ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

অন্যরকম ধারণা দেবে ‘মুক্তিযুদ্ধ কেন অনিবার্য ছিল’ বইটি

এসকে রেজা পারভেজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:১৯, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
অন্যরকম ধারণা দেবে ‘মুক্তিযুদ্ধ কেন অনিবার্য ছিল’ বইটি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : ২৩ বছরের বঞ্চনা-অত্যাচার-নিপীড়নের সমাপ্তি ঘটিয়ে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালে বিশ্ব দরবারে নতুন একটি দেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছিল, সেটি বাংলাদেশ। সেই মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত হওয়া নিয়ে দারুণ একটি গবেষণাগ্রন্থ ‘মুক্তিযুদ্ধ কেন অনিবার্য ছিল’। সহজ-সরল ভাষায় মুক্তিযুদ্ধ অনিবার্য হওয়ার ২২টি কারণ বের করেছেন বইটির তিন গবেষক। যেখানে উঠে এসেছে বাংলার মানুষের প্রতি পশ্চিম পাকিস্তানের অবহেলা, শোষণ আর নির্যাতনের চিত্র। 

বুধবার মেলায় আসছে বইটি। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক এই বইটির মোড়ক উন্মোচন করবেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া। বইটি প্রকাশ করেছে ঝালকাঠি পাবলিকেশন্স। পাওয়া যাবে বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অংশে পাঠশালার ৪৯৬ নম্বর স্টলে।

বইটি মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে উৎসর্গ করে বলা হয়েছে, ‘মাত্র পঞ্চান্ন বছরের জীবনের মধ্যে বাংলা ও বাঙালির স্বাধীনতার জন্য যিনি তেরোটি বছর জেলে বন্দি ছিলেন। যার একটি আঙুলের নির্দেশে পুরো বাঙালি জাতি মুক্তিযুদ্ধের ছায়াতলে দাঁড়িয়েছিল। যার নাম নিতে গিয়ে আমরা অকপটে বলি- বাংলাদেশের অপর নাম শেখ মুজিবুর রহমান।’

‘মুক্তিযুদ্ধ কেন অনিবার্য ছিল’ বইটি তিনজন গবেষকের। তাদের একজন অধ্যাপক ড. মু. নজরুল ইসলাম। তিনি হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট কলেজ ও হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তার রয়েছে ব্যাপক পড়াশোনা। রাজনীতি সচেতন নাগরিক হিসেবে তিনি মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে গবেষণা করছেন।

বইটির আরেক গবেষক মু. আক্তারুজ্জামান। তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে গবেষণার পাশাপাশি তিনি শিল্প-সাহিত্য নিয়েও গবেষণা করছেন।

অপর গবেষক মিনার মাসুদ। তিনিও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গবেষক। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি খণ্ডকালীন শিক্ষকতা করেছেন।  

বইটি নিয়ে অধ্যাপক ড. মু. নজরুল ইসলাম রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘একবাক্যে আমরা এখণ বলতে পারি, পাকিস্তান থেকে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা লাভ করে লক্ষ-কোটি গুন লাভবান হয়েছি। কারণ, পাকিস্তান এখন হাজারো বঞ্চনা আর হঠকারিতার দোলাচলে দুলছে। পাকিস্তান বর্তমানে বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারেকাছেও নেই। তাই আমরা যারা লিখি, তাদের এখন দেশমাতৃকার ইতিহাস এবং সত্যিকারের বেদনার গল্পটি ছোটদের অর্থাৎ শিশু-কিশোরদের উপযোগী করে লিখতে হবে। এতে তারা মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পারবে। সেই ভাবনা থেকে মুক্তিযুদ্ধ কেন অনিবার্য ছিল বইটি লেখা।’



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯/রেজা/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়