ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

কৃষকের কাছে দ্রুত পৌঁছাতে হবে বারির উদ্ভাবিত প্রযুক্তি

হাসিবুল ইসলাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৪১, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
কৃষকের কাছে দ্রুত পৌঁছাতে হবে বারির উদ্ভাবিত প্রযুক্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) দেশের সর্ববৃহৎ বহুবিধ ফসলের গবেষণা প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি এ পর্যন্ত ২০৮টিরও বেশি ফসলের ৫৩১টি উচ্চ ফলনশীল, রোগ প্রতিরোধী ও প্রতিকূলতা সহিষ্ণু জাত উদ্ভাবন করেছে। পাশাপাশি ফসল উৎপাদন ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ৫০৫টি প্রযুক্তিসহ মোট ১ হাজার ৩৬টিরও বেশি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। এসব প্রযুক্তি দ্রুত কৃষকের কাছে পৌঁছাতে হবে।

রোববার গাজীপুরে বারির প্রধান কার্যালয়ে দুই দিনব্যাপী ‘বারি প্রযুক্তি প্রদর্শনী ২০১৯’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বক্তারা।

বারির মহাপরিচালক ড. আবুল কালাম আযাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, সংসদ সদস্য কৃষিবিদ আব্দুল মান্নান, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরুজ্জামান প্রমুখ।

সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএআরআইর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক (অবসরপ্রাপ্ত) ও এমেরিটাস সায়েন্টিস্ট ড. কাজী এম বদরুদ্দোজা।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সেবা ও সরবরাহ বিভাগের পরিচালক ড. মদন গোপাল সাহা। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন গবেষণা পরিচালক ড. মো. আব্দুল ওহাব। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ‘কৃষি প্রযুক্তি হাতবই ২০১৯’ এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এছাড়া, প্রদর্শনী উদ্বোধনের আগে বারি ক্যাম্পাসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ম্যুরাল উদ্বোধন ও গাছের চারা রোপণ করেন মন্ত্রী।

ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রযুক্তি আবিষ্কারের পর তা যদি মাঠ ও চাষী পর্যায়ে না যায় তাহলে উদ্ভাবনে কোনো লাভ নেই। এ দায়িত্বটি কৃষি বিজ্ঞানীদেরকেই নিতে হবে। উৎপাদিত প্রযুক্তির কতটি চাষী পর্যায়ে গিয়েছে তা দেখা উচিত। ভুট্টা এক সময় দেশের কোনো ফসল ছিল না, বর্তমানে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ  ফসলে পরিণত হয়েছ। কৃষি বিজ্ঞানীদেরকে সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে  যেতে হবে । আমরা আগামী তিন বছর পর এক টন ভুট্টাও আমদানি করব না।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষণা কার্যক্রম, সাফল্য, উদ্ভাবিত প্রযুক্তি ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনার ওপর সংক্ষিপ্ত উপস্থাপনা তুলে ধরেন পরিচালক (তৈলবীজ গবেষণা কেন্দ্র) ড. মো. লুৎফর রহমান। তিনি বলেন, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করে নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, কৃষকের আয় বৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বারি দানা ফসল, কন্দাল ফসল, তেল ফসল, ডাল ফসল, সবজি, ফুল ও ফল, মসলা ফসল ইত্যাদির উচ্চ ফলনশীল জাত ও এসব জাতের উন্নত উৎপাদন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে তা সম্প্রসারণকর্মী, কৃষির সাথে সংশ্লিষ্ট এনজিও কর্মী ও কৃষকের নিকট হস্তান্তরের জন্য নানা ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ ও তা বাস্তবায়ন করে আসছে।

ড. আবুল কালাম আযাদ বলেন, বারি জাত উদ্ভাবনের পাশাপাশি ফসল, পানি, সার ও মৃত্তিকা ব্যবস্থাপনা, রোগ ও পোকা মাকড় দমন, জৈব প্রযুক্তি, হাইড্রোপোনিক, আইপিএমসহ ফসল, মৃত্তিকা, পানি, রোগ ও পোকা-মাকড় দমন ও উৎপাদন ব্যবস্থাপনাবিষয়ক প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। এসব প্রযুক্তি প্রতিকূল পরিবেশে, বিশেষ করে লবণাক্ততা, খরা, জলাবদ্ধতা, পাহাড়ি এলাকা ও চরাঞ্চলে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধিতে যথেষ্ট ভূমিকা রাখছে। বিএআরআই কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে উদ্ভাবিত এসকল প্রযুক্তি প্রদর্শিত হচ্ছে।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে (সোমবার) দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষক ও কৃষাণীসহ প্রায় ৪০০ জন অংশগ্রহণ করবেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/হাসিবুল/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়