ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

‘বইয়ের প্রচারকে আমরা মেলাকেন্দ্রিক করে ফেলেছি’

সাইফ বরকতুল্লাহ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:১৪, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘বইয়ের প্রচারকে আমরা মেলাকেন্দ্রিক করে ফেলেছি’

রাইজিংবিডির স্টলে মোহিত কামাল (ছবি : ছাইফুল ইসলাম মাছুম)

কথাসাহিত্যিক মোহিত কামাল। তিনি দীর্ঘদিন ধরে লেখালেখির সঙ্গে সম্পৃক্ত । সম্পাদনা করছেন সাহিত্য পত্রিকা ‘শব্দঘর’। অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৭-এর ষষ্ঠ দিনে সোমবার বিকেলে আসেন বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে রাইজিংবিডি ডটকমের স্টলে। এ সময় সাহিত্যের নানা প্রসঙ্গ, বই, লেখক, পাঠক ও বইমেলা নিয়ে রাইজিংবিডির সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সাইফ বরকতুল্লাহ।

সাইফ বরকতুল্লাহ : এবার বইমেলা কেমন দেখছেন?

মোহিত কামাল : আমার খুব ভালো লাগছে। বিশেষ করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যে আয়োজন, ইট বিছানো যে প্রান্তর, ধুলাবালিহীন যে সুন্দর একটি নান্দনিক ব্যবস্থাপনা, আমার খুব ভালো লেগেছে। আর দুটো স্টলের মাঝখান দিয়ে বিশাল স্পেস, যেটা অন্যবার ছিল না এবং মানুষ যখন একখান দিয়ে হাঁটত, ঠাসাঠাসি হতো। এবার ঠাসাঠাসি হবে না। মানুষ নিঃশ্বাস ছেড়ে হাঁটতে পারে- এ রকম মনে হয়েছে। বিশেষ করে, উদ্যানের ওই চত্বরে বাতির সামনের প্রান্তরে দুপাশের স্টলের মাঝখানে বিশাল একটা ময়দানের মতো জায়গা আছে, সেখানে কবি-সাহিত্যিকরা আড্ডা দিচ্ছেন, সাংবাদিকরা কথা বলছেন, পাঠকরা দাঁড়িয়ে কথা বলতে পারছেন- বিষয়টা আমার কাছে খুবই চমৎকার মনে হয়েছে।

সাইফ বরকতুল্লাহ : বইমেলা এলেই বই উৎসব, প্রচুর বই প্রকাশিত হয়, মিডিয়ায় ব্যাপক কাভারেজ পায়। কিন্তু বছরের অন্য মাসগুলোতে তা হয় না। আপনার ভাবনা কী?

মোহিত কামাল : এই যে পাই না, এটার জন্য অনেক সময় প্রকাশকরা লেখকদের দায়ী করেন যে, লেখকরা ঠিক সময়ে পাণ্ডুলিপি দেন না। তারা বইমেলার আগে আগে পাণ্ডুলিপি দেন। সব বই-ই বইমেলার সময় প্রকাশ করতে হয়। মিডিয়া বইমেলার সময় বিজ্ঞাপনে ছাড় দেন, লেখকদের বিজ্ঞাপন দিতে গেলে বইমেলার সময় দিতে হয়। প্রচার-প্রচারণাটাকে আমরা বইমেলাকেন্দ্রিক করে ফেলেছি। এটা লেখকদের ভেতরেও ড্রাইভিং ফোর্স হয়েছে, সারা বছর লিখবেন তারা, বইমেলার সময় বই বের করলে মিডিয়ায় বেশি কাভারেজ পাবেন, সুতরাং একটা সাইকোলজি তাদের (লেখকদের) ভেতর কাজ করে।

সাইফ বরকতুল্লাহ : এবার বইমেলা শুরু হওয়ার আগে বই সম্পাদনা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে যে, অধিকাংশ বই সম্পাদনা ছাড়াই বের হচ্ছে। এ বিষয়টি আপনি কীভাবে দেখেন?

