ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

হাত ধোয়ায় যত ভুল

এস এম গল্প ইকবাল || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:২১, ৩ জুন ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
হাত ধোয়ায় যত ভুল

প্রতীকী ছবি

এস এম গল্প ইকবাল : সঠিক ভাবে হ্যান্ডওয়াশিং বা হাত ধোয়া না হলে, তা আপনাকে জীবাণুপ্রবণ করে তোলে। নিশ্চিত হোন যে আপনি কমন হ্যান্ডওয়াশিংয়ে ভুল করছেন না। হাত ধোয়ায় ১০ ভুল নিয়ে দুই পর্বের প্রতিবেদনের আজ থাকছে প্রথম পর্ব।

* আপনি যথেষ্ট সময় নিয়ে হ্যান্ডওয়াশ করেন না
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন অনুসারে, মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় পাওয়া যায় যে, ৯৫ শতাংশ লোক কার্যকরভাবে জীবাণু মেরে ফেলার জন্য যথেষ্ট সময় (২০ সেকেন্ড) নিয়ে হ্যান্ডওয়াশ করেননি। গড় হ্যান্ডওয়াশিং সময় ছিল মাত্র ছয় সেকেন্ড। এছাড়া ১৫ শতাংশ পুরুষ এবং ৭ শতাংশ নারী বাথরুম ব্যবহারের পর মোটেই হাত ধোয়নি।

* আপনি হাতের সবজায়গায় ভালোভাবে ওয়াশ করেন না
যদি আপনি শুধুমাত্র হাতের তালুতে সাবান ঘষেন এবং পরিষ্কার করেন, তাহলে আপনার হাত সম্ভবত তখনো নোংরা থেকে যায়। এনওয়াইইউ মেডিক্যাল সেন্টারের অ্যাটেন্ডিং ফিজিশিয়ান রোশিনি রাজ বলেন, ‘জীবাণু হাতের নখ ও দুই আঙুলের মধ্যবর্তী স্থানে লুকিয়ে থাকতে ভালোবাসে, তাই প্রত্যেকবার হ্যান্ডওয়াশিংয়ের সময় আপনার এসব স্থান ঘষা উচিত।’ ভালোভাবে ঘষা নিশ্চিত করুন- ত্বক থেকে নোংরা, চর্বি বা তৈলজ পদার্থ ও জীবাণু দূর করার জন্য ঘষা অপরিহার্য।

* আপনি হাত সম্পূর্ণরূপে শুকান না
সবচেয়ে কার্যকর হ্যান্ডওয়াশিং পদ্ধতিও মূল্যহীন যদি আপনি হাত শুকানো এড়িয়ে যান। ডা. রাজ বলেন, ‘জীবাণু আর্দ্রতায় বংশবৃদ্ধি করতে ভালোবাসে।’ হাত না শুকিয়ে বাথরুম ত্যাগ করলে পরবর্তী কোনো সারফেস স্পর্শের মাধ্যমে আপনার হাতে জীবাণু চলে আসা সহজ হবে। পেপার টাওয়েল ও এয়ার ব্লোয়ারের মধ্যে পেপার টাওয়েল বেছে নিন। মায়ো ক্লিনিক প্রসিডিংস জার্নালে ২০১২ সালে প্রকাশিত গবেষণা থেকে জানা যায়, গবেষকরা ১৯৭০ সাল থেকে সম্পাদিত সকল হ্যান্ডওয়াশিং গবেষণা বিশ্লেষণ করেছেন। এই বিশ্লেষণ অনুসারে, হাত শুকানোর জন্য পেপার টাওয়েল সবচেয়ে ভালো, কারণ এটা দিয়ে জীবাণু না ছড়িয়ে অথবা ত্বক না শুকিয়ে উপযুক্তভাবে হাত শুকানো যায়। যদি আপনার একমাত্র অপশন ব্লোয়ার হয়, তাহলে হাত সম্পূর্ণরূপে না শুকানো পর্যন্ত ব্লোয়িং এয়ারের নিচে রাখুন।

* আপনি কেবলমাত্র বাথরুম ব্যবহারের পর হ্যান্ডওয়াশ করেন
যেকোনো সময় পাবলিক সারফেস যেমন- লিফটের বাটন, দরজার হাতল, এটিএম বা সাবওয়ে পোল স্পর্শ করলে আপনার হাতে জীবাণু বা ব্যাকটেরিয়া লাগার ঝুঁকি থাকে। ডা. রাজ বলেন, ‘অধিকাংশ লোক বাথরুমে যাওয়ার পর হ্যান্ডওয়াশ করেন, কিন্তু আপনার সারাদিনে নির্দিষ্ট সময় পরপর হাত ধোয়া উচিত, বিশেষ করে কোল্ড ও ফ্লু সিজনে।’ কখনো কখনো হাত ধোয়ার জন্য বেসিন বা হ্যান্ড স্যানিটাইজারের বোতল নাও পেতে পারেন বা সুবিধাজনক নাও হতে পারে, তখন অ্যালকোহল কনটেন্টের স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে পারেন। সিডিসি অনুসারে, অ্যালকোহল কনটেন্টের স্যানিটাইজার কমপক্ষে ৬০ শতাংশ নানা প্রকারের জীবাণু ধ্বংস করতে কার্যকর।

* আপনি বিশ্বাস করেন যে আপনার গরম পানি ব্যবহার করা উচিত
সাবান ও গরম পানি হচ্ছে আপনার মায়ের কাছ থেকে পাওয়া একটি পরামর্শ যা আপনি নিশ্চিন্তে উপেক্ষা করতে পারেন। ‘হাতের জীবাণু বা লিউকওয়ার্ম হত্যা করার জন্য গরম পানি প্রয়োজন’ একটি বিস্তৃত বিশ্বাস হলেও এমনকি ঠান্ডা পানিও কাজটি ভালোভাবে করতে পারে। প্রকৃতপক্ষে, আপনার ত্বকের জন্য গরম পানির তুলনায় ঠান্ডা পানি অধিকতর ভালো। টেনেসিতে অবস্থিত ভ্যান্ডারবিল্ট ইউনিভার্সিটির গবেষকদের দ্বারা পরিচালিত একটি গবেষণায় পাওয়া যায়, গরম পানির মতোই ঠান্ডা পানি দিয়েও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ব্যাকটেরিয়া হ্রাস করা গেছে এবং ঠান্ডা পানি দিয়ে হাত সঠিকভাবে ঘষা, ধোয়া ও শুকানো গেছে। গবেষকরা উল্লেখ করেন, তাপ যে ব্যাকটেরিয়া হত্যা করে এটা প্রমাণিত এবং উল্লেখযোগ্য পরিমাণে প্যাথোজেন বা জীবাণু হ্রাসের জন্য আপনার প্রায় ২১২ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রার গরম পানি ব্যবহার করা প্রয়োজন।

তথ্যসূত্র : রিডার্স ডাইজেস্ট

পড়ুন : 




রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩ জুন ২০১৮/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়