ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

সূর্যবাতির নিচে গাঢ় অন্ধকার

রফিকুল ইসলাম মন্টু || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৩৪, ২৯ আগস্ট ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সূর্যবাতির নিচে গাঢ় অন্ধকার

রফিকুল ইসলাম মন্টু : বিকেল। নূরে আলমের খাবার দোকান। পুরি-পিঁয়াজু বানাতে ব্যস্ত। বৃদ্ধ বাবা আবু তাহেরও সাহায্য করছেন নূরে আলমকে। কাদাপানিতে লেপটানো চিকন মাটির রাস্তার ধারে নড়বড়ে ঘরটাতেই দোকান। পেছনেই থাকার ঘর। সারাদিন যে দোকানটি বলতে গেলে ঝিমিয়ে ছিল; বেলা পড়তে সেটি ক্রমেই জমজমাট। দোকানের নিচে কাঠের পাটাতন। তাও এলোমেলো। একটু অসতর্ক হলে পা ফসকে যেতে পারে। দোকানের ক্রেতারা এতেই অভ্যস্ত। একে একে আসছে লোকজন। লম্বা কাঠের টেবিলের পাশে লম্বা বেঞ্চ। টিভি দেখার জন্যে কেউ আবার একটু সুবিধাজনক জায়গাটা আগেভাগেই দখল করে নিচ্ছেন। সন্ধ্যে নামতে না নামতেই ঘর ভরে গেল। মাগরিবের নামাজের পর টিভির আওয়াজ বেড়ে গেল আরও অনেকখানি। বাড়ল দর্শক সংখ্যা।

শহুরে জীবনে সূর্যবাতির সঙ্গে আমাদের খুব একটা সাক্ষাত হয় না। জেলা-উপজেলা কিংবা গ্রামের যেসব স্থানে বিদ্যুত সুবিধা গেছে, সেখানেও সূর্যবাতির আমেজ বোঝা মুশকিল। বেশ কয়েক বছর উপকূল অঞ্চলের প্রান্তিক জনপদ সূর্যবাতির কল্যাণে অনেক দূর এগিয়েছে। কিন্তু এই আলো মানুষের জীবন কতটা আলোকিত করতে পেরেছে- প্রশ্ন থেকেই যায়। নূরে আলমের দোকানে যে ক’জন মানুষের ভিড় তাদের মধ্যে বেশিরভাগ শিশু। এই সময়ে বই হাতে ওদের সূর্যবাতির নিচে লেখাপড়ায় ব্যস্ত থাকার কথা থাকলে ঘটনাটা উল্টো। ওরা অনেক। কেউ এসেছে দূরের হাট থেকে, কেউ এসেছে নৌকার কাজ শেষ করে, কেউ এসেছে মাঠ থেকে গরু দুটো গোয়াল ঘরে বেঁধে। এই সময়ে দোকানে টিভির সামনে আড্ডা দেয়া ওদের নিত্য অভ্যেস। ভোলার দ্বীপ মদনপুরের সবগুলো বাজারে সন্ধ্যের চিত্রটা এমনই।

মদনপুর পরিষদ বাজারে নূরে আলমের দোকানে মানুষের ভিড়। আমিও এক কোণে বসি। কর্মজীবী বড় মানুষগুলোর সঙ্গে আছে ‘ছোট কর্মজীবীরা’। বড়-ছোট সকলেই কাজ করেছেন সারাদিন। সন্ধ্যায় চায়ের দোকানে আড্ডা-গল্পটাই যেন তাদের কাছে বিনোদন। সাংবাদিক আর তার সঙ্গে থাকা ক্যামেরাটা দেখে শিশু শ্রমজীবীদের ভিড় খানিক বেড়ে গেল। বড়দের চেয়ে যেন শিশুদের সংখ্যাই বেশি। গণনায় শিশুর সংখ্যা দাঁড়ায় ১৫। নাম লিখি। শাহীন, রনি, শামীম, সোহেল, ফারুক, মান্নান, রূপা, সুজন, ফয়সল, পারভেজ, নয়ন, সাহাবুদ্দিন, রবু, রিয়াজ, শরীফ। ওদের বয়স ৮ থেকে ১২। স্কুলে যাও? প্রশ্নে উত্তরে নামের পাশে ‘ক্রস’ আর ‘টিক’ চিহ্ন দিতে থাকি। পনেরো নামে ক্রস পড়ে ১২, টিক মাত্র ৩। নিয়মিত না খাওয়া শুকনো মুখ, রোগা শরীর, রোদজলা কালো হাত-পা। এইটুকু বয়সে শিশুরা এতটুকু বিশ্রাম পায়নি। রোজগারের প্রয়োজনে পরিবার ওদের পাঠিয়েছে কাজে; ওদেরকে স্কুলে ফেরানোর উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে আসেনি কেউ।  