মোহিত কামাল : বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বের কোথাও নেই যে বই সম্পাদনা ছাড়া বের হয়। তারপরও আমরা বলব বাংলাদেশে এখন কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান আছে, তাদের সম্পাদনা পরিষদের অনেকগুলো পর্যায় পেরিয়ে নিখুঁতভাবে বইটা বের হয়। সুতরাং একদম যে আমাদের সম্পাদনাবিহীন সব প্রকাশকরা বই বের করছেন, এটা ঠিক নয়। এখন প্রতিটি প্রকাশকই সম্পাদনা করার জন্য একজন করে নিয়োগ করছেন, যারা যোগ্য, দক্ষ লোক নিয়োগ করছেন, এটা একটি পজিটিভ দিক। তবে অনেক ক্ষেত্রে আমরা লক্ষ করি যে সম্পাদনা ছাড়া বই বের হয়। বিশেষ করে শিশুদের বই যদি সম্পাদনা ছাড়া বের হয়- এটা খুবই খারাপ কাজ। আমি মনে করি কোনো বইয়ে ভুল থাকা চলবে না। শিশুদের বই তো অবশ্যই নয়। সম্পাদনা একটা শিল্প। এ শিল্পকে আরো জোরদার করতে হবে। উন্নত করতে হবে। এ বিষয়ে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে হবে। বানানশৈলী একই রকম যেন হয়। বাংলা অভিধান যদি আমরা ফলো করি, তাহলে আমরা একই রকম থাকব। একেকটা বই যেন একেক রকম না হয়।

সাইফ বরকতুল্লাহ : ভালো একটা প্রসঙ্গ আপনি বলছেন যে বানান। বিশেষ করে আমরা যারা গণমাধ্যমে কাজ করি, আমাদের বানান নিয়ে অনেক সমস্যা মোকাবিলা করতে হয়। বাংলা একাডেমি থেকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অভিধান বের হয়েছে। সেখানে বানানের ধারা পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু পুরোনো অভিধানগুলো থাকায় আমরা একটি শব্দের একাধিক বানান ব্যবহার করছি। এই যে একটা সমস্যা তৈরি হচ্ছে- এ থেকে উত্তরণের পথ কী?

মোহিত কামাল : অবশ্যই, আমি দেখি যে ছোট- ‘ট’ অথবা ‘টো’, ছোটো, বাংলা একাডেমি অভিধানে দুটোই দিয়ে রেখেছে। কিন্তু এটা তো হলো না। যেকোনো একটাতে স্থির হতে হবে। এখন কোনো কোনো লেখক ছোট লিখছেন, আবার আরেকজন সম্পাদনা করতে গিয়ে ছোটো লিখছেন। আমি বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, এ বিষয়ে সাফার করে বলছি, যে কারণে বইয়ের ভিন্নতা লক্ষ করা যায়। একটাই থাকতে হবে। ‘নি’ কি আলাদা হবে না একত্রে হবে, ‘না’ কি আলাদা হবে না একত্রে হবে- এ বিষয়ে সব সময় একটা হতে হবে। এ বিষয়ে কোনো আপস করা চলবে না। তাহলে ভাষার পরিচর্যা হবে। স্কুল পর্যায়ে যে বইয়ের বানান, হাইস্কুল পর্যায়ে যে বইয়ের বানান, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে বইয়ের বানান সব একই ধারার হতে হবে। তাহলে আমাদের বাচ্চাদের বানানশৈলীটা মাথার মগজে গেঁথে যাবে। বানান ভুল করবে না তারা।

সাইফ বরকতুল্লাহ : বইমেলা এলেই আমরা একটি অভিযোগ প্রায়ই শুনি যে, লেখক-প্রকাশক সম্পর্ক নিয়ে টানাপোড়েনের কথা। আপনার মতামত কী?

মোহিত কামাল : টানাপোড়েনের কারণ হচ্ছে যে ভালো প্রকাশকের সংখ্যা কম। ভালো প্রকাশকদের কাছে সব লেখকরা বই প্রকাশের জন্য মুখিয়ে থাকেন। ফলে তারা একটা ওয়ার্ক ওভারলোডে থাকেন। এতে করে প্রকাশকরা একটু চোটপাট দেখাতেই পারেন। যার বই বের হলে প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা বাড়বে, একটু বাণিজ্য হবে- সেদিকে একটু নজর বেশি থাকে। কিন্তু উঠতি বয়সি কোনো লেখকের প্রতি তাদের নজর নেই। তারাই বেশি ঘুর ঘুর করেন।সে কারণে তারা পাত্তা পান না বলে প্রকাশকরা আমাদের জানান। আবার ব্যবসার ক্ষেত্রেও দেখছি যে, কতগুলো বই প্রকাশিত হলো, কয়টা বিক্রি হলো, কত টাকার বিক্রি হলো, কতটুকু রয়্যালটি পাবে- এ বিষয়গুলোতে স্বচ্ছতা থাকে না। প্রকাশক যদি বলেন কয়টা বই বিক্রি হলো, কত টাকা লেখক রয়্যালটি পাবেন, এ বিষয়ে স্বচ্ছতার জায়গায় কোথাও যেন অস্বচ্ছতা রয়ে গেছে। স্বচ্ছতা থাকতে হবে। তাহলে লেখক বুঝতে পারবেন তার কতটা বই বিক্রি হলো। আমি অনেক সয়য় দেখেছি যে, একটা লেখকের ১০০টা বইও চলল না, সেখানে লেখক এসে প্রকাশকের কাছে ঘুর ঘুর করেন রয়্যালটির জন্য। সে সময় প্রকাশক রেগে যাবেন, এটাই স্বাভাবিক। এখানে লেখকদের ভাবতে হবে- তার বইতে কত বাণিজ্য হলো, বইটা ভালো বিক্রি হয়েছে কি না। এ বিষয়টা লেখকদের অবশ্যই চিন্তা করতে হবে।
 


