স্বাস্থ্য সুরক্ষা যাচাইয়ে ৩৩৪ কারখানায় বিজিএমইএর টিম
চালু হওয়া পোশাক কারখানার শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা যাচাই করতে ৩৩৪টি কারখানা পরিদর্শন করেছে পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) ৬ পরিদর্শক দল।
পরিদর্শনে ১৩টি কারখানা ছাড়া বাকিগুলোতে করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্য সুরক্ষা পরিস্থিতি সন্তোষজনক পেয়েছে। পরিদর্শক টিমের রিপোর্ট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজিএমইএ জানায়, ৫ মে পর্যন্ত পরিদর্শক টিম ৩৩৪ কারখানা পরিদর্শন করে। এর মধ্যে ৩২১ কারখানায় স্বাস্থ্য সুরক্ষা পরিস্থিতি সন্তোষজনক পাওয়া গেছে। তবে ১৩ কারখানার পরিস্থিতি সন্তোষজনক ছিল না। এসব কারখানায় পরিবেশ দ্রুত উন্নতি করার তাগিদ দিয়েছে অডিট টিম।
২৮ এপ্রিল থেকে করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বিজিএমইএর পরিচালকদের নেতৃত্বে ছয়টি অডিট টিম পরিদর্শন শুরু করে। টিমগুলো আকস্মিকভাবে কারখানা পরিদর্শন করছে। চার জোনে ভাগ করে চলছে পরিদর্শন কাজ। জোনগুলো হলো- ঢাকা মেট্রোপলিটন, সাভার ও আশুলিয়া, গাজীপুর এবং নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদী।
এছাড়া শিল্প-কারখানায় করোনা রোগী চিহ্নিত হলে বিজিএমইএকে জানানোর পাশাপাশি বিজিএমইএ হেলথ সেন্টারে কর্মরত ডাক্তারদের সহায়তা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। তাৎক্ষণিক সহায়তায় নিয়োজিত রয়েছেন ৮ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। এসব চিকিৎসকের ব্যক্তিগত নম্বরে ফোন করেও প্রয়োজনীয় সহায়তা নেওয়া যাবে বলে জানা গেছে।
করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তৈরি পোশাক কারখানা চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর পোশাক কারখানায় সীমিত জনবল দিয়ে কাজ শুরু হয়। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার স্বার্থে দুই শিফটে কাজ চলছে। প্রাথমিকভাবে ক্রেতাদের রপ্তানি আদেশের পণ্য পৌঁছানোর চাপ আছে এরূপ কারখানা খুলে দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ।
বিকেএমইএর সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘আমরা মালিকদের নির্দেশ দিয়েছি যাতে তারা স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে পালন করেন। জীবন-জীবিকার সন্ধানে আমাদের নামতে হবে। স্থবির হয়ে যাওয়া অর্থনীতির চাকা সচল করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কর্ম পরিচালনা করতে বলা হয়েছে সব মালিকদের।’
এম এ রহমান/সাইফ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন