ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

অর্থ আত্মসাৎ: ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের এমডির বিরুদ্ধে জিডি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৫৩, ২৫ জুন ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
অর্থ আত্মসাৎ: ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের এমডির বিরুদ্ধে জিডি

ব্রোকারেজ হাউজ গুটিয়ে লাপাত্তা হওয়া ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শহীদ উল্লাহসহ মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে অনুমতি ছাড়া শেয়ার বিক্রি, নগদ অর্থ ও ঋণের টাকা আত্মসাৎ এবং চেক ডিজঅনারের অভিযোগে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন বিনিয়োগকারীরা। 

বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) বিকেলে রমনা মডেল থানায় জিডি করেন ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের বিও হিসাবধারী হাজী মো. নিশাত।

একইসঙ্গে থানায় হাজির হয়ে জিডিতে সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন মো. জাহাঙ্গীর আলম, নাছিমা আক্তার, মো. শহীদ উল্লাহ, সুব্রত কুমার সরকার, সোহেল আহমেদ, মো. আনিসুর রহমান, রাহাত তানভীর, মো. জাকির হওলাদার ও মো. নাজির আহমেদ। এ সময় সাধারণ বিনিয়োগকারীদের পক্ষে বাংলাদেশ বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুর রাজ্জাক উপস্থিত ছিলেন। 

জিডিতে বিনিয়োগকারী হাজী মো. নিশাত উল্লেখ করেন, ‘‘পূর্ব পরিচিতি ও পরিচয়ের সূত্র ধরে ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের সঙ্গে শেয়ার ও নগদ টাকা লেনদেন করি। কিন্তু আমাদের না জানিয়ে শেয়ার বিক্রি করে দেওয়া হয়। আর আমাদের টাকা পরিশোধ না করে নিজেরাই তা উত্তোলন করে নেয় ক্রেস্ট সিকিউরিটিজ। এছাড়া আমাদের কারো কারো কাছ থেকে নগদ টাকাও ঋণ নিয়েছেন ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের এমডি শহীদ উল্লাহ।’’ 

জিডিতে হাজী মো. নিশাত আরো উল্লেখ করেন, তার বিও হিসাব থেকে ৩ লাখ টাকা এবং ঋণ হিসেবে চেকের মাধ্যমে ৯৫ লাখ টাকা নেন শহীদ উল্লাহ। এছাড়া সাজ্জাদ হোসেনের দুটি বিও হিসাব থেকে ১ কোটি ৬৯ লাখ ১৬ হাজার ৪৯৯ টাকা; জাহাঙ্গীর আলমের বিও হিসাব থেকে ১৫ লাখ টাকা; নাছিমা আক্তারের বিও হিসাব থেকে ২২ লাখ টাকা; শহীদ উল্লাহর বিও হিসাব থেকে ১১ লাখ টাকা; সুব্রত কুমারের থেকে চেকের মধ্যে ১৬ লাখ টাকা; সোহেল আহমেদের বিও হিসাব থেকে ও চেকের মাধ্যমে ১০ লাখ ৫ হাজার টাকা; আমিনুর রহমানের বিও হিসাব থেকে ও চেকের মাধ্যমে ৭ লাখ টাকা; রাহাত তানভীরের বিও হিসাব থেকে ও চেকের মাধ্যমে ৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকা; জাকির হাওলাদারের বিও হিসাব থেকে ও চেকের মাধ্যমে ৩০ লাখ টাকা এবং নাজির আহমেদের বিও হিসাব থেকে ও চেকের মাধ্যমে ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা শহীদ উল্লাহ নিয়েছেন। 

এর আগে ব্রোকারেজ হাউস আকস্মিক বন্ধ করে দিয়ে শহীদ উল্লাহ লাপাত্তা হয়ে যান। এতে বিপাকে পড়েছেন এর মাধ্যমে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীরা। করোনা সঙ্কটকালে তাদের শেয়ার ও টাকা গেছে আটকে।

দুপুরে বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ ও বিনিয়োগকারীরা ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের প্রধান অফিসের সামনে বিক্ষোভ করেন।

পল্টন মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, অনৈতিকভাবে শেয়ার বিক্রির অভিযোগ এনে বিনিয়োগকারীরা  সাধারণ ডায়েরি করেছেন। এর আগেও এ বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের প্রতারণার কারণে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। এ জন্য দ্রুত বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে (সিএসই) ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।

 

ঢাকা/এনটি/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়