ঢাকা     শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ৯ ১৪৩১

খুলনা বিভাগে পরিবহণ ধর্মঘট অব্যাহত

সেখ ইউসুফ আলী || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:০৭, ২৩ মে ২০১৫   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
খুলনা বিভাগে পরিবহণ ধর্মঘট অব্যাহত

বাস টার্মিনালে পার্কিং করা বাস

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা : খুলনা বিভাগে পরিবহণ ধর্মঘট পঞ্চম দিনের মতো অব্যাহত রয়েছে। ৩ দফা দাবিতে পরিবহণ মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ এ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।

 

সোহাগ পরিবহণের আটক চালক ও হেলপারদের মুক্তি, পরিবহণে ডাকাতির ঘটনায় মামলা এবং মামলা না নিয়ে হয়রানি করায় সংশ্লিষ্ট ওসিকে প্রত্যাহার দাবিতে এ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়।

 

এ দিকে পরিবহণ ধর্মঘটের ফলে সাধারণ যাত্রীদের দুর্ভোগ বেড়েছে। কাজের তাগিদে তারা বিকল্প হিসেবে মোটরসাইকেল ভাড়া করে গন্তব্যে যাচ্ছেন। ফলে তাদের যাতায়াত ভাড়া দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ খরচ হচ্ছে। অনেকে বিকল্প হিসেবে ট্রেনে যেতে চাইলেও আসন সীমিত হওয়ায় সেখানেও টিকিট মিলছে না।

 

অন্যদিকে আগামী ২৫ মে’র মধ্যে সংকট সমাধান না হলে সারাদেশে পরিবহণ ধর্মঘট ডাক দেওয়ার হুঁশিয়ারও দিয়েছে পরিবহণ মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।

 

শনিবার খুলনা বাস-মিনিবাস কোচ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সোনা জানান, চলমান সংকট নিরসণের লক্ষে শুক্রবার রাতে সরকারি প্রশাসন ও পরিবহণ নেতাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উভয় পক্ষের অনড় অবস্থানের কারণে সংকটের সমাধান হয়নি।

 

তিনি আরো জানান, পুলিশের হাতে আটক দুই পরিবহণ শ্রমিকের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলে পরিবহণ ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে। দাবি আদায়ে আগামী ২৫ মে পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি মানা না হলে এরপর সারাদেশে পরিবহণ ধর্মঘট ডাকা হবে। 

 

শনিবার সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, সোনাডাঙ্গা খুলনা বিভাগীয় বাস টার্মিনাল, রয়েলের মোড় ও শিববাড়ি বাস কাউন্টার থেকে ঢাকাগামী কোনো গাড়ি ছাড়েনি। ফলে সাধারণ যাত্রীদের দুর্ভোগের মুখে পড়তে হয়েছে।

 

সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনালে মো. সালাম নামে এক যাত্রী বলেন, ‘ধর্মঘটে গাড়ি ছাড়ছে না। যে কারণে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ দিয়ে গন্তব্য স্থানে পৌঁছাতে বাধ্য হচ্ছি।’ 

 

বাংলাদেশ পরিবহণ সংস্থা যশোরের সভাপতি আজিজুল আলম মিন্টু জানান, আটক দুই শ্রমিককে নিঃশর্ত মুক্তি, ফরিদপুরের পুলিশ সুপার ও মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের জন্য বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। প্রশাসন দাবি না মানায় ঢাকাগামী পরিবহণ ধর্মঘটের পাশাপাশি শুক্রবার থেকে আন্তজেলা পরিবহণ ধর্মঘট পালন করা হচ্ছে।

 

উল্লেখ্য, ৩ দফা দাবি আদায়ের লক্ষে মঙ্গলবার থেকে দক্ষিণাঞ্চলে ঢাকাগামী পরিবহণে ধর্মঘট শুরু হয়। আর শুক্রবার থেকে আন্তজেলা সড়কগুলোয়ও ধর্মঘট শুরু হয়েছে। বাস চলাচল বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন হাজার হাজার যাত্রী।

 

রাইজিংবিডি/২৩ মে ২০১৫/ খুলনা/সেখ ইউসুফ আলী/রুহুল

রাইজিংবিডি.কম


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়