ঢাকা     শুক্রবার   ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ২৯ ১৪৩১

দিতিকে হারানোর সাত বছর

জ্যেষ্ঠ বিনোদন প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৪২, ২০ মার্চ ২০২৩  
দিতিকে হারানোর সাত বছর

চলচ্চিত্রের সোনালি সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পারভীন সুলতানা দিতি ২০১৬ সালের ২০ মার্চ ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে চলে যান। আজ তাঁর সপ্তম মৃত্যুবাষির্কী। 

দিনটি স্মরণ করে তার পরিবার বিশেষ আয়োজন করেছে। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে অভিনেত্রীর গ্রামের বাড়িতে দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।

সোনারগাঁ পৌরসভার দত্তপাড়া গ্রামের মেয়ে পারভীন সুলতানা দিতি। ছোটবেলা থেকেই তিনি সংগীতের সাথে জড়িত ছিলেন। স্কুলজীবনে স্থানীয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দিতি ছিলেন পরিচিত নাম। গান গেয়ে সোনারগাঁয়ের দর্শকদের মন জয় করেছেন তিনি।

স্থানীয় স্কুল, কলেজ ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করে বরাবরই তিনি বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। একসময় তার প্রতিভা সোনারগাঁয়ের গন্ডি পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। পড়াশোনার সুবাদে সোনারগাঁ ছেড়ে দিতি পাড়ি জমান রাজধানী ঢাকায়। পড়াশোনার পাশাপাশি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও রেডিওতে নিয়মিত গান করতেন দিতি।

সংগীতজীবনে পারভীন সুলতানা দিতির একাধিক গানের অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। দিতির প্রথম গানের অ্যালবাম হচ্ছে ‘তোমার ও চোখে’। একসময় দিতির সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে মুগ্ধ হয়ে বিভিন্ন চলচ্চিত্র নির্মাতা তার প্রতি আকৃষ্ট হন।

১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন নতুন মুখের সন্ধানের মাধ্যমে নবাগত নায়ক-নায়িকা বাছাই করে। এতে দক্ষতার সঙ্গে স্থান পান দিতি। দিতিকে নিয়ে তৈরি হয় একের পর এক ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র। একজন সংগীতশিল্পী থেকে হয় ওঠেন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। শুধু তাই নয়, দিতির অসামান্য অভিনয় দক্ষতার কারণে ‘স্বামী-স্ত্রী’ ছবিতে অভিনয় করে অর্জন করেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।

১৯৮৫ সালে আমজাদ হোসেনের ‘হীরামতি’ সিনেমায় চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরীর সঙ্গে অভিনয় করতে গিয়েই প্রেমে পড়েন দুজন। পরে তারা দুজনে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৮৭ সালে জন্ম নেন মেয়ে লামিয়া চৌধুরী আর ১৯৮৯ সালে জন্ম নেন ছেলে দীপ্ত। যদিও সোহেল চৌধুরী-দিতির সংসার স্থায়ী হয়নি। তারপর ১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাত দুইটার দিকে বনানীর ট্রাম্পস ক্লাবে খুন হন সোহেল চৌধুরী। পরে দিতি তার সর্বাধিক চলচ্চিত্রের জুটি ইলিয়াস কাঞ্চনকে বিয়ে করলেও সে বিয়েও স্থায়ী হয়নি। আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদের মাধ্যমে সমাপ্তি ঘটে এ সংসারেও।

দিতি অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলো হলো : ‘হীরামতি’, ‘দুই জীবন’, ‘ভাই বন্ধু’, ‘উছিলা’, ‘লেডি ইন্সপেক্টর’, ‘খুনের বদলা’, ‘দুর্জয়’, ‘আজকের হাঙ্গামা’, ‘স্নেহের প্রতিদান’, ‘শেষ উপহার’, ‘চরম আঘাত’, ‘স্বামী-স্ত্রী’, ‘অপরাধী’, ‘কালিয়া’, ‘কাল সকালে’, ‘মেঘের কোলে রোদ’, ‘আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা’, ‘মুক্তি’, ‘কঠিন প্রতিশোধ’, ‘জোনাকীর আলো’, ‘তবুও ভালোবাসি’, ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী’, ‘হৃদয় ভাঙা ঢেউ’, ‘মাটির ঠিকানা’, ‘নয় নম্বর বিপদ সংকেত’ ইত্যাদি।

রাহাত//


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়