ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

বাণিজ্য মেলায় ইতিহাসের খোঁজে বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন

ছাইফুল ইসলাম মাছুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৩৩, ২৯ জানুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বাণিজ্য মেলায় ইতিহাসের খোঁজে বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন

ছাইফুল ইসলাম মাছুম: পুরো প্যাভিলিয়নে স্তরে স্তরে সাজানো বঙ্গবন্ধুর ছবি ও চিত্রকর্ম। তার কর্ম ও জীবন নিয়ে ক্যাপশনসহ প্রদর্শন করা হচ্ছে সেগুলো। প্যাভিলিয়নের একাংশে প্রদর্শন করা হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর জীবনভিত্তিক ভিডিও ডুকমেন্টারি।

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় পদ্মা সেতুর স্পামের আদলে গড়া প্রধান ফটকের ভেতর দিয়ে ঢুকে সোজা একটু এগিয়ে গেলেই দর্শনার্থীদের চোখ পড়বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য। এর পেছনেই বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে জানতে মেলার দর্শনার্থীরা ভিড় জমান এই প্যাভিলিয়নে।



উত্তরার গৃহবধূ মাহফুজা ইয়াসমিন স্বামী, দুই ছেলেমেয়েসহ ঘুরতে এসেছেন মেলায়। তিনি রাইজিংবিডিকে জানান, বাচ্চারা তো বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানে না, ওরা ছবি দেখলে জানতে পারবে, তাই নিয়ে এসেছি। প্যাভিলিয়নে কথা হয় অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা ইকবাল আহমেদের সঙ্গে। তিনি বাণিজ্য মেলায় কেনাকাটা করার জন্য এসেছিলেন। ইকবাল আহমেদ বলেন, ‘মেলায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে স্টল করা হয়েছে। এটি খুবই ভালো উদ্যোগ। নতুন প্রজন্ম অনেক কিছু জানে না। তারা অনেক ইতিহাস জানতে পারবে এখানে এসে।’

প্যাভিলিয়নের প্রবেশপথের ওপরে লেখা ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ইউনেস্কো কর্তৃক ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় আমরা গর্বিত।প্যাভিলিয়নে প্রবেশ করলে প্রথমে একটি চিত্রকর্মে বঙ্গবন্ধুর ছবির সঙ্গে গ্রামীণ প্রকৃতি ও শিশুদের ছবি দেখা যাবে। সেখানে লেখা: ‘জতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার আরেকটি ছোটনাম ‘খোকা’। শৈশব থেকেই দুঃখী ও গরিব মানুষের প্রতি দরদি।’



পুরো প্যাভিলিয়নে বঙ্গবন্ধুর বাঁধাই করা ছবি রয়েছে ৫৪টি। শেখ মুজিবের কর্ম ও জীবন নিয়ে চিত্রকর্ম রয়েছে ২৬টি। চিত্রকর্মগুলোতে বঙ্গবন্ধুর শৈশব, কৈশোর, যৌবন, রাজনীতি, সংগ্রাম, জেল জীবন সম্পর্কে বর্ণনা রয়েছে।প্যাভিলিয়নের এক পাশে প্রদর্শিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর কর্ম ও জীবন নিয়ে ভিডিও ডুকমেন্টারি। সকাল ১০:৩০ মিনিটে প্রদর্শন করা হয় বঙ্গবন্ধুর ২৭ মার্চের ভাষণ। ১১:৩০ থেকে একাত্তরের গনগত্যা নিয়ে ভিডিও ক্লিপ। ২টা থেকে আমাদের বঙ্গবন্ধু। বিকাল ৩টা থেকে জাগে প্রাণের পতাকায়। ৪:৩০ মিনিট থেকে চিরঞ্জীব বঙ্গবন্ধু। সন্ধ্যা ৬টা থেকে স্বাধীনতা কীভাবে আমাদের হলো। রাত ৮টায় আমাদের বঙ্গবন্ধু।

প্যাভিলিয়নের নিরাপত্তার দ্বায়িত্বে থাকা শুকুর আলী রাইজিংবিডিকে জানান, প্রতিদিন আট থেকে দশ হাজার মানুষ প্যাভিলিয়নটি ঘুরতে আসে। কেউ শুধু ছবি দেখে। অনেকে ছবি তোলে। আবার কেউ খুব মনোযোগ দিয়ে ভিডিও ক্লিপগুলো দেখে। প্রশ্ন করে অনেক কিছু জানতে চায়।



প্যাভিলিয়নটি তৈরি করা হয়েছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর পক্ষ থেকে। সেই সূত্রে জানা যায়, গতবারের তুলনায় এ বছর বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন আকারে প্রায় দ্বিগুণ। এই প্যাভিলিয়নের ভেতরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনীর ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ শিশু একাডেমী প্রকাশিত ২৬টি চিত্রকর্ম প্রদর্শন করছে তারা। প্রজেক্টরের মাধ্যমে ডকুমেন্টারি প্রদর্শনের জন্য একটি থিয়েটার কক্ষ রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মভিত্তিক বিভিন্ন আলোকচিত্রও প্রদর্শন করা হচ্ছে। স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর অবদান, বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন দিক ছাড়াও যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে উন্নয়নের ধারায় এগিয়ে নেয়ার প্রকৃত ইতিহাস সবার কাছে, বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে এই প্রয়াস।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৯ জানুয়ারি ২০১৮/ফিরোজ/তারা

রাইজিংবিডি.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়