ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতের অপেক্ষায় শিক্ষকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:০৫, ৭ নভেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতের অপেক্ষায় শিক্ষকরা

একমাত্র প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ পেলেই গ্রেড পরিবর্তনের দাবিতে চলমান আন্দোলন থেকে সরে আসবেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা।

বৃহস্পতিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হোসেনের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা জানান তারা।  একই সঙ্গে সাক্ষাৎ না পেলে সমাপনী বর্জনের ঘোষণায়ও অটল থাকবেন বলে জানান শিক্ষকরা।

সচিব তাদেরকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করিয়ে দেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছন। এবং সমাপনী বর্জনের যে ঘোষণা সেটি থেকে সরে আসার অনুরোধ জানান।

তার প্রেক্ষিতে শিক্ষক নেতারা বলেন, আমরা সচিবের কথায় সন্তুষ্ট।  তবে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট আশ্বাস না পেলে আন্দোলন থেকে সরবো না।  আগামীকাল আমাদের বৈঠক আছে।  বৈঠকে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে।

তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর তিনি আমাদেরকে যেটাই বলবেন আমরা সেটা মেনে নেবো।

এর আগে বিকাল ৪টায় সচিবের দফতরে এ বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ, শিক্ষক নেতা আনিসুর রহমান, মো. বদরুল আলম, আনোয়ারুল ইসলাম তোতা, আবদুল্লাহ সরকার, আবুল কাশেম প্রমুখ।

মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ রাইজিংবিডিকে জানান, প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড ও সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডের দাবিকে আমরা আন্দোলনে নেমেছি। আমরা এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চাই। অন্যথায় আমরা আন্দোলন থেকে সরব না।

জানা যায়, দাবির বিষয়ে গত সপ্তাহে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এ এফ এম মনজুর কাদিরের সঙ্গে বৈঠকে বসেন শিক্ষক নেতারা। পরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন তারা।  সেখানে এসব দাবি তুলে ধরেন শিক্ষকরা।

বৈঠক সূত্র জানায়, সভায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পাবলিক পরীক্ষা হওয়ায় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা নেয়ার অনুরোধ করেন শিক্ষকদেরকে। এ সময় শিক্ষকরা তাদের দীর্ঘদিন ধরে জানিয়ে আসা দাবির যৌক্তিকতা তুলে ধরেন।  বিশেষত প্রাধন শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড এবং সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড মেনে নেয়ার সুনির্দিষ্ট আশ্বাস চান।

জবাবে মহাপরিচালক এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান তুলে ধরেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিষয়টি নিয়ে অবগত আছেন।  এ সময় শিক্ষক নেতারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার ব্যবস্থা করতে অনুরোধ করেন। তবে বিষয়টি তার এ খতিয়ানে নেই জানিয়ে প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান ড. মনজুর কাদির।

একই বিষয়ে শিক্ষকরা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন বলে জানা গেছে। সেখানে দাবি মেনে নেয়া, দুই হাজার ৭০০ শিক্ষকের বিরুদ্ধে শোকজ নোটিশ প্রত্যাহার এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করার অনুরোধ করেন।

প্রতিমন্ত্রী তাদেরকে আশ্বাস্ত করে বলেন, প্রাথমিক শিক্ষকদের দাবির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী খুবই আন্তরিক।  তিনি এ বিষয়টি দ্রুত সমাধান করার নির্দেশ দিয়েছেন।

সমাপনী পরীক্ষায় বিঘ্ন সৃষ্টি না করার অনুরোধ জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পাবলিক পরীক্ষার কথা বিবেচনা করে শিক্ষকদের বর্জনের কর্মসূচি থেকে সরে আসতে হবে।


ঢাকা/ইয়ামিন/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়