ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

চট্টগ্রাম বন্দরে কার্গো হ্যান্ডলিং অপারেটর নিয়োগ হচ্ছে

কেএমএ হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:২০, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
চট্টগ্রাম বন্দরে কার্গো হ্যান্ডলিং অপারেটর নিয়োগ হচ্ছে

চট্টগ্রাম বন্দরে জিসিবি এলাকায় বার্থ নম্বর-৪ ও ৮ এ কার্গো হ্যান্ডলিং অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে ৫ বৎসরের জন্য বার্থ অপারেটর (কার্গো) নিয়োগ করতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।

দুটি বার্থ অপারেটর নিয়োগে ভ্যাট, ট্যাক্সসহ মোট ব্যয় হবে ৫৬ কোটি ৮২ লাখ ৩৪ হাজার টাকা। বন্দর কর্তৃপক্ষের নিজস্ব অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে।

সূত্র জানায়, এক ধাপ দুই খাম পদ্ধতিতে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের জিসিবি এলাকায় বার্থ নম্বর-৪ ও ৮ এ কার্গো হ্যাডলিং অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে ৫ বৎসরের জন্য বার্থ অপারেটর নিয়োগ করা হবে। এক নম্বর লটের বার্থ নম্বর-৪ এর জন্য মেসার্স ইউনাইটেড ট্রেডিং কোম্পানি ২৮ কোটি ৪২ লাখ ৫৭ হাজার টাকা এবং লট নম্বর-২ এর বার্থ নম্বর-৪ এর জন্য মেসার্স পঞ্চরাগ উদয়ন সংস্থা লিমিটেড ২৮ কোটি ৩৯ লাখ ৭৭ হাজার টাকা উল্লেখ করে দরপত্রে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদন পেলে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে। এজন্য প্রস্তাবটি কমিটির পরবর্তী বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে।

সূত্র জানায়, আলোচ্য প্যাকেজের অধীন ২টি লটে বার্থ নং-৪ ও ৮ এর জন্য বার্থ অপারেটর (কার্গো) নিয়োগের লক্ষ্যে গত ২০১৯ সালের ২ অক্টোবর দরপত্র আহ্বান করা হয়। দরপত্র বিজ্ঞপ্তিটি কয়েকটি জাতীয় সংবাদপত্রে প্রকাশ করা হয়। এছাড়া দরপত্র বিজ্ঞপ্তিটি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইট, সিপিটিইউ ওয়েবসাইট ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে লট নং-১ (বার্থ নং-৪) এর জন্য ৩টি প্রতিষ্ঠান অর্থাৎ মেসার্স ইউনাইটেড ট্রেডিং কোম্পানি, মেসার্স এ ডব্লিউ খান অ্যান্ড কোং লি. ও মেসার্স রুহুল আমিন অ্যান্ড ব্রাদার্স দরপত্র দাখিল করে। অপরদিকে লট নং-২(বার্থ নং-৮) এর জন্য ৩টি প্রতিষ্ঠান অর্থাৎ মেসার্স ফোর জুয়েল স্টিভিডোরিং সিন্ডিকেট লি., মেসার্স পঞ্চরাগ উদয়ন সংস্থা লি. ও মেসার্স কসমস এন্টারপ্রাইজ সর্বমোট ৬টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে।

সূত্র জানায়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ক্রমে দরপত্রগুলো যাচাই-বাছাই ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে  সুপারিশসহ প্রতিবেদন পেশ করার জন্য ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি (টিইসি) গঠন করা হয়। পাশাপাশি চট্টগ্রম বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ৩ জন কর্মকর্তার সমন্বয়ে দরপত্র উন্মুক্তকরণ কমিটি গঠন করা হয়। দরপত্রগুলো উন্মুক্তকরার পর দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির কাছে উপস্থাপন করা হয়। দরপত্র মূল্যায়ন ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর দরপত্রগুলোর কারিগরি মূল্যায়ন প্রতিবেদন দাখিল করে। কারিগরি মূল্যায়নে লট নং-১ (বার্থ নং-৪) এর জন্য লট নং-২ (বার্থ নং-৮) এর জন্য ৩টি প্রতিষ্ঠানের দরপত্র রেসপন্সিভ ঘোষণা করে।

সূত্র জানায়, আলোচ্য কাজের বিপরীতে এইচওপিই কর্তৃক ভ্যাট ও ট্যাক্সসহ ৩৩ কোটি ২৩ লাখ ৪৪ হাজার টাকা প্রাক্কলন করা হয়। তার আলোকে পরবর্তী পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক প্রস্তাব মূল্যায়ন করা হয়। মূল্যায়ন প্রতিবেদনে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে লট নং-১, বার্থ নং-৪ এর জন্য মেসার্স ইউনাইটেড ট্রেডিং কোম্পানি এবং লট নং-২, বার্থ নং-৮ এর জন্য মেসার্স পঞ্চরাগ উদয়ন সংস্থা লিমিটেডের সর্বনিম্ন দর অনুমোদনের সুপারিশ করে। বিষয়টি গত বছর ৩১ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের বোর্ড সভায় উপস্থাপন করা হয়। বোর্ড সভায় দরপ্রস্তাব অনুমোদন শেষে তা মন্ত্রণালয় হয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে।

 

ঢাকা/হাসনাত/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়