পুঁজিবাজারে অর্থের জোগান বাড়াতে বিএসইসিতে আবেদন
পুঁজিবাজারে তারল্য ও আস্থার সংকট দূর করতে জরুরিভিত্তিতে অর্থের জোগান বাড়ানোর জোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ।
রোববার (২৮ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবায়েত উল ইসলামের কাছে দেওয়া এক চিঠিতে এ দাবি জানানো হয়েছে।
এ সময় সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুর রাজ্জাক ও সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম শাহাদাত উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, পুঁজিবাজারের এ মুহূর্তে প্রধান সমস্যা হচ্ছে তারল্য ও আস্থার সংকট। সুতরাং এ বাজারকে বাঁচাতে যেকোনোভাবে তারল্য বৃদ্ধির পাশাপাশি আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে৷ তাই অতি জরুরি ভিত্তিতে অর্থের যোগান নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশিত প্রত্যেক তফসিলি ব্যাংকে ২০০ কোটি টাকা করে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ, বাজেটে ঘোষিত কালো টাকার বিনিয়োগ, মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সঠিক তথ্যভিত্তিক বিনিয়োগ, জীবন ও সাধারণ বিমার কাছে উদ্বৃত টাকার বিনিয়োগসহ অন্যান্য খাতে বিনিয়োগের রূপরেখা বা পরিকল্পনা জানার আগ্রহ প্রকাশ করছি৷
এছাড়া চীনের কাছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ৪৯ শতাংশ মালিকানা শেয়ার বিক্রি বাবদ প্রায় হাজার কোটি টাকা অর্জন করেছেন ট্রেক হোল্ডাররা। যেটি তারা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করার শর্তে সরকারের থেকে ট্যাক্স মওকুফ সুবিধা নিয়েছেন। কিন্তু ওই টাকার কত শতাংশ তারা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করেছেন তার একটি চূড়ান্ত প্রতিবেদন আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রকাশের দাবি জানানো হয়।
বিনিয়োগকারীদের টাকার নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে প্রত্যেকটি ব্রোকারেজ হাউজকে নূ্যনতম ১০০ কোটি টাকা করে সিকিউরিটি মানি হিসাবে বিএসইসিতে জমা রাখার দাবি জানানো হয়।
ডিএসই, সিএসই, মার্চেন্ট ব্যাংকের সব বিনিয়োগকারীর বিও হিসাবের সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রাহকদের নিজ মোবাইল নম্বরে এসএমএস বা ইমেইল বা স্থায়ী/ বর্তমান ঠিকানায় পোর্টফোলিও এবং নূ্যনতম গত একবছরের লেজার স্টেটমেন্ট পাঠানোর দাবি জানানো হয়।
এছাড়া অতিদ্রুত সব বিও অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের কেওয়াইসি হালনাগাদ করার অনুরোধসহ আরও কয়েকটি দাবি জানানো হয়।
ঢাকা/এনটি/জেডআর
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন