ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

যে কারণে অনলাইন ক্লাসে আগ্রহ নেই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর

আবু বকর ইয়ামিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:২৮, ১৫ মে ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
যে কারণে অনলাইন ক্লাসে আগ্রহ নেই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর

প্রতীকী ছবি

করোনাকালে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিতে অনলাইন ক্লাস চালু করেছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। তবে, এই অনলাইন ক্লাসের প্রতি আগ্রহ নেই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর। শিক্ষার্থীদের অসচ্ছলতাসহ বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারণ দেখিয়ে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনলাইন ক্লাসের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে।

এদিকে,  করোনা মোকাবিলায়  গত ২৬ মার্চ থেকে আগামী ৩০ মে পর্যন্ত দেশে চলছে সাধারণ ছুটি। এই সময়ের মধ্যে অন্যান্য অফিস-কল-কারখানার পাশাপাশি বন্ধ রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোও। গত ২৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বলেছেন, ‘করোনা যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে অন্তত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্কুল-কলেজ সব বন্ধ থাকবে।’

এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ এপ্রিল শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক সভায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে যোগ দেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরাও।

অনলাইন ক্লাস নিয়ে গত ১১ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভবন থেকে বিভিন্ন অনুষদের ডিনের সঙ্গে একটি ভার্চুয়াল সভা করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। সভায় বলা হয়, অধিকাংশ শিক্ষার্থীই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নিজ নিজ বাড়িতে। তাদের সবার সমান প্রযুক্তিগত সুযোগ-সুবিধা নেই। এছাড়া, অনেকের অসচ্ছলতাও রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে অনলাইনে ক্লাস নেওয়া সম্ভব নয়। তবে, শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ছুটির পর প্রয়োজনে শুক্র-শনিবারও ক্লাস নেওয়ার বিষয়ে একমত হন সবাই।

জানতে চাইলে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের অনলাইন কার্যক্রমের সক্ষমতা আছে। তবে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।’

একই অভিমত জানালেন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কামাল উদ্দিম আহমদ। তিনি বলেন, ‘আমাদের থিউরিক্যাল ক্লাস অনলাইনে নেওয়া যাবে। প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাস অনলাইনে নেওয়ার সুযোগ নেই।’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও  বিভাগীয় চেয়ারম্যান, অনুষদের ডিনদের অভিমতের অপেক্ষায় আছে বলে জানা গেছে।

জানতে চাইলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মীজানুর রহমান বলেন,  ‘দেশে ইন্টারনেট এখনো দ্রুতগতির হয়নি।  যেকোনো প্রান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ক্লাস করতে পারবেন না।  অনলাইন ক্লাস চালু করলে এক ধরনের বৈষম্য তৈরি হবে। এ কারণে আমরা অনলাইন ক্লাসে আগ্রহী নই।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার নূর আহমেদ বলেন, ‘বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই গ্রামের বাড়িতে। সব এলাকায় ইন্টারনেট সুবিধা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। সবাইকে এই সুবিধার আওতায় আনা সম্ভব হবে না। তাই অনলাইন কার্যক্রম নেই।’

নূর আহমেদ আরও বলেন, ‘অনির্ধারিত ছুটি পুষিয়ে নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।’ সাপ্তাহিক ছুটি, রুটিন ছুটি বাতিল করে ক্লাস নিয়ে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এই  কমিটি প্রস্তাবনা তৈরি করছে বলেও তিনি জানান।


ঢাকা/ইয়ামিন/এনই 

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়