নূরে আলমের দোকানে টিভি পর্দায় ধ্যানমগ্ন একজন পারভেজ। বয়স ১২। স্কুল নয়, গাঙ তাকে টানে। যে মেঘনা নদী ওদের বাড়ি গিলে খেয়েছে বহুবার; সে নদী ওদের কাছে ‘গাঙ’ নামেই পরিচিত। স্কুলের চৌকাঠ পেরোনোর সুযোগ না হলেও গাঙের ভাঙা পাড়ের সীমারেখা অতিক্রম করেছে বহুবার। নামতা বইয়ের পাতায় গণিতের সংখ্যা সে বোঝে না ঠিকই; তবে জাল পেতে নদীর তল থেকে তুলে আনা চিংড়ি রেনু গণনায় সে বড্ড পাকা। জীবিকার প্রয়োজনে বইখাতার বদলে হাতে কখনো চিংড়ি রেনু ধরার জাল, কখনো বা নৌকার বৈঠা।

দ্বীপ জেলা ভোলার ছোট দ্বীপ মদনপুর ওদের বাড়ি। বাবা মনু মিয়া জলমজুর। বহুদিন অন্যের নৌকায় কাজ করেছেন; এবার নিজেই গড়েছেন জাল-নৌকা। স্কুল গমনোপযোগী ছেলে পারভেজকে এখন তার আরও বেশি প্রয়োজন। জাল-নৌকা নিয়ে মাছ ধরতে গেলে নৌকার গলুইয়ে বৈঠা ধরে বসে থাকার দায়িত্বটা পারভেজকেই পালন করতে হবে। কর্মজীবী বাবা কখনোই ভাবতে পারেননি ছেলেকে স্কুলে পাঠানোর কথা। এভাবেই উপকূলের হাজারো বাবা তাদের শিশুদের কাজে পাঠায়। শিশুকাল থেকেই শুরু হয় কাজের প্রশিক্ষণ। খেলাচ্ছলে নৌকার বৈঠা ধরা; কিংবা বাবার জন্য সকাল-দুপুরে কাপড় পেঁচানো ভাতের থালাটা নিয়ে যাওয়া সেই প্রশিক্ষণেরই অংশ।

 

 

মেঘনাপাড়ে দু’দিন দেখা পারভেজের সঙ্গে। শেষ বেলায় দুপুরের খাবার খাচ্ছিল। সারাটা দিন কিছুই পড়েনি এইটুকু শিশুর পেটে। সেই সকালে মায়ের দেয়া দু’মুঠো পানতা খেয়ে কাজে বেরিয়েছে। সারাদিন কাজ আর কাজ। আর দিন শেষে তার কাছে পৌঁছেছে একপ্লেট ভাত। ভাতের সাথে একদিন ছিল ডিম ভাজা; আরেকদিন ছিল আলু ভাজা। খাড়া থালায় মোটা চালের ভাত চেপে ভাতের ভেতরেই বসিয়ে দেয়া হয়েছে তরকারিটুকু। বাবার চেক লুঙ্গিতে পেঁচিয়ে ভাতের থালাটি নিয়ে এসেছে তার ছোট ভাই। জানতে চাই, শেষ বেলায় ভাত খাও কেন?

: মা ভাত পাঠানোর লোক পায়নি, তাই- প্রশ্ন ছুঁড়তেই পারভেজের ঠোঁটের নিচে কষ্টের হাসি।

: স্কুলে কখনো গিয়েছো?

: না।

: কেন?

: সুযোগ নাই।

: স্কুলে যেতে ইচ্ছে করে?

: গরিব ঘরে আমাগো লেখাপড়ার সুযোগ আছে?

