ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

‘হ্যালো টিচারে’ পাওয়া যাবে পছন্দের শিক্ষকের পরামর্শ

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:১৭, ২ জুলাই ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
‘হ্যালো টিচারে’ পাওয়া যাবে পছন্দের শিক্ষকের পরামর্শ

প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য ‘হ্যালো টিচার’ নামে একটি মোবাইল অ্যাপ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।  প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তৈরি এই অ্যাপ দিয়ে শিক্ষার্থীরা পছন্দের শিক্ষক বাছাই করে পরামর্শ নিতে পারবে।

বৃহস্পতিবার (০২ জুলাই) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অ্যাপের মাধ্যমে শিশুরা তাদের প্রশ্নের উত্তর জানতে পারবে।  গণিত, ইংরেজি, বাংলা, বিজ্ঞানসহ নির্দিষ্ট কয়েকটি বিষয়ের শিক্ষক বাছাই করতে পারবে তারা।  গুগল প্লে-স্টোর থেকে শিক্ষার্থীরা অ্যাপটি ডাউনলোড করতে পারবে।

এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ফসিউল্লাহ বলেন, শিগগিরই অ্যাপটি চালু করা যাবে।  সরকারের আইসিটি বিভাগ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রকল্প থেকে অ্যাপ তৈরিতে অধিদপ্তরকে সহায়তা করা হচ্ছে।

অ্যাপ ছাড়াও প্রাথমিকে নতুন আরও কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।

সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- এখন থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাইনবোর্ডে বাংলায় নাম লিখতে হবে। নামের আগে ‘.....নং’ কথাটি ব্যবহার করতে পারবে না। একেক স্থানে একেকভাবে বিদ্যালয়ের নাম লেখায় তা দৃষ্টিকটূ এবং বোঝাও কঠিন হওয়ায় এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

জুম অ্যাপ ব্যবহার করে প্রধান শিক্ষকরা সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারদের সঙ্গে সভা করবেন।  টেলিভিশনে ‘ঘরে বসে শিখি’ কার্যক্রমে বেশিসংখ্যক শিক্ষার্থীকে যুক্ত করতে অভিভাবকদের সঙ্গে শিক্ষকরা যোগাযোগ করবেন।   সময়সূচি স্থানীয় মসজিদের মাইকের মাধ্যমে জানিয়ে দিতে হবে।

স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের শিক্ষকরা প্রশ্নপত্র তৈরি করে স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে কিংবা ফোনে শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিয়ে তা মূল্যায়নের ব্যবস্থা করবেন।

ঈদুল আজহার আগেই প্রাথমিক শিক্ষার্থীদেরকে ‘কিডস অ্যালাউন্স’ দেওয়া হবে।  বিধি অনুযায়ী একই রংয়ের শার্ট, স্কাট, প্যান্ট, টাই ও জুতা কেনার ব্যবস্থা করতে হবে।

শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কর্মকর্তারা ‘রিকভারি অ্যাকশন প্ল্যান’ তৈরি করে অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে পাঠাবেন।

প্রত্যেক বিদ্যালয়ের নামে ফেসবুক আইডি খুলতে হবে।  শিক্ষকরা পাঠদান ভিডিও করে ফেসবুকে আপলোড দেবেন।

বিদ্যালয়ের ভবনে ‘বাস্তবায়নে এলজিইডি’ না লিখে ‘বাস্তবায়নে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর’ লিখতে হবে।


ইয়ামিন/জেডআর

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়