ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ফোর্বসের তালিকায় ঝাকানাকা রাবা

গোলাম মোর্শেদ সীমান্ত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:২৪, ২ এপ্রিল ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ফোর্বসের তালিকায় ঝাকানাকা রাবা

বিখ্যাত মার্কিন অর্থনীতি বিষয়ক ম্যাগাজিন ফোর্বসে ২০২০ সালের অনূর্ধ্ব-৩০ ক্যাটাগরিতে স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় আরজে ও ভিডিও নির্মাতা রাবা খান।

বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে নির্বাচিত ৩০০ তরুণ উদ্যোক্তাদের তালিকায় স্থান পেয়েছেন তিনি।

রাবা খানকে এ তালিকায় একজন ‘এন্টারটেইনার’ হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে। ২০ বছর বয়সী রাবার উদ্যোগের নাম ‘দ্য ঝাকানাকা প্রজেক্ট’।

রাবা খান মনোনয়ন পেয়েছেন গণমাধ্যম, বিপণন ও বিজ্ঞাপন শ্রেণি থেকে। অনূর্ধ্ব-৩০ ক্যাটাগরির মধ্যে অনূর্ধ্ব-২১ তালিকায় স্থান পেয়েছেন রাবা খান। বলা হয়, ভিডিও কনটেন্ট তৈরির ক্ষেত্রে তিনি দেশের প্রথম ফিমেল কমেডিয়ান। এই গুণী মানুষটিকে নিয়ে লিখেছেন কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী গোলাম মোর্শেদ সীমান্ত

একুশ বছরের বাংলাদেশি তরুণ ফোর্বসের তালিকায়। রাবা খান সমাজের নানা বিষয়ে হাসির ভিডিও প্রকাশ করে সুপরিচিত হয়েছেন। সবার কাছে রাবা এন্টারটেইনার হিসেবে নিজেকে পরিচিত করেছেন। দারুণ সব আইডিয়া নিয়ে ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করে পাবলিশ করেন নিজের ইউটিউব চ্যানেল দ্য ঝাকানাকা প্রজেক্টে।

শখের বশে ভিডিও বানানোর জন্য ২০১৪ সালে ‘দ্য ঝাকানাকা প্রজেক্ট’ নামে ইউটিউব চ্যানেল খুলেন তিনি। বর্তমানে চ্যানেলটিতে আড়াই লাখের বেশি সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীর নিকট রাবা খান তুমুল জনপ্রিয় বলাই যায়। ইউটিউবের পাশাপাশি ফেসবুকেও ভিডিও তৈরি করেন, তাকে এটাই এনে দিয়েছে জনপ্রিয়তা। রাবা খানের রয়েছে আরেকটা পরিচয় ‘কথাবন্ধু’। বেসরকারি রেডিও স্টেশন রেডিও ফুর্তিতে মাত্র ১৬ বছর বয়সে আরজে হিসেবে যোগদান করেন রাবা খান। প্রায় মডেলিংয়ে দেখা যায় তাকে।

অনেকের মাথায় এখন হয়তো ঘুরঘুর করছে ফোর্বসের তালিকাটা। ফোর্বস নিয়মিত বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের ধনী, প্রভাবশালী, অনুপ্রেরণাদায়ী ব্যক্তিত্ব ও উদ্যোক্তার তালিকা প্রকাশ করে। এ নিয়ে তারা পঞ্চমবারের মতো ‘৩০ আন্ডার ৩০ এশিয়া’ তালিকা প্রকাশ করল। ১০টি খাতে নামগুলো তুলে ধরেছে ফোর্বস। এর মধ্যে রয়েছে শিল্পকলা, বিনোদন, আর্থিক খাত, বিপণন ও বিজ্ঞাপন, খুচরা বিক্রি ও ই–কমার্স, প্রযুক্তি, উৎপাদন, স্বাস্থ্য ইত্যাদি।

অনূভুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে রাবা খান বলেন, ‘ফেব্রুয়ারি মাসে আমাকে ফটোশুট করার জন্য ডাকা হয়। প্রায় অনেকদিন খবরটা আমাকে গোপন রাখতে হয়, আজকে অফিসিয়ালভাবে যখন জানানো হয়, তখন পরিবারের সবাই অনেক খুশি হয়। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে শুভাকাঙ্ক্ষীরা সবাই শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। অনুভূতিটা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।’

‘এটি আমার জন্য অনেক বড় একটি স্বীকৃতি। ভবিষ্যতে কাজ করে যেতে চাই নিজের জায়গা থেকে। যতটুকু সম্ভব নতুন নতুন ক্রিয়েটিভ আইডিয়ার ভিডিও উপহার দেবো সবাইকে। আমি চাই বাংলাদেশের সব তারুণ্যের প্রতিভাকে মূল্যায়ন করা হোক। তবেই আগামীর বাংলাদেশটা হবে আরো সুন্দর। আমাদের মার্চে একটা সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল ৩০০ জনকে নিয়ে, তা করোনার কারণে পিছিয়ে গিয়েছে। বিশ্বের পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে হয়তো বা ডিসেম্বরে আমাদের সবাইকে নিয়ে সম্মেলনটা অনুষ্ঠিত হবে’, বলেন তিনি।

করোনার জন্য গোটাবিশ্ব বলা যায় বন্দি। ব্যতিক্রম ঘটেনি রাবা খানের সঙ্গেও। ঘরে বসে পরিবারের সঙ্গে তিনি সময় কাটাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘নানা ধরনের খাবার রান্না করার চেষ্টা করছি এবং তা সোশ্যাল মিডিয়াতে আপলোড করছি। এছাড়া আমি আঁকাআঁকি করতে পছন্দ করি, তাই নিজের যা ইচ্ছে হচ্ছে তা আঁকছি প্রতিদিনই। নিজের জায়গা থেকে যতটুকু সম্ভব সতর্ক থাকার চেষ্টা করছি।’

‘আমি সবাইকে অনুরোধ করবো ঘরে থাকার জন্য। নিজের জায়গা থেকে সবাইকে সচেতন থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি। সচেতনতাই পারে আমাদের এই রোগ থেকে মুক্তি দিতে। আমি প্রায়সময় সোশ্যাল মিডিয়াতে লাইভে এসে সবাইকে সতর্ক করার চেষ্টা করছি’, বলেন রাবা।


ঢাকা/হাকিম মাহি

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়