ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

ট্যানারি মালিকদের খেলাপি ঋণ নিয়মিত করার সিদ্ধান্ত

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:২৫, ৫ জুলাই ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
ট্যানারি মালিকদের খেলাপি ঋণ নিয়মিত করার সিদ্ধান্ত

চামড়া ব্যবসায়ীদের প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার খেলাপি ঋণ নিয়মিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গ্রাহক-ব্যাংকার্স সম্পর্কের ভিত্তিতে প্রত্যেক ট্যানারি মালিককে তাদের নির্ধারিত খেলাপি ঋণের বিপরীতে শতকরা দুই টাকা নগদ ডাউন পেমেন্ট সাপেক্ষ এই ঋণ নিয়মিত করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

পাশাপাশি কেস টু কেস ভিত্তিতে দাবিকৃত ঋণ পরিশোধে তাদের ৬ বছর থেকে ৮ বছর মেয়াদে সুযোগও রাখা হয়েছে।  শুধু তাই নয়, ওই অনিয়মিত ঋণ পরিশোধে প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে এক বছরের গ্রেস পিরিয়ড সুবিধাও দেওয়া হয়েছে। এজন্য প্রত্যেক ঋণ গ্রহীতাকে আগামী ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে লেনদেনকারী ব্যাংকে তাদের ঋণ নিয়মিতকরণ আবেদন করতে বলা হয়েছে।

রোববার (৫ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ (বিআরপিডি) থেকে এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।  প্রজ্ঞাপনে জারি করা এ নির্দেশনা কার্যকর করতে ইতিমধ্যে তা সব বাণিজ্যিক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহিদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ২৭ জুন রাইজিংবিডিতে ‘অনিয়মিত ঋণ নিয়মিত এবং তা পরিশোধে ১৬ বছরের সুদমুক্ত কিস্তি সুবিধা চায় ট্যানারি মালিকরা’ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।  এই প্রতিবেদনের বস্তুনিষ্ঠতা আমলে নিয়ে এবং উদ্যোক্তাদের দাবি অনুযায়ী এই প্রজ্ঞাপন জারি হলো।

বিআরপিডির প্রজ্ঞাপনে অনিয়মিত ঋণ নিয়মিত করার যৌক্তিকতা তুলে ধরে বলা হয়, চামড়া শিল্প দেশীয় কাঁচামালভিত্তিক রপ্তানিমুখী শিল্প। জাতীয় প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান, বৈদেশিক মুদ্রা আয় এবং মূল্য সংযোজনের ক্ষেত্রে একটি সম্ভাবনাময় খাত।  চামড়া শিল্পে সারা বছর ব্যবহৃত কাঁচামালের প্রায় অর্ধেক যোগান আসে প্রতি বছর ঈদুল আজহায় কোরবানির পশুর চামড়া থেকে।  এ সময় কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ীদের কাছে অর্থের যোগান নিশ্চিত করা সম্ভব হলে একদিকে মূল্যবান কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করা সম্ভব হবে।  অন্যদিকে কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রির মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী আর্থিকভাবে উপকৃত হবে।

প্রজ্ঞাপনে দাবি করা হয়, নানা কারণে চামড়া খাতে বিদ্যমান ঋণ বা বিনিয়োগ নিয়মিতভাবে পরিশোধ না হওয়ায় কিছু কিছু ঋণ অনিয়মিত বা শ্রেণিকৃত হয়ে পড়েছে। ফলে এ খাতে স্বাভাবিক ঋণ বিনিয়োগ প্রবাহ বজায় রাখা অনেক ক্ষেত্রে সম্ভব হচ্ছে না।  এ পরিস্থিতিতে কোরবানির পশুর চামড়া কেনাবেচা ও সংরক্ষণ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে কাঁচা চামড়া কেনার জন্য প্রকৃত চামড়া ব্যবসায়ীদের কাছে অর্থ প্রবাহ সচল রাখার উদ্দেশ্যে অনিয়মিত ঋণ পুণ:তফসিলের মাধ্যমে নিয়মিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।  সিদ্ধান্তের আওতায় চামড়া খাতে গত ৩০ জুন পর্যন্ত যারা ঋণে অনিয়মিত ছিলেন, তারা এই সুবিধা পাবেন। তবে উল্লেখিত সময়ের আগে আদায়কৃত ঋণের কিস্তি ডাউন পেমেন্ট হিসাবে বিবেচনায় আনা হবে না।


শাহ আলম খান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়