ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

‘অসহায় সিনেমার দর্শক, কাঁচাবাজারের লম্ফঝম্প’

প্রকাশিত: ০৬:১৮, ২৭ মে ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
‘অসহায় সিনেমার দর্শক, কাঁচাবাজারের লম্ফঝম্প’

সিনেমার পোস্টার

ঈদ আসলেই চলচ্চিত্র পাড়ায় বাড়তি আমেজ লক্ষ্য করা যায়। সিনেমা হলে থাকে দর্শকদের দীর্ঘ লাইন। সারা বছরের লোকসান দুই ঈদে পুষিয়ে নেন হল মালিক ও প্রযোজকরা। কিন্তু এবারের চিত্র ভিন্ন। করোনা আতঙ্কে মানুষ ঘরবন্দি। অন্যদিকে সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী সিনেমা হলে তালা ঝুলছে।

এদিকে ব্যাবসায়িক কথা চিন্তা করে মার্কেট খুলে দেওয়া হয়েছে। সিনেমা হল খুলে দেওয়ার পক্ষে-বিপক্ষে মত দিয়েছেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা।

চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিচালক জাহিদ হোসেন বলেন, ‘অসহায় সিনেমার দর্শক আর কাঁচাবাজারের লম্ফঝম্প, ভাইরাস তুমি কার? ঈদের সময়ও অনর্থক সিনেমা হল বন্ধ রাখা হলো। অজুহাত করোনা সংক্রমণ। বাংলাদেশের প্রায় দেড় লাখ হাটবাজার ও কাঁচাবাজার নিয়মিত চলমান রয়েছে। আর এই সকল বাজারে নিয়মিত প্রায় তিন কোটি মানুষের অনবরত যাতায়াত চলছে। আর দেশের সিনেমা হল মাত্র দেড় শত। এই সিনেমা হলগুলোতে প্রতিদিন খুব বেশি হলে এক লাখের মতো দর্শক সিনেমা উপভোগ করতে পারতো। অথচ তিন কোটি মানুষের গমনাগমনের বাজারগুলো নিরাপদ ভাবা হলো! আর এক দেড় লাখ মানুষ বসে বিনোদন নেওয়াকে ঝুঁকিপূর্ণ মনে হলো সিনেমা প্রদর্শকদেরও। দুঃখটা এখানেই!’

স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে প্রেক্ষাগৃহ খোলার আগ্রহ নেই অনেকের। আবার হল খোলার পক্ষে মত দিয়েছেন কয়েকজন হল মালিক। হল মালিক সমিতির সভাপতি কাজী শোয়েব রশিদ রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘হলতো খুলে দিতে চাই। অনেক টাকা লোকসান হচ্ছে মালিকদের। সরকার আজ ঘোষণা দিলে কাল খুলে দিব। কিন্তু স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে কে যাবে হলে? প্রেক্ষাগৃহ একটি বদ্ধ ঘর। এর মধ্যে একটি হাঁচি দিলে সবার মধ্যে সংক্রমণ ছড়াবে। এত ঝুঁকি নিয়ে কীভাবে দর্শক হলে যাবে?’

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ১৮ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে দেশের সব সিনেমা হল।

 

ঢাকা/রাহাত সাইফুল/শান্ত

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়