ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ক্ষমতার অভাবে ভূমিকা রাখতে পারছে না ইউজিসি

আবু বকর ইয়ামিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:১৫, ২১ আগস্ট ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ক্ষমতার অভাবে ভূমিকা রাখতে পারছে না ইউজিসি

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রয়োগিক ক্ষমতার অভাবে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছেনা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। ইউজিসিকে পূর্ণগঠন করে উচ্চ শিক্ষা কমিশন (এইচইসি) করতে হলে প্রয়োজন নির্বাহী ক্ষমতা দেওয়া।

বুধবার ইউজিসির সাথে এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ইরাব) এর নব নির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির সৌজন্য সাক্ষাতে এ মতামত ব্যক্ত করা হয়।

ইউজিসির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আখতার হোসেন, প্রফেসর ড. এম শাহ্ নওয়াজ আলি, প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, ড. মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন, কমিশনের সচিব ড. মো. খালেদ এবং ইরাবের সভাপতি মুসতাক আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক নিজামুল হকসহ কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।

দেশের উচ্চশিক্ষা উন্নয়নে ইউজিসির সাথে ইরাব যৌথভাবে কাজ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়। এছাড়া, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় নানাবিদ অনিয়ম বন্ধে ইউজিসির ভূমিকা নিয়েও আলোচনা করা হয়।

এসময় বক্ত্যরা জানান, নিজস্ব ক্ষমতার সীমাবদ্ধতায় কমিশন অনেকটা অসহায়। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজস্ব আইনে পরিচালিত হয়। পাশাপাশি তদারকি করে ইউজিসি। পৃথক আইনে পরিচালিত হয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়।

উচ্চ শিক্ষার এসব প্রতিষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট আইন বাস্তবায়ন, নিয়ম-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সর্বপরি দুর্নীতি বন্ধের জন্য গঠিত হলেও অভিভাবক হিসেবে ইউজিসি নিজস্ব প্রয়োগিক ক্ষমতার অভাবে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছেনা। এজন্য ‘বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন’ পূর্ণগঠন করে ‘উচ্চ শিক্ষা কমিশন’ নামে নতুন প্রতিষ্ঠান করার প্রক্রিয়া চলছে। এটা যে নামেই হোক কমিশনের নির্বাহী ক্ষমতা থাকা উচিত। কারণ, সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ইউজিসি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেই গুরু দায়িত্ব শেষ করে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তারা সুপারিশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে। কমিশনের এসব সুপারিশ নিয়ে সভা-সম্মেলন করে বছরের পর বছর পেরিয়ে যায় মন্ত্রণালয়ে।

বিদ্যমান আইনে ইউজিসির দায়িত্ব এক বা একাধিক ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত কমিটি দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয় ও এর ভবন, হল, গ্রন্থাগার, পরীক্ষাগার, যন্ত্রপাতি, সহযোগী প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক পরিচালিত পরীক্ষা, শিক্ষাদান পদ্ধতি এবং অন্যান্য কার্যক্রম পরিদর্শন করতে পারে।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজন অনুযায়ী, পদ সৃষ্টি ও নিয়োগ প্রদান করা হয়। কমিশন প্রতিষ্ঠিত হয় সর্বপ্রথম ১৯৭৩ সালে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কাজ করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে। ১৯৯৮ সালের সংশোধনী মোতাবেক ১ জন চেয়ারম্যান, ৫ জন পূর্ণকালীন সদস্য এবং ৯ জন খণ্ডকালীন সদস্যের সমন্বয়ে গঠন করা হয় কমিশন।


রাইজিংবিডি/ঢাকা/২০ আগস্ট ২০১৯/ইয়ামিন/নবীন হোসেন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়