সাইফ বরকতুল্লাহ  : আরেকটা বিষয় জানতে চাইব, আমরা যারা সারা বছর সাহিত্যের খোঁজখবর রাখি, আমরা দেখি যে সময়কাল নিয়ে সাহিত্য রচনা কম হচ্ছে...

মোহিত কামাল : এটি আমি বলব, যদি আমাকে প্রশ্ন করেন, তাহলে বলব আমার প্রতিটি বইই সমসাময়িক ঘটনা নিয়ে। যেমন এবার বইমেলায় প্রথমা থেকে এসেছে আমার ‘সুস্মিতার বাড়ি ফেরা’। এ বইটি সমসাময়িক, সাইকো সোশ্যাল প্যাথলজি মাদক, সন্ত্রাস, সাইবার ক্রাইম, এখনকার ছেলেরা যেসব ফেস করছে, এসব নিয়ে লেখা। সুতরাং কে কী লিখছেন, তা জানতে বই পড়তে হবে। অথবা আমি যদি বলি আমার লেখা ‘তবুও বাঁধন’, এ বইটি সমসাময়িক মনস্তাত্ত্বিক সংকট নিয়ে লেখা। অথবা যদি বলি আমার লেখা ‘বিষাদনদী’, এখানে সহজেই সম্পর্ক হচ্ছে, সম্পর্ক ভেঙে যাচ্ছে, সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর ছেলেমেয়েরা বিষাদে আক্রান্ত হচ্ছে, তারা ভেসে যাচ্ছে, কিন্তু ভেসে না গিয়ে তারা কীভাবে সৃষ্টিশীল কাজ করতে পারে, নিজেকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবে- এসব থিম নিয়ে লেখা। অর্থাৎ আমি সব সময় কিন্তু সমসাময়িক ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে লিখছি। আপনি আমার ‘পথভ্রষ্টঘূর্ণির কৃষ্ণগহ্বর’ পড়েন, তখন দেখবেন যে, যুদ্ধাপরাধীর বিচার হচ্ছে, সেখানে পুরো যুদ্ধাপরাধীদের চিত্র উঠে এসেছে। সুতরাং বইয়ের মধ্যে লেখকরা এটা কিন্তু করছেন। ‍সুতরাং আমরা যদি অভিযোগ করি এটা হচ্ছে না, তাহলে বলব, আমরা বেশি বই পড়ছি না। আমরা সবার বইয়ের খবর রাখছি না। সবার বইয়ের পাতা উল্টাতে পারছি না। সুতরাং মনগড়া একটা বলে দিই। সব লেখকই কিন্তু সমসাময়িক বিষয় নিয়ে লিখছেন। আমি যদি বলি হরিশংকর জলদাসের লেখা ‘রঙ্গশালা’ উপন্যাসটির কথা। সেখানে ফকির নিয়ে লেখা। ভিক্ষাবৃত্তি নিয়ে লেখা। একটা ভিক্ষুকের জবানীতে তিনি তুলে এনেছেন। এর চেয়ে সমসাময়িক আর কী হতে পারে। সুতরাং সমসাময়িক কাজ হচ্ছে।

সাইফ বরকতুল্লাহ : এখন যে সাহিত্যের ধারা, বা আমাদের বাংলা সাহত্যি এখন যে পর্যায়ে আছে, সেখান থেকে সামনে বাংলা সাহিত্যের ভবিষ্যৎ কী হতে পারে, আপনার ভাবনা?

