ঢাকা     বুধবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৪ ১৪৩১

‘মায়ের একধার দুধের দাম’ গানটি যেভাবে হলো

রাহাত সাইফুল || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০২:২৩, ১৩ মে ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘মায়ের একধার দুধের দাম’ গানটি যেভাবে হলো

বিনোদন ডেস্ক: ‘মায়ের একধার দুধের দাম, কাটিয়া গায়ের চাম/পাপশ বানাইলে ঋণের শোধ হবে না,/এমন দরদি ভবে কেউ হবে না আমার মা গো…’

‘১৯৭৭ সালের ঘটনা। মাকে সঙ্গে নিয়ে গাড়িতে ফরিদপুর যাচ্ছি। আরিচা ঘাটে আমাদের গাড়ি থামে। ফেরি পার হতে হবে। এই সময় এক অন্ধ বাউলের সঙ্গে দেখা। বাউলটি দেহতত্ত্বের গান গাইছেন। গানটি শুনেই আমার কানে লেগে যায়। সঙ্গে সঙ্গে রেকর্ডার বের করে গানটি রেকর্ড করি। আমার মাও গানটি মনোযোগ দিয়ে শুনেছিলেন। বাড়ি যাওয়ার পথে গাড়িতে বসেই বারবার ভাবি গানটি কীভাবে নিজে গাইব। গানটি শুনে খুব আপ্লুত হয়ে পড়েছিলাম।’ কথাগুলো বলছিলেন ‘মায়ের একধার দুধের দাম’ গানটির স্রষ্টা ফকির আলমগীর।  

মা দিবসকে সামনে রেখে এই প্রতিবেদক যখন তার কাছে গানটির কথা জানতে চান তখন তিনি বলেন, ‘ঢাকা ফিরে নিজের মতো করে গানটি তৈরি করি। এরপর বিটিভির একটি অনুষ্ঠানে গানটি পরিবেশন করি। পরে অজিত রায় গানটি নতুন করে রেকর্ড করান। এটি নব্বই দশকের কথা। তারপর এই গানটি আমার ‘সখিনা-২’ অ্যালবামে রাখি।’

গানটি এখনও মানুষের মুখে মুখে ফেরে। সিনেমাতেও গানটি ব্যবহৃত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ফকির আলমগীর বলেন, ‘গানটি হিট হলে আলাউদ্দিন আলীর সংগীতায়োজনে ‘অবরোধ’ সিনেমার জন্য গানটি নতুন করে রেকর্ডিং করা হয়। পরে অবশ্য ফরিদ আহমেদের সংগীতায়োজনে গানটি আবারো রেকর্ডিং করা হয়েছিল। বিভিন্ন সময় শিল্পীরা গানটি গেয়েছেন। মাঝে মাঝে গানটি গাইতে গিয়ে মাকে খুব মনে পড়ে। গানটির কথায় এত দরদ যে, অনেক সময় আমি কেঁদে ফেলি। এমন অনেক বার হয়েছে, আমি যখন সরাসরি কোনো অনুষ্ঠানে গাইছি তখন আমার স্ত্রী টিভিতে গানটি শুনে কেঁদেছেন। আমার এক নাতি আছে। ওর মা নেই। ওর কষ্টটা আমরা সবাই অনুভব করি। এ জন্যই আমার স্ত্রী গানটি শুনলেই আপ্লুত হয়ে পড়েন। আমার কাছে এখন পর্যন্ত মাকে নিয়ে এই গানটিই সেরা মনে হয়।’




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৩ মে ২০১৮/রাহাত/শান্ত

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়