ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

পুঁজিবাজার উন্নয়নে ৫ প্রস্তাব পুনর্বিবেচনার দাবি বিএমবিএ’র

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:০৮, ১৪ জুন ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
পুঁজিবাজার উন্নয়নে ৫ প্রস্তাব পুনর্বিবেচনার দাবি বিএমবিএ’র

প্রস্তাবিত ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে বিনাশর্তে পুঁজিবাজারে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ রাখা ও তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হার ২০ শতাংশ করাসহ পাঁচটি প্রস্তাব পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ)।

রোববার (১৪ জুন) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের কাছে এ দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। বিএমবিএ’র সভাপতি মো. ছায়েদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মো. রিয়াদ মতিন স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ দাবি জানানো হয়।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, অপ্রদর্শিত আয় ১০ শতাংশ কর দেওয়ার মাধ্যমে নিয়মিত করার সুযোগ রাখা হয়েছে ফ্ল্যাট ক্রয়, নগদ জমা, ব্যাংক জমা, সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ ও পুঁজিবাজারে ৩ বছরের লক-ইন শর্তে বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে।  এক্ষেত্রে অন্যান্য খাতের মতো পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্যও কোনো শর্ত থাকা উচিত না। অন্যথায় পুঁজিবাজারের চেয়ে ব্যাংকে আমানত রাখা বা সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করার বিষয়ে মানুষ আগ্রহী বেশি হবে। এতে করে শেয়ারবাজার উপকৃত হবে না।

এদিকে বর্তমানে তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হার ১০ শতাংশ ব্যবধান থাকা সত্ত্বেও ভালো কোম্পানি পুঁজিবাজারে আসতে চায় না।  প্রস্তাবিত বাজেটে অতালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হার ২.৫ শতাংশ কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। যার ফলে এখন তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হারের পার্থক্য হবে ৭.৫ শতাংশ।  ফলে ভালো ও বড় প্রতিষ্ঠান আরও বেশি নিরুৎসাহিত হবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির বিষয়ে। 

তাই তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করের হারের পার্থক্য বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। 

এছাড়া পুঁজিবাজারের গভীরতা ও গতিশীলতা বৃদ্ধিতে বন্ড সহায়ক হতে পারে এবং এ বিষয়ে অনেক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। বন্ডকে আকর্ষণীয় ও জনপ্রিয় করতে হলে বন্ডের আয়ের ওপর কর হার কমাতে হবে। অন্যথায় বিনিয়োগকারীরা বন্ডে বিনিয়োগ আগ্রহী হবে না। জিরো কূপন বন্ডকে আকর্ষণীয় বিনিয়োগ হিসাবে গণ‌্য করার জন্য কর প্রত্যাহার প্রয়োজন বলে চিঠিতে দাবি করেছে বিএমবিএ।

চিঠিতে বিএমবিএ আরও জানিয়েছে, বাংলাদেশে মার্চেন্ট ব্যাংকের ব্যবসার সুযোগ অত্যন্ত সীমিত।  আর্থিক সক্ষমতার অভাব, নিজস্ব মূলধন ছাড়া অন্য কোনো উৎস থেকে অর্থ যোগানের সুযোগ নেই।  দীর্ঘ দিন ধরে শেয়ারবাজার মন্দা অবস্থায় আছে।  তার ওপর মার্চেন্ট ব্যাংকের কর হার ৩৭.৫ শতাংশ। যা মার্চেন্ট ব্যাংকের জন্য বাড়তি চাপ। তাছাড়া মার্চেন্ট ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মানুযায়ী আর্থিক প্রতিষ্ঠান নয়। তাই মার্চেন্ট ব্যাংকের কর হার অন্যান্য অতালিকাভুক্ত কোম্পানির মতো ৩২.৫ শতাংশ নির্ধারণ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে সংগঠনটি।

পুঁজিবাজারের দৈনন্দিন লেনদেনের ওপর ০.০৫ শতাংশ কর কর্তন করা হয় এবং এটি ফেরত বা সমন্বয়যোগ্য নয়। যার ফলে একদিকে ব্যবসায় ক্ষতি হচ্ছে, অন্যদিকে কর দিতে হচ্ছে। বেশ কয়েক বছর আগে এ কর হার ছিল ০.০১৫ শতাংশ। বর্তমান পরিস্থিতিতে এই কর হার কমিয়ে আগে মতো ০.০১৫ শতাংশ করার অনুরোধ জানিয়ে বিএমবিএ।



ঢাকা/এনটি/জেডআর

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়