মোহিত কামাল : আমি যদি বাংলা ভাষার পরিচর্যার ক্ষেত্র হিসেবে ধরি, বাঙালি সত্তার পরিচর্যার ক্ষেত্র হিসেবে ধরি, আমি বলব বাংলাদেশে সেন্ট্রাল অব দ্য লিটারেচার বাংলা লিটারেচার- সেই কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। ভারতের শত শত ভাষা, তারা বাংলা ভাষার ওপর নির্ভর করে পরিচর্যা করতে পারছে না। তাদের সন্তানদের অনেক ভাষা থেকে প্রতিযোগিতা করে করে সামনে এগোতে হচ্ছে। সুতরাং বাংলা সেখানে অবহেলিত হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সে তুলনায় আমরা টোটালি বাংলার ভেতর দিয়ে বের হয়ে এসেছি। সুতরাং আমরা মনে করি, এখানে বাংলা ভাষার যে পরিচর্যা, বাংলা ভাষার যে চর্চা- সেটা অনেক ভালো হচ্ছে। সেটা নেটে বলেন, সেটা কলম দিয়ে বলেন। আমি মনে করি না যে আমাদের চর্চা কম হচ্ছে। আমাদের ভাষার চর্চার মানটাও খারাপ না। এখন যারা সাহিত্য রচনা করছেন, তারা বিশ্বসাহিত্য পড়ছেন। দেশীয় সাহিত্য পড়ছেন। আমাদের ইতিহাস পড়ছেন। ফলে নিজেদের সমৃদ্ধ করছেন এবং তারা ভালো ভালো লিখছেন। আমরা সমস্ত লেখাগুলোকে নজরে আনতে পারি না। ফোকাস করতে পানি না। না পড়েই ভাবছি কিছুই লেখা হচ্ছে না। বিষয়টার সঙ্গে আমি একমত নই। আমি একটা পত্রিকা সম্পাদনা করি। সাহিত্য পত্রিকা শব্দঘর। এটি সম্পাদনা করতে গিয়ে দেখেছি, আমাদের সন্তানদের মধ্যে, তরুণদের মধ্যে লেখালেখির তুমুল উদ্দীপনা, উচ্ছ্বাস। এই যে দিনের পর দিন তারা ফেসবুকে কাটাচ্ছে, তারপরও তাদের মধ্যে লেখার গতি অনেক বেগবান। যে হারে আমার ই-মেইলে লেখা পাঠায়, সে লেখা দিয়ে দশটা পত্রিকা বের করা যাবে। আমাদের বেশি বেশি সাহিত্য পত্রিকা থাকা উচিত, তাহলে আমাদের ছেলেমেয়েদের আরো বেশি সাহিত্যচর্চায় এগিয়ে নিয়ে আসা সম্ভব হবে।

সাইফ বরকতুল্লাহ : এখন তো ডিজিটাল যুগ। দেখা যাচ্ছে যে ফেসবুকে অনেকেই সাহিত্যচর্চা করছেন। সেখানে অনেকেই ভালো ভালো লেখা দিচ্ছে, সেটা ছোট হোক, এখানেও কিন্তু বাংলা সাহিত্যের একটা উন্মেষ হচ্ছে। এ বিষয়টা কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?

মোহিত কামাল : অবশ্যই। এই যে ছোট ছোট করে অনেকেই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিচ্ছে, সেখানে মনের অভিব্যক্তি প্রকাশ করছে। নিজের চিন্তাগুলো দিচ্ছে, বিশ্লেষণ দিচ্ছে। সাহিত্যের মধ্যে তো এগুলোই থাকে। হয়তো সেটা ক্ষুদ্র আকারে থাকছে। সাহিত্যের হয়তো বৃহৎ ক্যানভাস, উপন্যাসের হয়তো বৃহৎ ক্যানভাস, গল্পের হয়তো ছোট ক্যানভাস, ফেসবুকের চর্চার মাধ্যমে কিন্তু সাহিত্যের হাতেখড়ি হয়ে যাচ্ছে। সুতরাং বলব, এই যে ছোট ছোট অভিব্যক্তি, অনুভূতির প্রকাশ, এই যে কল্পনাশক্তির প্রকাশ, এই যে বাস্তবতাকে তুলে ধরার প্রয়াস, আমি বলব, এটা সাহিত্য রচনার পটভূমি হচ্ছে।

সাইফ বরকতুল্লাহ : এবারের বইমেলায় আপনার কী কী বই এসেছে?

মোহিত কামাল : চারটি বই এসেছে এবার। প্রথমা প্রকাশন থেকে এসেছে সুস্মিতার বাড়ি ফেরা, বিদ্যাপ্রকাশ থেকে এসেছে তবুও বাঁধন, অন্যপ্রকাশ থেকে এসেছে বিষাদনদী, অনিন্দ্য প্রকাশ থেকে বের হয়েছে কিশোর উপন্যাস দুখু (২য় খণ্ড)।

সাইফ বরকতুল্লাহ : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

মোহিত কামাল :  : আপনাকেও। রাইজিংবিডিকে শুভেচ্ছা।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/সাইফ/এএন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়