ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

ফল-লেবুর চাহিদা বেশি, বেড়েছে দামও

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:০০, ২৯ মার্চ ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ফল-লেবুর চাহিদা বেশি, বেড়েছে দামও

সবজির বাজারে স্বস্তি। প্রতিটি সবজির দামই কেজিতে ১০ টাকা করে কমেছে। টানা ছুটিতে রাজধানীর অধিকাংশ মানুষই গ্রামে ফিরেছে। আর এ কারণেই ক্রেতার সংখ্যাও কম। বাজারে তেমন হাঁক-ডাক নেই। ক্রেতার সন্তুষ্টিতেই বিক্রেতা পণ্য ছেড়ে দিচ্ছেন। করোনাভাইরাসের কারণে লেবুর চাহিদা বেশি থাকায় দামও একটু বেশি। সবচেয়ে ভিন্ন চিত্র ফলের বাজারে। দাম বেশ চড়া।

রোববার (২৯ মার্চ) সকালে সরেজমিনে যাত্রাবাড়ী বাজার ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ সবজিই পাওয়া যাচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে। বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় কমেছে মাছের দাম। গত সপ্তাহের তুলনায় ডিমের দামও কমেছে হালিতে ৫ টাকা। আর গরুর মাংসের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও সপ্তাহ ঘুরে কমেছে মুরগীর দাম।

ঢেঁড়শ, বরবটি, পটল বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি দরে। করলা ২৫, পেঁপে ১৫, মুলা ১০, চিচিঙা, শিম, ধুন্দল ২৫ টাকা করে। বেগুন ২০ টাকা, লতি ৪০, টমেটো প্রকারভেদে ১০ থেকে ২০ টাকা কেজি, শসাও ১০ থেকে ২০ টাকা, গাজর ১৫ টাকা, লাউ ১৫ থেকে ২০ টাকা, বাঁধাকপি প্রতি পিস ১৫ টাকা, ফুলকপি ১০ টাকা, কুমড়া প্রকার-আকার ভেদে ৩০ থেকে ৪৫ টাকা, লেবুর হালি পাওয়া যাচ্ছে ২০ থেকে ৩৫ টাকায়। মরিচের কেজি ৩০ টাকা, ধনিয়া পাতা ৪০ টাকা।

এসব সবজির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ১০ টাকা থেকে ১৫ টাকা করে কমেছে।

আলু বিক্রি হচ্ছে আগেই দাম ২০ টাকা করে। পালংশাক, কলমিশাক ৫ টাকা করে আঁটি। আর পুঁইশাক, লাউশাক বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা করে। আর থানকুনির পাতার আঁটি বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা করে।

চিটাগংরোড থেকে সবজি কিনতে আসা স্থানীয় ব্যবসায়ী বিল্লাল বলেন, কয়েকদিন ধরে সবজির দাম কম। করোনাভাইরাসের কারণে অধিকাংশ লোকজন ঢাকা থেকে গ্রামে যাওয়ায় সবজির দাম কমেছে। কেজিতে প্রায় ১০ থেকে ১৫ টাকা করে কম দাম সবজির।

যাত্রাবাড়ীর ব্যবসায়ী সুমন জানান, বাজারে সবজির আমদানি বেশি কিন্তু কাস্টমার কম। এজন্য সবজির দাম কমেছে।

তবে বাজারে বেড়েছে মৌসুমি ফলের দাম। পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও মৌসুমি ফল তরমুজের দাম একটু বেশিই। আকার ভেদে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা থেকে ২৫০ টাকায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এক তরমুজ বিক্রেতা বলেন, দাম ঠিকই আছে। আকার বড় হলে তো দাম বেশিই হবেই।

বেল আকার ভেদে প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা থেকে ৫০ টাকায়। বেড়েছে আঙ্গুর, আপেল, কমলা, মাল্টার দামও। গত সপ্তাহে ১৬০ টাকায় বিক্রি হওয়া আঙ্গুর এখন ২২০ টাকা, ১৩০ টাকার মাল্টা ১৬০ টাকা, কমলা বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা যা গত সপ্তাহে ছিল ১০০ থেকে ১৩০ টাকা। ১২০ টাকা আপেল বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা।

ফল ব্যবসায়ী মো. নয়ন বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে ফলের দাম বেড়েছে। মানুষের ফল খাওয়ার চাহিদা বাড়ছে আবার বর্ডার বন্ধ রয়েছে, আর মাল আনতে বেশি ভাড়া গুণতে হচ্ছে। এজন্য ফলের দাম বাড়তি। গত সপ্তাহে এক ক্যারেট আঙ্গুর নিয়েছিলাম ২২০০ থেকে ২৩০০ টাকা। আর আজকে নিয়েছি ৩১০০ টাকায়। সবচেয়ে বেড়েছে কমলার দাম। ১৬০০ টাকার কমলা এখন ৩২০০ টাকা।

গত সপ্তাহে ৩৫ টাকা করে বিক্রি হওয়া মুরগীর ডিম এখন ৩০ টাকা করে হালি। দেশি মুরগীর ৭০ টাকা থেকে কমে হয়েছে ৬০ টাকা, হাঁসের ডিমের দাম হালিতে ৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা।

আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ, রসুন। দেশি পেঁয়াজ ৪০ টাকা, ভারতীয় ৩৫ টাকা কেজি, দেশি রসুন ৮০ টাকা আর ভারতীয়টা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা করে।

এদিকে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৭০ টাকা, পোলট্রি মুরগীর দাম কেজিতে ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা করে। পাকিস্তানি মুরগী ২৪০ টাকা, লেয়ার ২০০ টাকা। তবে দেশি মুরগী আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৪শ টাকা করে।

অপরিবর্তিত রয়েছে চাল, ডাল, তেলের দাম। নাজিরশাল বিক্রি হচ্ছে ৫৬ টাকা, মিনিকেট ৫৮, লতা ৪৫ আর মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে। তেল বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা করে। দেশি ডাল ১২৫ আর ভারতীয়টা ৭০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

 

ঢাকা/মামুন খান/এসএম

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়