পুঁজিবাজারে লেনদেন চালুর অনুমতি চেয়ে ডিএসইর চিঠি

সারাদেশে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে বিভিন্ন শর্ত অব্যাহতি চেয়ে পুঁজিবাজারের লেনদেন চালুর জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে অনুমতি চেয়ে চিঠি দিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ।

রোববার (৩ মে) ডিএসই কর্তৃপক্ষ এ চিঠি পাঠিয়েছে বলে বিএসইসি’র নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সাইফুর রহমান রাইজিংবিডিকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘রোববার ডিএসই’র কাছে থেকে আমরা একটি চিঠি পাঠিয়েছি। সেখানে করোনা পরিস্থিতিতে লেনদেন চালু করা বিষয়ে আবেদন জানানো হয়েছে। চিঠিতে অনেক বিষয়ে ওপর অব্যাহতি চাওয়া হয়েছে। বিএসইসি চিঠিটি পর্যালোচনা করেছে।

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় চলমান সাধারণ ছুটির সঙ্গে মিল রেখে ছুটি চলছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে। সংশ্লিষ্ট অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোও বন্ধ আছে। আর এ কারণে বন্ধ আছে পুঁজিবাজারের লেনদেনও। আর লেনদেন বন্ধ থাকার বিষয়টি নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে চলছে নানা আলোচনা।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আয়োজিত পর্ষদ সভায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যে আগামী ১০ মে থেকে পুঁজিবাজারের লেনদেন চালুর বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় ডিএসই। সম্প্রতি ডিএসই’র ম্যানেজমেন্ট করোনা পরিস্থিতিতে লেনদেন চালু করা যায় কি-না সে বিষয়ে একটি ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি করেছে। সে রিপোর্ট অনুযায়ী ডিএসই’র পরিচালনা পর্ষদ ১০ মে লেনদেন চালুর বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছে। ওই বৈঠকে লেনদেন চালু করার বিষয়ে বিএসইসি’র অনুমতি নেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।

এদিকে ডিএসই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের সংক্রামণ মোকাবিলায় গত ২৬ মার্চ থেকে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি চলছে। সরকারি সাধারণ ছুটির সঙ্গে সঙ্গে বাজারও বন্ধ রয়েছে। এতে বিশেষ করে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্রোকারেজ হাউজগুলো এবং ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা। লেনদেন বন্ধ থাকায় এ প্রতিষ্ঠানগুলোর কোনো আয় নেই। কিন্তু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনাদি দিতে হবে। আর ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা আর্থিক সংকটে ভুগছেন। এছাড়া লেনদেন বন্ধ থাকার কারণে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অনাস্থা তৈরি হচ্ছে। তাই সার্বিক দিক বিবেচনায় ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ লেনদেন চালুর বিষয়ে নীতিগত সম্মতি জানিয়েছে।



ঢাকা/এনটি/এসএম