ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

বৈশাখী মেলায় খবর পাড়ায়

ইমানুল সোহান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:২৬, ১৬ এপ্রিল ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বৈশাখী মেলায় খবর পাড়ায়

ইমানুল সোহান : ক্লাস, পরীক্ষার পাশাপাশি ব্যক্তিগত দক্ষতা অর্জনে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিশেষ ভূমিকা রাখে। নিজের ভিতর লুকায়িত প্রতিভাকে বিকশিক করার সুযোগও করে দেয়। এজন্য দেশের সেরা বিদ্যাপীঠগুলোতে ভর্তি যুদ্ধের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের ভর্তি হতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েই শিক্ষার্থীরা নিজের প্রতিভাকে বিকশিত করার নিমিত্তে বিভিন্ন সংগঠনে যুক্ত হয়। যার মধ্য দিয়ে নিজেরা দক্ষ হয়ে ওঠে। এরকম কিছু শিক্ষার্থী পড়ালেখার পাশাপাশি সাংবাদিকতা করে নিজেদের দক্ষ করে গড়ে তুলছে।

বলছি, কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের কথা। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে দুটি সংগঠন রয়েছে। সাংবাদিক সমিতি ও প্রেস ক্লাব। এই দুই সংগঠনে অন্তত ৪০জন শিক্ষার্থী পড়ালেখার পাশাপাশি সাংবাদিকতা করছেন। যারা লেখনীর মধ্য দিয়ে সর্বদা ক্যাম্পাসের সম্ভাবনা ও অন্তরায় খবরের পাতায় তুলে ধরছে। এ কাজে অনেক সময় তাদের নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। নিজ ক্যাম্পাসের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি দুর্নীতির বিষয়টিও তাদের তুলে ধরতে হয়। ফলশ্রুতিতে অনেক সময় তাদের ওপর মানসিক অত্যাচার চালানো হয়। কিন্তু সবকিছুর উর্ধ্বে এসে তারা শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে খবরের পাতায় বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে খবর করে। সেই খবরটি কখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে যায় আবার কখনও বিপক্ষে।

এই পক্ষে ও বিপক্ষের মূল্যায়নের নিমিত্তে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন দিনব্যাপী বৈশাখী মেলায় সাংবাদিকরা একটি স্টল নিয়েছে। যার নাম দেয়া হয়েছে ‘খবর পাড়া’। যেখানে ‘খবরের ঝুলি’ শিরোনামে দুটি বোর্ডে তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে। সেই তথ্যচিত্রগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের উল্লেখ্যযোগ্য খবরগুলো দেখানো হচ্ছে। যা দেখে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থীরা তাদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করছে। এছাড়াও স্টলটির সামনে একটি মতামত বক্স বসানো হয়েছে। যার শিরোনামে আছে ‘সমৃদ্ধির পথে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্ভাবনা ও অন্তরায়’। এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা তাদের মতামত প্রদান করছে। একই সঙ্গে বিষয়টি দেখে গর্ববোধ করছে। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যার চেয়ে সম্ভাবনার বিষয়টি খবরের পাতায় বেশি প্রকাশিত হয়েছে।

 



এই খবর পাড়ায় শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থীদের ভিড় লেগেই থাকছে। এ বিষয়ে বাংলা বিভাগের ওমর ফারুক নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সকল যৌক্তিক আন্দোলনে আমরা সাংবাদিকদের পাশে পাই। তারা সকল রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে ন্যায়ের পক্ষে তাদের কলম চালায়। যা আমাকে মুগ্ধ করে। ভবিষ্যতেও তারা এ ধারা অব্যাহত রাখবে এটাই কামনা করি।’

এরকম হাজারো শিক্ষার্থীর প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির স্থান দখল করতে সক্ষম হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকরা। বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন দিনব্যাপী বৈশাখী মেলার শেষ দিন আজ। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী, প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. শাহিনুর রহমান ও ট্রেজারার প্রফেসর ড. সেলিম তোহা স্টলটি প্রদর্শন করেন। তারা এই ব্যতিক্রম স্টলটি দেখে মুগ্ধতা প্রকাশ করেন। এসময় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্ভাবনা ও অন্তরায় সম্পর্কে নিজেদের মতামত প্রকাশ করেন।

এ বিষয়ে সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইমরান শুভ্র বলেন, ‘চ্যালেজিং পেশা সাংবাদিকতা। চার বছরের শিক্ষার্থী জীবনে সাংবাদিকতা করতে গিয়ে অনেক ঘটনার সাক্ষী হয়েছি। শিখেছি অনেক। সর্বদা অন্যায়ের বিপক্ষে ও ন্যায়ের পক্ষে কলম চালানোর চেষ্টা করেছি। ভবিষ্যতেও করে যাবো।’



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৬ এপ্রিল ২০১৯/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়