘সবকিছুর দামই একটু বেশি। মৌসুমের পেঁয়াজ বাজারে এসেছে, কিন্তু দাম ১০০ এর কাছাকাছি। সবজির যেখানে ১৫ থেকে ২০ টাকা হওয়ার কথা, সেখানে ৩০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না। মধ্যবিত্তদের জন্য এ দাম নাগালের বাইরে।’

আসিফ হাসান বলেন, ‘মাংসের দাম কিছুটা ঠিক আছে। কিন্তু মাছের বাজার চড়া। ডিমেরও দাম বেশি।’

 

ঢাকা/নূর/মাহি

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়