ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

নিরবেই চলে গেলেন জবি শিক্ষার্থী সিরাজুল

তমাল || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৪:২২, ১৮ আগস্ট ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
নিরবেই চলে গেলেন জবি শিক্ষার্থী সিরাজুল

জবি প্রতিনিধি : সবাইকে কাঁদিয়ে নিরবে চলে গেলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) শিক্ষার্থী সিরাজুল ইসলাম। ভাইরাল এনসেফালাইটিস নামক মস্তিষ্ক সংক্রামণজনিত রোগে তার মৃত্যু হয়েছে, বলে জানা গেছে।

শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর সিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। জবি প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রসায়ন বিভাগের ১৪তম আবর্তনের (২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ) শিক্ষার্থী ছিলেন সিরাজুল। তার গ্রামের বাড়ি পাবনা জেলার আটঘরিয়া উপজেলায়। মেধাবী শিক্ষার্থী সিরাজুল কেমিস্ট্রি অলেম্পিয়াড ২০১৬-তে আঞ্চলিক পর্যায় বিজয়ী হয়ে জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই তার মাঝে মাঝে জ্বর হতো। সর্বশেষ ঈদের ছুটিতে পাবনায় গ্রামের বাড়িতে গেলে ঈদের দিন বিকালে জ্বর নিয়ে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয় সে। সেখানে দুইদিন চিকিৎসা নেওয়ার পর অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক তাকে রাজশাহী অথবা ঢাকায় নিতে বললে তাকে ঢাকা সিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট) সিটি হাসাপাতালে তাকে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।

এবিষয়ে সিরাজুলের প্রতিবেশী ও সহপাঠী মাহামুদ বলেন, ঈদের দিন বিকালে সিরাজুলকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যেহেতু জ্বর তাই ডেঙ্গু বলে সন্দেহ করা হচ্ছিলো। কিন্তু ৩য় বার ডেঙ্গু পরীক্ষা করা হলেও ডেঙ্গু ধরা পরেনি।

সিরাজুলের সহপাঠী ও রসায়ন বিভাগের ১৪তম আবর্তনের শিক্ষার্থী জামশেদ অদআলি দিপু বলেন, ওর অসুস্থতার বিষয়ে আগে কিছু জানতাম না। ঈদের ২-৩ দিন পর মোবাইলে কথা হয়। তখন বলে ওর কিডনিতে পানি জমেছে তাই ঢাকায় চিকিৎসা করাতে আসছে।

রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক অমিনুল হক রাইজিংবিডিকে বলেন, আমি খবর পেয়ে বিকালে সিটি হাসপাতালে যাই। তখন ওকে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিলো। আমি যাওয়ার কিছুসময় পর সে মারা যায়। ডাক্তারদের সাথে কথা বলে জেনেছি ভাইরাস থেকে ব্রেনে সংক্রামণ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।

এবিষয়ে চিকিৎসক ডা. শুভ রাইজিংবিডিকে বলেন, ওর রোগটা হলো ভাইরাল এনসেফালাইটিস। এটা মূলত ভাইরাস থেকে মস্তিষ্কে সংক্রামণ ঘটায়। পেশেন্টের পরিবার থেকে বলা হয় দুইদিন আগে থেকে জ্বর হচ্ছে। কিন্তু পেশেন্ট বলেছে আগেও তার জ্বর আসলেও সে গুরুত্ব দেয়নি। ১৬ তারিখ রাত আনুমানিক ৩টার দিকে আমরা তাকে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে নিই। তার ডেঙ্গু পরীক্ষা করা হয়েছে, রক্তে প্লাটিলেডের পরিমাণ সামান্য কম থাকলেও সকল রিপোর্টই নেগেটিভ এসেছে।

প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল রাইজিংবিডিকে বলেন, ওকে নিয়ে সন্ধ্যার দিকে পরিবারের সদস্যরা পাবনার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। আমাদের একজন শিক্ষক হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন। যদি আগে খবর পেতাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ওর চিকিৎসা ব্যয় বহন করা হতো।


রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ আগস্ট ২০১৯/তমাল/বুলাকী

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়