ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

গ্রামীণফোনের প্রথম প্রান্তিকের নিট মুনাফা হাজার কোটি টাকা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৪৮, ২২ এপ্রিল ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
গ্রামীণফোনের প্রথম প্রান্তিকের নিট মুনাফা হাজার কোটি টাকা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত টেলিকমখাতের কোম্পানি গ্রামীণফোনের চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) নিট মুনাফা হয়েছে এক হাজার ৭ কোটি টাকা।  আর ওই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭.৯২ টাকা।  এছাড়া উল্লেখিত প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির রাজস্ব আয় করেছে ৩৬২০ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় যা ৩.৭ শতাংশ বেশি।

বুধবার (২২ এপ্রিল) গ্রামীণফোনের হেড অব এক্সটার্নাল কমিউনিকেশন্স মুহাম্মদ হাসান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, প্রথম প্রান্তিক শেষে প্রতিষ্ঠানটির মোট গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ৫৩ লাখ। যার মধ্যে ৫৩.৬ শতাংশ বা ৪.০৪ কোটি গ্রাহক ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। প্রথম প্রান্তিকে ইন্টারনেট থেকে রাজস্ব গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৪.৬ শতাংশ বেড়েছে।

গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান বলেন, ‘২০২০ সালের প্রথম প্রান্তিকে আমরা ধারাবাহিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছি। মার্চ পর্যন্ত এনওসি অনুমোদনের ওপর  নিয়ন্ত্রক সংস্থার বিধিনিষেধ থাকায় আমরা পরিকল্পিত বিনিয়োগ করতে পারিনি। অন্যদিকে প্রথম প্রান্তিকের শুরু থেকে আমাদের নম্বর সংকট দেখা দিয়েছিল, যেটি মোট গ্রাহকের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।  তবে চমৎকারভাবে বাজার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন এবং নেটওয়ার্কে আমাদের শক্তিশালী অবস্থান ধরে রাখার মাধ্যমে আমরা ব্যবসায়িক সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের ধারাবাহিক প্রচেষ্টায় প্রথম প্রান্তিকের শেষে ফোরজি গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক কোটি ৪২ লাখ।’

ইয়াসির আজমান বলেন, ‘বাংলাদেশে কভিড-১৯ এর কঠিন পরিস্থিতিতে আমাদের পার্টনার, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন  ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় আমরা গ্রাহক সেবায় সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। একই সঙ্গে এই কঠিন সময়ে আমরা সামাজিকভাবে আমাদের অবদান নিশ্চিত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।  সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একত্রিত হয়ে আমরা আমাদের প্রযুক্তি দক্ষতা দিয়ে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালাচ্ছি এবং একই সঙ্গে ডেটা অ‌্যানালাইসিস ব্যবহার করে করোনাভাইরাসের বিস্তার নিরূপণে ম্যাপিংয়ে সহায়তা করছি।’

তিনি বলেন, ‘করোনা মোকাবিলায় সম্মুখযোদ্ধাদের জন্য আমরা ৫০ হাজার মেডিক্যাল গ্রেড প্রফেশনাল পিপিই এবং পরীক্ষার জন্য ১০ হাজার পিসিআর টেস্টিং কিট বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছি।’

গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে আমরা এনওসির অনুমোদন পাওয়া শুরু করেছি।  আমরা আশা করি সামনের দিনগুলো আমাদের গ্রাহক সেবার মান আরও উন্নত করতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

এদিকে গ্রামীণফোনের সিএফও ইয়েন্স বেকার বলেন, ‘প্রথম প্রান্তিকে গ্রামীণফোনের প্রবৃদ্ধি কমেছে। আমাদের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারনে চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও আমরা ইন্টারনেটে শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি অর্জনে সক্ষম হয়েছি। ডিজিটাল বাংলাদেশের বির্নিমাণের অংশীদার হিসাবে আমরা আমাদের বিনিয়োগ অব্যাহত রাখবো। আমাদের শেয়ারহোল্ডার ও গ্রাহকদের জন্য আরও বেশি মানসম্মত সুযোগ সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যে শক্তিশালী নেটওর্য়াক নির্মাণ ও বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়নে আমাদের বিনিয়োগ অব্যাহত থাকবে।’

প্রথম প্রান্তিকে নেটওয়ার্ক উন্নয়নে গ্রামীণফোন ৪০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে।  উল্লেখিত প্রান্তিকে নেটওর্য়াক আধুনিকায়নের পাশাপাশি ১৯৭টি নতুন ফোরজি সাইট করা হয়েছে।  মার্চ ২০২০ পর্যন্ত গ্রামীণফোনের মোট নেটওয়ার্ক সাইটের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬,৫৪২।  ভ্যাট, ফোরজি লাইসেন্স ফি, স্পেকটার্ম অ‌্যাসাইনমেন্ট ফি, ডিউটি ও ফিস বাবদ প্রথম প্রান্তিকে সরকারি কোষাগারে ২৪৬০ কোটি টাকা দিয়েছে, যা মোট আয়ের ৬৮ শতাংশ।


ঢাকা/এনটি/জেডআর

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়