কয়েকদিন মদনপুরের পথে হেঁটে আরও অনেক পারভেজের দেখা মিলে। স্কুলে যায়- এমন শিশুর সংখ্যা খুবই কম। লড়াই করে চালিয়ে নেওয়া সংসারটা এগিয়ে নিতে ছেলেমেয়েদের সাহায্য করতে হয়। ঠিক সাহায্য বলা ঠিক হবে না। বলা যায়, ওরাই চালাচ্ছে গোটা সংসার। যেখানে আমরা শতভাগ শিশুর স্কুলে উপস্থিতির কথা বলছি, একজন শিশুকেও স্কুলের বাইরে না রাখার কথা বলছি সেখানে দ্বীপের শিশুদের কথা আমরা কতটা ভাবছি! তাদের লেখাপড়ার পরিবেশ কতটা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে! স্কুল, স্কুলের যাওয়ার রাস্তাঘাট এগুলোর কথা যেমন ভাবা দরকার; পাশাপাশি স্কুলে সঠিক পাঠদানের কথাটাও ভাবা খুবই জরুরি। ক্লান্ত বিকেলে মদনপুরের প্রধান বাজারে যাচ্ছিল মো. তারেক। মাথায় পলিথিন ব্যাগে ৩-৪ কেজি ধনচে বীজ। তারেকের জামা-লুঙ্গি থাকলেও অনেকদিন থেকে নেই একজোড়া জুতো। ধনচে বীজ বিক্রি করে সে জুতো কিনবে। সায় দিয়েছে তারেকের মা। হন হন করে সে ছুটছে বাজারের দিকে। ওকে থামিয়ে নামধাম জিজ্ঞেস করি। বাড়ি মদনপুরার দক্ষিণপাড়ায়। বাবা কাঞ্চন আলী বদলি মজুর। তারেকের নাম আছে প্রাইমারি স্কুলের ক্লাস ফোরের খাতায়। কিন্তু সে স্কুলে যেতে পারে না ঠিকমত। কাজের চাপ। তারেকের গা ঘেঁসেই বাড়ির দিকে ছুঁটছিল একই এলাকার আবু কালাম বেপারির ছেলে আল আমীন। হাতে কয়েকটা পেঁপে চারা। বাড়ির ক্ষেত থেকে তোলা কিছু ঢেঁড়স বিক্রি করে চারাগুলো এনেছে সে। তার স্কুলে যাওয়ার নিয়মটাও ঠিক তারেকের মতই। জানতে চাই, কেমন আছ তারেক?

: ভালো, সহজ জবাব।

: স্কুলে যাও?

: না।

: গিয়েছিলে কখনো?

: হ্যাঁ।

: কোন ক্লাসে পড়েছো?

: ক্লাস ফোর।

: তারপর?

: আর হয়নি।

: কেন?

: কাজের চাপে স্কুলে যেতে পারিনা। আর যাওয়া হয়নি।

মদনপুরের সবখানেই কর্মজীবী শিশুদের সঙ্গে দেখা। সকালে, দুপুরে, বিকালে, সব সময় শিশুদের কাজ। ক্ষেত থেকে মরিচ তোলা, ঢেঁড়স তোলা, ক্ষেত নিড়ানি দেওয়া, গরু-মহিষ-ভেড়ার খাবার যোগানো, চিংড়ির রেণু ধরা, ভাটায় শুকনো নদীতীরের গর্ত থেকে চেউয়া মাছ ধরা, বাজার থেকে সদাইপাতি আনা, নদীতে মাছধরা, নৌকা চালানো, জাল বুনন, ক্ষেত থেকে সয়াবিন তোলা, পানি টানাসহ সব কাজে শিশুরা। এই ছবির সঙ্গে আমি মেলানোর চেষ্টা করি উপকূলীয় অন্যান্য দ্বীপের। হাইমচর, মনপুরা, ঢালচর, চরমোন্তাজ, গজারিয়া, আবার মূল ভূ-খণ্ডের প্রান্তিক জনপদ কালকিনি, কচ্ছপিয়া, মাইনকা, সুবর্ণচর, আলেকজান্ডার, রামগতির দ্বীপাঞ্চলগুলো কিন্তু মদনপুর থেকে আলাদা কিছু নয়। সবখানেই শিশুদের কঠোর পরিশ্রমের চিত্র চোখে পড়ে। মদনপুরের বিধবা নারী আছিয়া বেগমের মাত্র ১১ বছরের শিশু নূর হোসেন সংসারের রোজগারে বড় ভূমিকা রাখে। কাজ করে নৌকায়। মালিক ৬-৭দিন পরপর নূর হোসেনের হাতে ধরিয়ে দেয় ২-৩শ’ টাকা।

 

 

যে বয়সে ওদের হাতে থাকার কথা বইখাতা; যে সময়ে সহপাঠীদের সাথে ওদের খেলাধূলায় মেতে ওঠার কথা; সেই বয়সে ওরা কঠিন কাজের চাপে পিষ্ট। শুকনো মলিন মুখ। আমার সাথে আলাপের সময়, ক্যামেরা শার্টারের শব্দ আর ফ্ল্যাশ লাইটের আলোতে ওদের মুখে হাসির যে ঝিলিক দেখি; তা ক্ষণিকের। আলাপে ওরা অনেক গল্প শোনায়; কঠোর পরিশ্রমের বিবরণ তুলে ধরে; মনের কোনে লুকিয়ে থাকা বিবর্ণ স্বপ্নগুলো থেকে খানিক বলে। কিন্তু এর পরের দৃশ্যপট অন্যরকম। আলাপ আর ছবি তোলা শেষে ওরা ছুটে কাজে। সন্ধ্যায় সূর্যবাতির আলোতে দ্বীপের বাজার আলোকিত হয়; কিন্তু কর্মজীবী শিশুদের জীবন ঢেকে থাকে অন্ধকারে।

