ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

‘প্রতিবছর ৪৭৫ মিলিয়ন টন খাবার নষ্ট হচ্ছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:২৯, ২৬ জুন ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
‘প্রতিবছর ৪৭৫ মিলিয়ন টন খাবার নষ্ট হচ্ছে’

সংরক্ষণের অভাবে প্রতিবছর ৪৭৫ মিলিয়ন টন খাবার নষ্ট হচ্ছে। এই পরিমাণ খাবার দিয়ে বিশ্বের ১৫ শতাংশ বা প্রায় ১০০ কোটি মানুষের এক বছরের খাদ্য চাহিদা মেটানো সম্ভব।

বিশ্ব রেফ্রিজারেশন ডে উপলক্ষে এক ওয়েব সেমিনারের এ তথ্য জানান বক্তারা।   বাংলাদেশি মাল্টিন্যাশনাল ব্র্যান্ড ওয়ালটন এই সেমিনারের আয়োজন করে। সেমিনারের প্রতিপাদ্য ছিলো ‘কোল্ড চেইন ফর লাইফ’।  এতে কোল্ড চেইন রক্ষায় পরিবেশবান্ধব রেফ্রিজারেন্ট এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী রেফ্রিজারেশন পণ্য ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া হয়।

শুক্রবার (২৬ জুন) বিকেলে ওয়ালটনের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে ওয়েব সেমিনারটি লাইভ হয়।  এতে প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. অলোক কুমার মজুমদার। 

এছাড়া বক্তব্য রাখেন ওয়ালটন গ্রুপের হেড অব পলিসি, এইচআরএম অ্যান্ড অ্যাডমিন এস এম জাহিদ হাসান, হেড অব রেফ্রিজারেটর আরঅ‌্যান্ডডি তাপস কুমার মজুমদার এবং হেড অব এসি আরঅ‌্যান্ডডি সন্দীপ বিশ্বাস।  অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ওয়ালটনের সিনিয়র অপারেটিভ ডিরেক্টর আনিসুর রহমান মল্লিক।

গত বছর থেকে তাপমাত্রা পরিমাপক স্কেলের (কেলভিন স্কেল) জনক লর্ড কেলভিনের জন্মদিনে ২৬ জুন বিশ্ব রেফ্রিজারেশন ডে হিসাবে পালিত হয়ে আসছে।  এ উপলক্ষে বাংলাদেশে প্রতি বছর আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আসছে শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন। এ বছর করোনাভাইরাস দুর্যোগের কারণে যথাযথ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে অনলাইনে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।

ওয়েব সেমিনারে ড. আলোক কুমার মজুমদার বলেন, হিটিং, ভেন্টিলেশন এবং এয়ার কন্ডিশনিং প্রযুক্তিগুলো ফুড সেফটি, ফুড সিকিউরিটি এবং হিউম্যান হেলথের সঙ্গে সম্পর্কিত। কৃষি অর্থনীতিতে এবং মানুষের আধুনিক জীবনযাপনে এর গুরুত্ব অপরিসীম। চিকিৎসাক্ষেত্রে ভ্যাকসিন এবং অধিকাংশ ওষুধের কার্যকারিতা রক্ষায় কোল্ড চেইন অক্ষুণ্ন রাখা জরুরি।

তিনি আরও বলেন, এখন আর রেফ্রিজারেটর বা এয়ার কন্ডিশনার বিলাসী পণ্য নয়। প্রযুক্তির সুফলগুলোর কারণে প্রয়োজনীয়তা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে প্রতিটি প্রযুক্তির কিছু কুফল আছে। আমরা যত তা কমিয়ে আনতে পারবো, মানবজাতি এবং পরিবেশ তত উপকৃত হবে।

এস এম জাহিদ হাসান বলেন, ওয়ালটন সবসময়ই পরিবেশের সুরক্ষার বিষয়ে সচেতন।  বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ অধিদপ্তর এবং ইউএনডিপির সঙ্গে যৌথ উদ‌্যোগে ওয়ালটন ২০১৯ সালে এইচএফসি ফেজ আউট প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। এ বিষয়ে নিয়মিত সার্ভিস এক্সপার্টদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

তাপস কুমার মজুমদার বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধে ওয়ালটনের নেওয়া প্রকল্পগুলোর ফলে ৫৪৩ হাজার টন কার্বন নিঃসরণ কমেছে। এর ফলে ৩০ শতাংশ বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়েছে। বাংলাদেশের আবহাওয়া ও খাদ্যাভ্যাসের ওপর নির্ভর করে রেফ্রিজারেটর তৈরি করছে ওয়ালটন। পাশাপাশি ইনভার্টার কম্প্রেসরের ব্যবহার, সিওপি বাড়ানো, পারফরম‌্যান্স ঠিক রেখে ওয়াট পরিবর্তন, ইনস্যুলেশন থিকনেসে পরিবর্তন এবং রেফ্রিজারেশন সিস্টেম উন্নত করার ফলে বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ সাশ্রয় হচ্ছে। রেফ্রিজারেটরের ডিজাইন ও প্রযুক্তিতে ওয়ালটন যে পরিবর্তন আনছে, তা বৈশ্বিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক অবদান রাখছে।

সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, ইকো-ফ্রেন্ডলি রেফ্রিজারেশন সিস্টেম ব্যবহার করে বিশ্ব শীতল রাখার জন্য ওয়ালটন সবসময়ই আন্তরিক। এরইমধ্যে আমরা এয়ার কন্ডিশনারের কিছু মডেলে আর৪১০ এবং আর৩২ ব্যবহার করছি। পর্যায়ক্রমে আমরা আর২৯০ রেফ্রিজারেন্ট ব্যবহার শুরু করেছি। এগুলো বিশ্ব উষ্ণায়ন রোধ এবং ওজনস্তর সুরক্ষায় বেশি কার্যকরী।

আনিসুর রহমান মল্লিক বলেন, আমরা যত বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী পণ্য তৈরি এবং ব্যবহার করতে পারবো, তত বেশি পরিবেশ সুরক্ষা পাবে। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় থাকবে। যা মানবজাতির জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে।


ঢাকা/অগাস্টিন সুজন/জেডআর

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়