ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

বন্ধ পোশাক কারখানা লে-অফ ঘোষণার দাবি বিজিএমইএ’র

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:১১, ১৫ এপ্রিল ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বন্ধ পোশাক কারখানা লে-অফ ঘোষণার দাবি বিজিএমইএ’র

বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে যেসব পোশাক কারখানা বন্ধ রয়েছে সেগুলো লে-অফ বা সাময়িক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করতে দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি বিজিএমইএ।

বিধান অনুযায়ী লে-অফ ঘোষণা করলে শ্রমিকরা বেতনের অর্ধেক পাবে এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধাও পাবে।

বুধবার (১৫ এপ্রিল) কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের মহাপরিদর্শকের কাছে এ দাবি জানিয়েছে বিজিএমইএ।

সংগঠনটির সভাপতি ড. রুবানা হক সই করা এ সংক্রান্ত চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয়ে মহামারি রূপ দেওয়ার কারণে আন্তর্জাতিক ক্রেতারা তাদের ক্রয়াদেশের বাতিলসহ চলমান অর্ডারের উৎপাদন কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও ক্রেতারা উৎপাদিত পণ্য শিপমেন্ট না করা এবং মজুদ করা ফেব্রিক্স না কাটার জন্য নির্দেশনা জারি করেছেন। করোনাভাইরাসের মহামারি আকার ধারণ করায় মার্চ মাসের চতুর্থ সপ্তাহে যখন বন্ধের ঘোষণা দেয়, তখন কারখানা মালিকের ধারণা ছিল স্বল্প সময়ের মধ্যে কারখানা খুলে দেওয়া যাবে। তাই মালিকরা কেউ শ্রম আইনের ধারা উল্লেখ না করে বন্ধ ঘোষণা করে৷ আবার কেউ আইনের ১২ এবং ১৬ ধারার বিধান উল্লেখ করে বন্ধ ঘোষণা দেন। যদিও এ ধরনের পরিস্থিতিতে ১২ এবং ১৬ ধারার বিধান ছাড়া বন্ধের কোনো বিধান নেই।

‘ইতোমধ্যে অধিকাংশ কারখানা মার্চ মাসের মজুরি পরিশোধ করছেন। এপ্রিল মাসের মজুরি হিসাবের সময় সরকারঘোষিত পাঁচ হাজার কোটি টাকা ঋণ গ্রহণের আবেদন করতে গিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে।  এই কঠিন পরিস্থিতিতে যেসব কারখানা কোনো ধরনের ধারা উল্লেখ না করে এবং যেসব আইনের ১২ এবং ১৭ ধারার বিধান উল্লেখ করে ঘোষণা দিয়েছে। সব কারখানাকে লে-অফ হিসেবে গণ্য করে আপনার দপ্তর থেকে সুস্পষ্ট ঘোষণা দেওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।’

অন্যদিকে সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে দেওয়া এক অডিও বার্তায় বিজিএমইএ বলেছে, ‘২৪ লাখ ৭২ হাজার শ্রমিকের মধ্যে বুধবার পর্যন্ত ১৯ লাখ ১৯ হাজার ৬০০ জন তথা ৭৮ শতাংশ শ্রমিক মার্চের বেতন পেয়েছেন।  আগামীকালের মধ্যে ৮০ শতাংশ পোশাক শ্রমিক বেতন পাবেন।  বাকি ২০ শতাংশ শ্রমিকের বকেয়া বেতন ২০ এপ্রিলের মধ্যে পরিশোধ করা হবে।’

এখন পর্যন্ত করোনার কারণে তৈরি পোশাক খাতের ৩ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ইউএস ডলার সমপরিমাণ ক্রেতাদের অর্ডার বাতিল ও স্থগিত হয়েছে।


ঢাকা/এম এ রহমান/জেডআর

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়