স্টার্টআপের আইপিও সহায়তায় কাজ করবো: বিএসইসি চেয়ারম্যান

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছেন, বিশ্বব্যাপী শেয়ার বাজারগুলো আইপিওর মাধ্যমে স্টার্টআপের নির্গমণ (এক্সিট) সম্ভাবনা বাস্তবায়ন এবং ভেঞ্চার ক্যাপিটাল বিনিয়োগকারী পেতে সহায়তা করে। আমরা স্টার্টআপগুলোর আইপিও প্রক্রিয়া সহতায় সিস্টেম তৈরিতে অবশ্যই কাজ করবো।

রোববার (২১ জুন) সন্ধ্যায় ‘জিডিপিতে স্টার্টআপের অবদান বিষয়ক বাজেট আলোচনা’ শীর্ষক ভার্চুয়াল ওয়েব সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। সেমিনারটি ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরামের (সিএমজেএফ) সাথে যৌথভাবে আয়োজন করে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল অ্যান্ড প্রাইভেট ইক্যুইটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ভিসিপিয়াব)।

তিনি বলেন, ২০১৫ সালে বিএসইসি অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট রুলস অনুমোদন দেয়। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে ইতিমধ্যেই অনেক ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ও প্রাইভেট ইক্যুইটি কোম্পানি গড়ে উঠেছে। পাশাপাশি অনেকগুলো বিদেশি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানি বাংলাদেশে কাজ করছে। তাদের জন্য ভেঞ্চার ক্যাপিটাল গাইডলাইন তৈরি হয়েছে।

সেমিনারে সভাপতিত্ব ও মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভিসিপিয়াব চেয়ারম্যান শামীম আহসান। প্রধান অতিথি হিসেবে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও বিশেষ অতিথি হিসেবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক উপস্থিত ছিলেন।

শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, আমরা কমিশনে দায়িত্ব নেওয়ার পরে এসএমইদের জন্য উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে পৃথক বোর্ড করে দিয়েছি। যারা ছোট ছোট আইডিয়া নিয়ে মার্কেট থেকে টাকা তুলতে চায়, তারা এসএমইতে আবেদন করতে পারে। আশা করি ডিএসই আগামী ২-৩ মাসের মধ্যে এসএমই বোর্ডকে চালানোর জন্য প্রস্তুত থাকবে।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ভেঞ্চার অব ক্যাপিটাল নিয়ে আলোচনায় কেউ একজন বক্তা বলেছেন আইনে কনফ্লিক্ট আছে। এ বিষয়ে আইনে কী সমস্যা আছে, তা জানালে আমরা সেই সমস্যা দূর করে দেব। আমাদের শুধু জানান কোথায় সমস্যা।

ফার ইস্ট এবং মিডল ইস্ট থেকে ফান্ডগুলোর বিষয়ে শিবলী রুবাইয়াত বলেন, ফার ইস্টের ফান্ড বাংলাদেশে আসতে চাচ্ছে।  আর মিডল ইস্টের ফান্ড বিশেষ করে ইসলামি বন্ডে (সুকুক) বিনিয়োগ করতে চাচ্ছে। আমি আড়াইশ মিলিয়ন ডলারের ফান্ড নিশ্চিত করেছি, যা বাংলাদেশের ইনফ্রাস্ট্রাকচারের প্রজেক্টে আসবে। আমি দেখেছি, ওখানে বিলিয়নস অব ডলার আছে। তারা আসতে চায়, কারণ আমরা যদি সুকুকে ৭-৮ শতাংশ সুদ দেই, তাতে তারা খুবই খুশি। তারা ফান্ডের নিশ্চয়তা চায়। সাধারণ বিমা এ কাজ করবে। এই কাজের কিছু অংশ ভেঞ্চার ক্যাপিটালও শেয়ার করতে পারে। ভেঞ্চার ক্যাপিটাল যাতে টাকার জন্য কোনও সমস্যায় না পড়ে, সেটা আমাদের দেখার দায়িত্ব।

ই-কমার্সের যুগ উল্লেখ করে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ভেঞ্চার ক্যাপিটালে বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে হবে। না হলে দেশের উন্নতি পিছিয়ে পড়ব। সুতরাং এখানে আমাদেরকে অর্থায়ন করতে হবে।

সেমিনারে যুক্ত ছিলেন বেসিসের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর, স্টার্টআপ বাংলাদেশের বিনিয়োগ উপদেষ্টা টিনা জাবিন, এফএনএস মিডিয়া লিমিটেডের চেয়ারম্যান ফেরদৌস আহমেদ, বিডিওএসএন এর সাধারণ সম্পাদক মুনীর হাসান, ভিসিপিয়াবের ভাইস চেয়ারম্যান জিয়া ইউ আহমেদ, বিল্ড বাংলাদেশের উপদেষ্টা আরস্ত খান, সিএমজেএফ'র সভাপতি ও চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের আউটপুট এডিটর হাসান ইমাম রুবেল এবং সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন, প্রথম আলোর বিজনেস এডিটর ও সিএমজেএফ'র নির্বাহী সদস্য সুজয় মহাজন, ইনফ্লেকশন ভেঞ্চারস লিমিটেডের অংশীদার তানভীর আলী, পাঠাও এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হুসেইন এম ইলিয়াস, স্টার্টআপ ঢাকার সহ-প্রতিষ্ঠাতা সামাদ মিরালি, বাংলাদেশ এঞ্জেলসের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মিনহাজ আনোয়ার, দ্য বিজনেস স্টান্ডার্ড এর নির্বাহী সম্পাদক শাহরিয়ার খান, দ্য ডেইলি স্টারের বিপণন প্রধান তাজদিন হাসান প্রমুখ।



এনটি/সাইফ