ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

দেশে প্রতিদিন ক্যান্সারে ২৫০জন মারা যায়

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:০৭, ২০ নভেম্বর ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
দেশে প্রতিদিন ক্যান্সারে ২৫০জন মারা যায়

তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান ক্যান্সার প্রতিকারে জাতীয় সচেতনতার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে বলেছেন, বাংলাদেশে প্রতিদিন নতুন করে ক্যান্সার আক্রান্ত হচ্ছেন ৩৩৪ জন আর মারা যাচ্ছেন প্রায় ২৫০ জন।

বুধবার রাজধানীর নটরডেম কলেজে এক  সেমিনারে  প্রতিমন্ত্রী এমন তথ‌্য দেন।

বিকন ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড এ সেমিনারের আয়োজন করে।

তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে আলোচিত একটি বিষয় হচ্ছে ক্যান্সার। অনিয়ন্ত্রিতভাবে বিভাজনক্ষম হয়ে বৃদ্ধি পাওয়া কলাকে নিয়োপ্লাসিয়া (টিউমার)  বলে। এই নিয়োপ্লাসিয়ার ম্যালিগন্যান্ট রূপকে ক্যান্সার বলে। ক্যান্সার প্রতিকারে সরকারের প্রশংসনীয় পদক্ষেপের পাশাপাশি প্রয়োজন জাতীয় সচেতনতা।

সেমিনারে ক্যান্সার প্রতিকারে জনগণকে  সচেতনতার বিষয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় কী কাজ করে- এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রতিটি জেলায় তথ্য অফিস আছে  এবং জেলা তথ্য অফিস  জনগণকে সচেতন করার জন্য নিয়মিত নানা প্রোগ্রাম করে যাচ্ছে। জনগণের সচেতনতার বিষয়ে  প্রতিটি মহল্লায়, পাড়ায় উঠান বৈঠক করছে জেলা তথ্য অফিস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব মতে, ২০৩০ সালে বিশ্বে ক্যান্সার রুগীর সংখ্যা হবে প্রায় দ্বিগুণ। এর অধিকাংশ হবে তৃতীয় বিশ্বের মানুষের। তাই এখনই সময় প্রস্তুতি নেওয়ার।

সেন্টার ফর ক্যান্সার প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চের ( সিসিপিআর) বরাত দিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রতিদিন নতুন করে ক্যান্সার আক্রান্ত হচ্ছেন ৩৩৪ জন আর মারা যাচ্ছে প্রায় ২৫০জন। সচেতনতা থেকে শুরু করে সরকারের পদক্ষেপ, প্রতিটি উদ্যোগই ক্যান্সার প্রতিরোধ এবং মৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে আনতে বিশেষ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে।

দেশে তৃণমূল পর্যায়ে ক্যান্সার কমিয়ে আনার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহয়তায় পরিচালিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশিক্ষণের জন্য ' জাতীয় কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্প ' কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান তিনি ।

ক্যান্সার প্রতিকারে সরকারের বিভিন্ন সেবার উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারি পর্যায়ে ৯ টি রেডিওথেরাপি কেন্দ্র চালু আছে। ক্যান্সার চিকিৎসার সার্জারি, কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপি  এই তিনটি ধাপ রয়েছে। দেশের সব হাসপাতালে রেডিওথেরাপি না থাকলেও সার্জারি ও কেমোথেরাপি দেওয়ার সুযোগ আছে। জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউট শুরুতে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট ছিল। এখন সরকার এটি বাড়িয়ে ৩০০ শয্যা করেছে। এখানে গরীব রুগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়।

তিনি আরো বলেন, ফুসফুসের ক্যান্সারজনিত মৃত্যুর ৯০ শতাংশ ও সব ক্যান্সারজনিত মৃত্যুর ২০ শতাংশ ঘটে থাকে ধূমপানের কারণে। ধুমপান ও তামাকজাত দ্রব্য সেবন  থেকে বিরত থাকলে বাংলাদেশের ৪০ শতাংশ  ক্যান্সার কমানো সম্ভব। ক্যান্সার আক্রান্ত মোট পুরুষ ও নারী রোগীর মধ্যে শতকরা প্রায় ১৮ ভাগ ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত। আক্রান্ত পুরুষের মধ্যে শতকরা প্রায় ৬৮ ভাগ ধূমপায়ী ও প্রায় ২২ ভাগ নারী রোগী গুল জর্দা ব্যবহারকারী।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন মেজর জেনারেল অধ্যাপক ড. আজিজুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নটরডেম কলেজের প্রিন্সিপাল ড. হেমন্ত পিয়াস রোজারিও।


ঢাকা/আসাদ/সাজেদ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়