ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

‘চীনের সঙ্গে বাণিজ্যিক বিষয় পর্যবেক্ষণ করছে সরকার’

বিশেষ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:০১, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘চীনের সঙ্গে বাণিজ্যিক বিষয় পর্যবেক্ষণ করছে সরকার’

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অর্থনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। করোনাভাইরাস নিয়ে দেশটি এখন বড় সংকটে পড়েছে। শুধু তাই নয়, বিশ্বব্যাপী এ নিয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ পরিস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের বিষয়ে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে চীনের সাম্প্রতিক অবস্থা বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করেন বাণিজ্যমন্ত্রী। পরে তিনি সাংবাদিকদের সামনে বৈঠকের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। এ সময় বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন। বৈঠকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি, এনবিআর প্রতিনিধি, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের প্রতিনিধিসহ অন্যান্য ব্যবসায়ী নেতা ও সরকারের অন্যান্য স্টেকহোল্ডারের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আজকের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, আগামী তিন দিনের মধ্যে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য বিষয়ে একটি প্রতিবেদন দেবে এফবিসিসিআই। এ প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সরকার পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবে।

তিনি বলেন, তৈরি পোশাক খাতের কাঁচামালসহ অন্যান্য পণ্য আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে এই মুহূর্তে কোনো সমস্যা নেই। তবে করোনাভাইরাস সমস্যা দীর্ঘায়িত হলে চিন্তার বিষয়। চীনের সঙ্গে যেসব সেক্টরে বাণিজ্য রয়েছে, বিশেষ করে বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএসহ সংশ্লিষ্টরা এ বিষয়ে কাজ করছে। অল্প কিছুদিনের মধ্যে বোঝা যাবে। ব্যবসায়ীরাও বিষয়টি পর্যালোচনা করছেন। যথাসময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

টিপু মুনশি বলেন, করোনাভাইরাস নিয়ে যে সমস্যা চলছে, উভয় দেশের বাণিজ্য ক্ষেত্রে এর প্রভাব পর্যালোচনা করে সরকার সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে। এ সমস্যা বেশি দিন অব্যাহত থাকলে আগামী দিনের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তথা সরকার এ বিষয়ে সতর্ক রয়েছে। শুধু বাংলাদেশ নয়, পৃথিবীর সব দেশ বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করছে। বাংলাদেশ সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এ বিষয়ে কাজ করছে।

এই মুহূর্তে চীন থেকে পণ্য আমদানি বন্ধ আছে কি না, জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এখনো পণ্য আমদানি বন্ধ হয়নি। তবে করোনাভাইরাস দীর্ঘমেয়াদি হলে আমাদের সমস্যা হতে পারে। ভোগ্যপণ্য হয়তো সহজেই অন্য দেশ থেকে আমদানি করা যাবে। কিন্ত তৈরি পোশাক খাতের কাঁচামালসহ অন্যান্য পণ্য আমদানি করতে হয়, তা ভাবার বিষয়। কারণ, এসব পণ্য আমদানির জন‌্য বিকল্প দেশ খুঁজে পাওয়া কঠিন।

চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস আতঙ্কে সারা বিশ্ব। তাই বিশ্বের বেশকিছু দেশ ইতোমধ্যে চীনের সঙ্গে নানা ধরনের সংযোগ বিছিন্ন করেছে। দেশটির সঙ্গে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হওয়ায় আতঙ্কিত বাংলাদেশও। তাই চীন ও পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে পণ্য আমদানি-রপ্তানির বিষয়ে কৌশল নির্ধারণে এ বৈঠক হয়।


ঢাকা/হাসনাত/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়