ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

পোশাক খাতে বড় ধাক্কা, ২৫ হাজার কোটি টাকার অর্ডার বাতিল

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৫৩, ৪ এপ্রিল ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
পোশাক খাতে বড় ধাক্কা, ২৫ হাজার কোটি টাকার অর্ডার বাতিল

করোনায় বড় আকারে ধাক্কা খেলো দেশের তৈরি পোশাক খাত। এরই মধ্যে এই খাতের প্রায় সাড়ে ২৫ হাজার কোটি টাকার অর্ডার বাতিল হয়েছে। শনিবার (৪ এপ্রিল) পর্যন্ত এক হাজার ৯৯টি কারখানার ৯৪ কোটি ৫০ লাখ পিস অর্ডার বাতিল বা স্থগিত হয়ে গেছে। যেখানে ২০ লাখ ১৮ হাজারের বেশি শ্রমিকের কর্মসংস্থান রয়েছে। বাংলাদেশ পোশাক উৎপাদন ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)-এর সর্বশেষ (৪ এপ্রিল পর্যন্ত) হিসাব থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

বিজিএমইএ বলছে, বাতিল অর্ডারের সংখ্যা হিসাব করলে, এর পরিমাণ দাঁড়িয় ৯৪ কোটি ৫০ লাখ পিস। যার আর্থিক মূল্য প্রায় সাড়ে ২৫ হাজার কোটি টাকা। এর আগে, গত ২৮ মার্চ পর্যন্ত পোশাক খাতে ৮৩ কোটি ২০ লাখ পিস অর্ডার বাতিল হয়েছিল। যার আর্থিক মূল্য সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকারও বেশি।

এ বিষয়ে বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের প্রভাবে ভয়াবহ অবস্থা চলছে আমাদের তৈরি পোশাক খাতে। বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ীরা অর্ডার বাতিল করে দিচ্ছেন। যদিও তারা বলছেন স্থগিত। তবে, আমাদের জন্য স্থগিত ও বাতিল একই জিনিস।’

এদিকে, সংকট উত্তরণে বিশ্বমানের চতুর্থ ধাপের পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) তৈরির পাশাপাশি বিদেশে রপ্তানির পরিকল্পনা নিয়েছে বিজিএমইএ। আগামী ছয় থেকে এক বছরের মধ্যে পিপিই সেক্টরের রপ্তানি বাজারে প্রবেশ করার পরিকল্পনা রয়েছে সংগঠনটির। এরমধ্যে ডজন খানেক প্রতিষ্ঠান পিপিই তৈরি শুরু করেছে। বিজিএমইএ মনে করে, বাংলাদেশ যদি শুরুতে ওই বাজার ধরতে পারে, তাহলে পোশাক-শিল্প খাত আবারও ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হবে।

দেশে তৈরি পিপিইগুলো প্রথম স্তরের উল্লেখ করে  রাইজিংবিডিকে রুবানা হক বলেন, ‘করোনার চিকিৎসা কাজে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রয়োজন তৃতীয় ও চতুর্থ স্তরের পিপিই। আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য বিশ্বমানের ওই ধরনের পিপিই তৈরি করে বিদেশে রপ্তানি করা। ইতোমধ্যে আইএলও, ডব্লিউএইচও, ডব্লিএফপি, ইউনিসেফ এবং অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করেছি। তাদের সহায়তায় ৬ মাস থেকে এক বছরের মধ্যে এই সেক্টরকে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় উন্নত করতে পারবো।’

এদিকে, করোনার প্রাদুর্ভাব ও জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি বিবেচনায় তৈরি পোশাক কারখানাগুলো ৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। ভিন্ন কোনো সিদ্ধান্ত না হলে  রোববার (৫ এপ্রিল) থেকে খুলতে যাচ্ছে এই কারাখানাগুলো। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) আওতাধীন কারখানাগুলো শনিবার থেকে পুনরায় কাজ শুরু করেছে।

 

ঢাকা/এমএরহমান/এনই

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়