ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

কুষ্টিয়ায় তামাক চাষ মাত্রা ছাড়িয়েছে

কাঞ্চন কুমার || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:১৮, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
কুষ্টিয়ায় তামাক চাষ মাত্রা ছাড়িয়েছে

কুষ্টিয়া সংবাদদাতা: চলতি মৌসুমে কুষ্টিয়ায় তামাক চাষেই ঝুকেছে বেশি কৃষক। অধিকমাত্রায় তামাক চাষের কারণে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ধানের উৎপাদন খরচ বেশি ও দাম কম- এ নিয়ে কৃষকদের বিস্তর অভিযোগ থাকলেও তামাক চাষ নিয়ে কোন উচ্চবাচ্য নেই। ফলে তামাক চাষ এবছর মাত্রা ছাড়িয়েছে।

তবে কৃষি বিভাগ বলছে, তামাক চাষের কারণে বোরো আবাদের ওপর কোন প্রভাব পড়বে না।

কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে কুষ্টিয়ায় ৩২ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হলেও এ পর্যন্ত কৃষকরা বোরো ধান বপন করেছেন ১০ হাজার হেক্টরে। যা লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকের কম।

অন্যদিকে তামাক অধ্যুষিত কুষ্টিয়ার বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে ক্ষতিকর তামাক চাষ হয়েছে প্রায় ১৩ হাজার হেক্টরেরও বেশি জমিতে। এর প্রায় অর্ধেকই দৌলতপুর উপজেলাতে ।

কৃষকদের দাবি, তামাক চাষিই লাভ বেশি। বোরো ধান চাষে বিঘা প্রতি ৫ হাজার টাকার বেশি খরচ হলেও উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে চাষিদের লাভ হয় কম। আবার ধানের দাম কম হওয়ায় লাভের পরিবর্তে অনেক সময় তাদের লোকসানও গুনতে হয়। তাই তারা লাভজনক অর্থকরী ফসল ক্ষতিকর তামাক চাষেই ঝুকছে বেশি।
 


জামাল হোসেন নামে বড়গাংদিয়া এলাকার এক কৃষক জানালেন, ধান চাষ করে লাভের পরিবর্তে অনেক সময়ই লোকসান গুনতে হয়। কিন্তু তামাক চাষে কখনও লোকসান হয় না। নগদ টাকায় বিক্রি হওয়ায় কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হয়।

তবে তামাক চাষের কারণে বোরো ধান চাষে কোন প্রভাব পড়বে না বলেই জানালেন, কুষ্টিয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিভূতিভুষণ সরকার।

এখানকার তামাক চাষ বিরোধীরা বলছেন, সরকারি প্রনোদনা বেশি দেওয়ার পাশাপাশি কৃষকরা ধানের ন্যায্যমূল্য পেলে এ অঞ্চলের কৃষকরা বোরো ধান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠবে। এতে কুষ্টিয়ায় তামাক চাষ হ্রাস পাবে।

 

 

রাইজিংবিডি/কুষ্টিয়া/১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/ কাঞ্চন কুমার/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়