ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজে রিয়েল এস্টেট খাতে বরাদ্দের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:১৭, ৫ এপ্রিল ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজে রিয়েল এস্টেট খাতে বরাদ্দের দাবি

আবাসন শিল্পে বিনিয়োগকারীদের তাৎক্ষণিক সংকট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে রিয়েল এস্টেট খাতে বরাদ্দ দেওয়ার জন্য দাবি জানিয়েছে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ‌্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)।

রোববার (০৫ এপ্রিল) বিকেলে রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট আলমগীর শামসুল আলামিন (কাজল) স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট বলেন, সারা বিশ্বে করোনাভাইরাস মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। আমাদের বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়েছে মারাত্মকভাবে।  যে কারণে দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের অর্থনীতি। এই প্রেক্ষাপটে রোববার প্রধানমন্ত্রী যে ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন সেজন্য রিহ্যাবের পক্ষ থেকে স্বাগত জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, বৈশ্বিক এই সংকটে সারা বিশ্বের জন্য অনুকরণীয় এই আর্থিক সহায়তার প্যাকেজ একটি সময়োপযোগী এবং যুগান্তকারী পদক্ষেপ। প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আমরা রিহ্যাবের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাই এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

শামসুল আলামিন বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রিয়েল এস্টেট খাত।  কারণ এই খাতের সঙ্গে অনেকগুলো লিংকেজ শিল্প জড়িত। আবাসন শিল্পের সঙ্গে ৩৫ লাখ নাগরিকের কর্মসংস্থান জড়িত। ডেইলি বেসিস এখানে কয়েক লাখ শ্রমিক কাজ করেন। আবাসন শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হলে অন্যান্য খাতেও এর মারাত্মক প্রভাব পড়বে। ফলে অর্থনীতিতে সূদরপ্রসারী নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

২০১১ সালে আবাসন খাতে যে সংকট তৈরি হয় সেটি দূর হতে কয়েক বছর লেগে যায়।  খাতটি সংকট কাটিয়ে যখন ঘুঁরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে তখন আবার করোনাভাইরাসের আঘাত শুরু হয়েছে। বর্তমান সময়ে যে সংকট তা থেকে রক্ষায় এখনই কার্যকর সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে।

রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট সরকারের প্রতি কিছু দাবি জানান। সেগুলো হচ্ছে, অবিলম্বে আবাসন শিল্পে বিনিয়োগকারীদের তাৎক্ষণিক সংকট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে রিয়েল এস্টেট খাতে বরাদ্দ দেওয়া, আবাসন ব্যবসায়ীদের বিদ্যমান ঋণের সুদ ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত মওকুফ ও সহজ শর্তে পুনঃতফসিল করা, বর্তমান পরিস্থিতিতে দীর্ঘমেয়াদি সংকট নিরসনে আবাসন শিল্পে ২০০৭-০৮ সালের মতো হাউজিং রি-ফিন্যান্সিং স্কিম পুনঃপ্রচলন করা, রিহ্যাব, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, এফবিসিসিআই এবং এনবিআর এর সমন্বয়ে গঠিত ওয়ার্কিং গ্রুপের সভায় বাংলাদেশের আবাসন শিল্পের সমস্যা সমাধান এবং সার্বিক উন্নয়নের জন‌্য নেওয়া সুপারিশগুলো অবিলম্বে বাস্তবায়ন করা।

তিনি বলেন, পদক্ষেপ নিলে আমাদের রিয়েল এস্টেট খাত আবার ঘুঁরে দাঁড়াবে। অন্যান্য লিংকেজ শিল্প আবার গতিশীল হবে এবং বিস্তার লাভ করবে।  ফলে অর্থনীতি স্বাবলম্বী হবে। করোনাভাইরাস সংকট কেটে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রবৃদ্ধি আবার বৃদ্ধি পাবে। এজন্য উপরোক্ত দাবি বাস্তবায়ন করার জন্য আমরা রিহ্যাব এর পক্ষ থেকে জোর দাবি জানাই।


ঢাকা/হাসিবুল/জেডআর

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়