ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

বাংলাদেশে হৃদরোগে মারা যায় ২ লাখ ৭৭ হাজার মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৪৫, ৬ নভেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বাংলাদেশে হৃদরোগে মারা যায় ২ লাখ ৭৭ হাজার মানুষ

বিশ্বে প্রতি বছর ১ কোটি ৭৯ লাখ মানুষ হৃদরোগে মৃত্যুবরণ করে। যার মধ্যে প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ মানুষ শিল্পোৎপাদিত ট্রান্স ফ্যাট গ্রহণের কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।  বাংলাদেশে প্রতি বছর বছর ২ লাখ ৭৭ হাজার মানুষ হৃদরোগের কারণে মারা যায়।

খাদ্যদ্রব্যের মাধ্যমে উচ্চমাত্রায় ট্রান্স ফ্যাটি এসিড বা টিএফএ নামক এক ধরনের চর্বি জাতীয় পদার্থ গ্রহণই হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম কারণ।

এ বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের অবহিত করতে ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস্ (সিটিএফকে) এর গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের সহায়তায় প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এবং অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স (আত্মা) যৌথভাবে বুধবার বাংলাদেশ মেডিক‌্যাল  অ্যাসোসিয়েশন ভবনের সভাকক্ষে ‘ট্রান্স ফ্যাট ও হৃদরোগ ঝুঁকি এবং গণমাধ্যমের করণীয়’ শীর্ষক একটি কর্মশালায় খাদ্যদ্রব্যে ট্রান্স ফ্যাটি এসিড (টিএফএ), হৃদরোগ ঝুঁকি এবং গণমাধ্যমের করণীয় বিষয়ে আলোচনা হয়।

গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপনা তুলে ধরেন ব্রাক ইউনিভার্সিটি জেম্স পি গ্রান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথের অ্যাসোসিয়েট সায়েন্টিস্ট আবু আহমেদ শামীম ও ন্যাশনাল হার্টফাউন্ডেশন হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ট্রান্স ফ্যাট প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর ডা. শেখ মো. মাহবুবুস সোবহান।

কর্মশালায় গণমাধ্যমের করণীয় অংশে আলোচক হিসেবে অংশ নেন বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি তৌাফিক মারুফ, অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্সের (আত্মা) কো-কনভেনর ও দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার মিজান চৌধুরী, গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের বাংলাদেশ কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর মুহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস এবং প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের।

কর্মশালায় টিএফএ’র স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে ডা. শেখ মো. মাহবুবুস সোবহান বলেন, বিশ্বব্যাপী হৃদরোগজনিত মৃত্যু আশঙ্কাজনকহারে বাডছে। ট্রান্স ফ্যাটযুক্ত খাবার রক্তে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল হিসেবে পরিচিত লো ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন (এলডিএল) কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করে। অপরদিকে হাই ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন (এইচডিএল) কোলেস্টেরল (যাকে ‘ভালো’ কোলেস্টেরল বলা হয়) কমিয়ে দেয়। এইচডিএল কোলেস্টেরল রক্তনালী থেকে খারাপ কোলেস্টেরল সরিয়ে দেয়। কিন্তু ট্রান্স ফ্যাটের কারণে এইচডিএল কমে যায় এবং খারাপ কোলেস্টেরল রক্তবাহী ধমনিতে জমা হয়ে রক্ত চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে।  এভাবে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।  এছাড়াও ট্রান্স ফ্যাটযুক্ত খাবারের কারণে স্ট্রোক এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিস এ আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বৃদ্ধি পায়। উচ্চমাত্রায় ট্রান্স ফ্যাট গ্রহণের কারণে সার্বিকভাবে মৃত্যুঝুঁকি ৩৪ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ২১ শতাংশ এবং হৃদরোগজনিত মৃত্যুঝুঁকি ২৮ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ অনুযায়ী, একজন ব্যক্তির দৈনিক ট্রান্স ফ্যাট গ্রহণের পরিমাণ হওয়া উচিত মোট খাদ্যশক্তির ১ শতাংশের কম, অর্থাৎ দৈনিক ২০০০ ক্যালোরির ডায়েটে তা হতে হবে ২ দশমিক ২ গ্রামের চেয়েও কম।


ঢাকা/সাওন/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়