ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

‘রোবটিক সার্জারি এখন সময়ের দাবি’

আরিফ সাওন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৩২, ৪ মে ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘রোবটিক সার্জারি এখন সময়ের দাবি’

নিজস্ব প্রতিবেদক: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেছেন, রোবটিক সার্জারি এখন সময়ের দাবি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউরোলজি বিভাগে রোবটিক সার্জারি চালুর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহায়তা করা হবে। শনিবার ইপনা অডিটোরিয়ামে ‘রেনাল ট্রান্সপ্ল্যান্টেশনস অ্যান্ড রিকনসট্রাকটিভ স্টেট অফ ২০১৯’ শীর্ষক সেমিনারে (সিএমই) প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

এতে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ কে এম খুরশিদুল আলম। ‘প্রসপেক্ট অফ রেনাল ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন একই বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল।

জন্মগত ত্রুটিসহ বিভিন্ন জটিল সমস্যায় আক্রান্ত যৌনাঙ্গের চিকিৎসা এবং রোবটিক সার্জারি বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভারতের ককিলাবেন দিরুবাই আম্বানি হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট-এর ইউরোলজিস্ট ডা. সঞ্জয় পান্ডে। সঞ্চালনা করেন বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ডা. কার্তিক চন্দ্র ঘোষ।

অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল উপস্থাপিত বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধে জানানো হয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে এ পর্যন্ত ৫৩৯ জন রোগীর কিডনি প্রতিস্থাপন সম্পন্ন হয়েছে। কিডনি প্রতিস্থাপনকৃত রোগীদের ৯৫ শতাংশ কমপক্ষে ১ বছর, ৮২ শতাংশ কমপক্ষে ৫ বছর এবং ৭৮ শতাংশ কমপক্ষে ১০ বছর পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন বা বেঁচে রয়েছেন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সাথে এটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। কিডনি দাতাদের মধ্যে মহিলাদের সংখ্যা ৬০ শতাংশ ও পুরুষদের সংখ্যা ৪০ শতাংশ। দাতাদের বেশিরভাগের বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে (৩৩.৮ শতাংশ)। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে কিডনি প্রতিস্থাপনে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা থেকে প্রায় ২ লাখ টাকা ব্যয় হয়।

প্রবন্ধে আরো বলা হয়, ১৯৯৯ সাল থেকে ২০১৯ সালের এপ্রিল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠানে ১৭৬০ জন রোগীর কিডনি প্রতিস্থাপন হয়েছে। এরমধ্যে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত হয়েছে ৪০ জন রোগীর। এছাড়া কিডনি প্রতিস্থাপন হয়েছে ২০০৮ সালে ১১৬ জন, ২০০৯ সালে ১৪২ জন, ২০১০ সালে ১৫৭ জন, ২০১১ সালে ১১৪ জন, ২০১৩ সালে ১৪৫ জন, ২০১৪ সালে ১৩৮ জন, ২০১৬ সালে ১২২ জন, ২০১৭ সালে ১৪৫ জন এবং ২০১৮ সালে ১৩০ জন রোগীর।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠানে এ পর্যন্ত ১৮০৩ জন রোগীর কিডনি প্রতিস্থাপন হয়েছে। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে কিডনি প্রতিস্থাপন হয়েছে ৫৩৯ জন রোগীর, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস এন্ড ইউরোলজিতে ৫২৯ জন রোগীর, কিডনি ফাউন্ডেশনে ৪৬২ জন রোগীর ও বারডেমে ১১৫ জন রোগীর।

অধ্যাপক ডা. মোঃ হাবিবুর রহমান দুলাল জানান, বর্তমানে সংক্রামক ব্যধি ছাড়াও ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ কিডনি অকার্যকারিতার অন্যতম কারণ। কিডনি সুস্থ রাখতে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। ভেজাল খাবার অবশ্যই প্রতিরোধ করতে হবে। ব্যাথানাশক ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া যাবে না। যেকোনো সংক্রমণ হলে বা শরীরে ইনফেকশন শুরু হলে শুরুতেই চিকিৎসা নেয়াসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৪ মে ২০১৯/সাওন/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়