ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধু যুবঋণ পাচ্ছেন ২ লাখ যুবক-যুবতী

কেএমএ হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৫৫, ১৯ মার্চ ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বঙ্গবন্ধু যুবঋণ পাচ্ছেন ২ লাখ যুবক-যুবতী

দেশের প্রশিক্ষিত দুই লাখ যুবক-যুবতী পাবেন বঙ্গবন্ধু যুবঋণ। এজন্য যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ও কর্মসংস্থান ব্যাংকের মধ্যে সম্প্রতি একটি সমঝোতা চুক্তি সই হয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু যুবঋণ কর্মসূচির আওতায় ২ লাখ বেকার যুবক যুবতীদের ঋণ দেওয়া হবে। এদের সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা করে জামানতবিহীন ঋণ দেওয়া হবে। ঋণের সুদের হার হবে ৯ শতাংশ। এসব বেকার যুবক-যুবতীদের অবশ্যই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হতে হবে।

সূত্র জানায়, যোগ্য ঋণগ্রহীতাদের দেওয়া ঋণের মেয়াদ হবে সর্বোচ্চ ৫ বছর।  তবে এই ঋণ পেতে একজন জামিনদারের  প্রয়োজন হবে।  প্রকল্প এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করেন এবং প্রকল্প এলাকায় যার বাড়িঘর/জমি-জমা আছে ও ঋণ  পরিশোধে সক্ষম তিনিই এ ঋণ পাওয়ার যোগ্য হবেন। এছাড়াও আবেদনকারীর পিতা/মাতা/স্বামী/স্ত্রী /তৃতীয় কোনো ব্যক্তি জামিনদার হতে পারবেন। একজন জামিনদার সর্বোচ্চ দুইজন নিয়মিত ঋণগ্রহীতার হতে পারবেন। সরকারি/আধা সরকারি/স্বায়াত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তি নিজস্ব প্রতিষ্ঠানের নিয়ম অনুসরণ সাপেক্ষে জামিনদার হতে পারবেন। তবে কোনো ঋণ খেলাপিঋণ নেওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন না।

সূত্র জানায়, গত ১৬ মার্চ এ বিষয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের আওতাধীন কর্মসংস্থন ব্যাংক ও যুব মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী  উপলক্ষে এই কর্মসূচি চালু করা হয়েছে।

জানা গেছে, এই ঋণ বিতরণ কর্মসূচি চলতি ২০২০ ও আগামী ২০২১ সাল পর্যন্ত চলমান থাকবে। কর্মসংস্থান ব্যাংকের নিজস্ব তহবিল থেকে এই কর্মসূচি পরিচালনা হবে। ঋণের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বেকার যুবদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করা, এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়তা, উৎপাদনমুখী অর্থনৈতিক কর্মাকাণ্ডকে উৎসাহিত করা, উদ্ভাবনী ধারণা বাস্তবায়নে সহযোগিতা করা, জিডিপিতে যুবদের অবদান বৃদ্ধি, দারিদ্র্য বিমোচন সহায়তা করা, যোগ্য উদ্যোক্তা শ্রেণি গড়ে তোলা এবং নারী উদ্যোক্তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া।

ঋণপ্রাপ্তি যোগ্যতা সম্পর্কে বলা হয়েছে, ঋণ আবেদনকারীকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে এবং ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা হতে হবে জেএসসি বা সমমান। আবেদনকারী প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বেকার বা অর্ধ বেকার হতে হবে। বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৩৪ বছরের মধ্যে।

সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ নয় এমন যেকোনো খাত বা প্রকল্পের জন্য এই ঋণ নেওয়া যাবে।  ঋণ আদায় পদ্ধতি সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘মাঠে আদায়ের ক্ষেত্রে ঋণ আদায় রশিদের মাধ্যমে এবং অফিসে আদায়ের ক্ষেত্রে ডেবিট, নগদ ভাউচারের মাধ্যমে ঋণ আদায় করতে হবে।’

আলোচ্য কর্মসূচির আওতায় কোনো ঋণ মেয়াদ শেষে অনাদায়ী থাকলে তা মেয়াদোত্তীর্ণ বঙ্গবন্ধু যুবঋণ কর্মসূচির খাতে স্থানান্তর করা হবে।  চলতি বছরেই ঋণ বিতরণ কর্মসূচি  ৫০ ভাগ অর্জন করতে হবে।

 

হাসনাত/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়