দ্বীপের ছেলেশিশুদের চেয়ে কন্যাশিশুদের স্কুলে যাওয়ার প্রবণতা বেশি। কারণ ওদের নৌকায় মাছ ধরতে; কিংবা মাঠের কঠিন কোন কাজে পাঠানো সম্ভব নয়। তাই বলে ওরা বেঁচে যায়নি খাটুনি থেকে। স্কুলের খাতায় তাদের নাম আছে; তারপরও কন্যাশিশুদেরও দেখা যায় অনেক কাজে। সুফিয়া, পলি, মালতি, ঝর্না, রুবিনাদের মধ্যে কাউকে দেখি গরু চড়াতে, কাউকে দূরের কল থেকে পানি আনতে, আবার কাউকে দেখি স্কুল থেকে ফিরে ছোট ভাইকে নিয়ে নদী মাছ ধরতে। দুপুর গড়িয়ে বিকেলের আলোয় মদনপুরের পুব সীমানায় হাতে পাতিল আর জাল নিয়ে নদীর দিকে ছুঁটতে দেখি রুবিনাকে। আর পিছু যাচ্ছে ছোট ভাইটি। শেষ বেলায় ৯ বছরের শিশু পলিকে দেখি গরুর খাবার যোগাতে ব্যস্ত। স্কুলে ভর্তির হার বৃদ্ধি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে শিশুদের অগ্রগতির পরিসংখ্যান রয়েছে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে। কিন্তু আমার কাছে রয়েছে উপকূল অঞ্চলের উল্টোপিঠের মাঠচিত্র। শতভাগ শিশুর স্কুলে যাওয়ার পরিসংখ্যান উপকূলের ক্ষেত্রে কতটা প্রযোজ্য? এমন প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খায় উপকূলের পথে পথে। তবুও প্রশ্নের জবাব মিলে না। শিশুদের লেখাপড়া, পুষ্টিকর খাবার খেয়ে সমৃদ্ধ মানুষ হয়ে বেড়ে ওঠার সঙ্গে আর্থ-সামাজিক বিষয়টি নিবিড়ভাবে জড়িত। জলমজুর বাবার কাজে সহায়তা করতে হয় শিশু কিংবা কিশোর ছেলেটিকে। কন্যা শিশুটিকেও ছোটবেলা থেকেই করতে হয় অনেক কাজ। ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের ঝাপটা, নদীভাঙনসহ নানামূখী প্রাকৃতিক দুর্যোগে নিয়ত মার খাওয়া মানুষেরা ঘরের সবাই মিলে এক একটি পরিবারকে টেনে নিয়ে যায়। দরিদ্র বাবার একার পক্ষে সংসারের বোঝা টেনে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। তাইতো ছেলেশিশুদের কাজের প্রশিক্ষণ শুরু হয় ছোটবেলা থেকেই।                

বিগত কয়েক বছরে উপকূলের দ্বীপ-চরের প্রান্তিক জনপদের বহু স্থানে খড়ের ঘরের স্থলে টিনের ঘর উঠেছে। টিন দিয়ে শক্ত করে ঘর না বাঁধলে সামান্য ঝড়েই উড়ে যায় ঘরবাড়ি। এই ঘরগুলোতে আবার লাগানো হয়েছে সূর্যবাতি। বসতি ঘর, হাটবাজার, কোথাও দ্বীপের অন্ধকার রাস্তা সূর্যবাতির আলোয় আলোকিত। মাছধরার নৌকায়ও আছে এ বাতি। সূর্যবিদ্যুতের শক্তিতে চায়ের দোকানের চৌকাঠ পেরিয়ে বাংলা সিনেমার সংলাপ পৌঁছায় রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়া পথিকের কানে। বাজারগুলো অধিক রাত পর্যন্ত জেগে থাকে এই সূর্যবাতির আলোয়। মানুষের জীবনের আলোচনায় চায়ের টেবিলে ঝড় বয়ে যায়। যে সূর্যবাতি দ্বীপ-চরের ঘর আলোকিত করলো; বাজার আলোকিত করলো; বাংলাসিনেমা দেখার মত বিনোদন এনে দিল; সে আলোয় আলোকিত হতে পারলো না দ্বীপ-চরের শিশুরা। অথচ আমরা টেলিভিশনের বক্তৃতায় শুনি- প্রায় শতভাগ শিশু স্কুলে যাচ্ছে। গড়ে উঠছে শিক্ষিত প্রজন্ম। উপকূল অঞ্চল একবার ঘুরে যাওয়ার পরে বক্তৃতাটা দিলে হয়তো বক্তৃতার ভাষাটা কিছুটা বদলাতো।


রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৯ আগস্ট ২০১৯/তারা

রাইজিংবিডি.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়